Admin |
৩,২০১ views |
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭ |
ভ্রান্ত ধর্ম,খ্রিষ্টান,Religion,নির্বাচিত |
No |
৩:২১ অপরাহ্ণ |
“বড় দিনের উপহার”
ইসমাইল হোসাইনঃ বাইবেলে এমন কোনো বাক্য নেই যেখানে আপনি পাবেন যে,২৫ ডিসেম্বর যিশু খৃষ্টের জন্ম হয়েছে।”ক্রিসমাস” বা “সান্তা” সম্পর্কে এমনকিছু বাইবেলের কোথাও কোনো আয়াত নেই।বাইবেলে এমন কোনো আয়াত নেই যেখানে লেখা আছে ঈসা মসিহ হলেন ঈশ্বর।
ঈশ্বরের খাওয়াদাওয়ার প্রয়োজন হয়না,যিশু খাওয়াদাওয়া করেছে।ঈশ্বরের ঘুমানোর প্রয়োজন নেই,যিশু ঘুমিয়েছে।ঈশ্বরের ইবাদতের প্রয়োজন নেই,যিশু ইবাদত করতেন।ঈশ্বর ইবাদত থেকে স্বাধীন কিন্তু যিশু ইবাদত করতেন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে!স্বয়ং ঈশ্বর কিভাবে নিজেই নিজের ইবাদত করতেন!
যিশু ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ইবাদত করতেন,মুসলমানরাও তা-ই করে।যিশু রোযা রাখতেন,মুসলমানরাও তা-ই করে।যিশু দাড়ি রাখতেন,মুসলিমরাও দাড়ি রাখে।যিশুর মাতা যাকে খৃষ্টানরা মাতা মেরি বলে মুসলমানরা তাকেও সম্মান করে এবং মরিয়ম তিনিও মুসলমান নারীদের ন্যায় মাথা ঢেকে রাখতেন,ঢোলাঢালা পোশাক পড়তেন।অপরদিকে তথাকথিত খৃষ্টানরা যিশুর কোনো কিছুকেই অনুসরন করেনা!
আমরা মুসলিমরা প্রত্যেক খৃষ্টান ভাইকে ইসলাম সম্পর্কে আরো জানতে আমন্ত্রন জানাচ্ছি।ইসলাম অন্যকোনো ধর্ম নয়,বরং আপনার আমার প্রভুর মনোনীত একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম।ইসলাম আপনাকে সেই একই বার্তা পৌছায় যা পৌঁছেছেন মুসা (আঃ),যিশু/ঈসা (আঃ) ও ইব্রাহীম (আঃ)।ইসলামের আক্ষরিক অর্থ হলো ‘ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পন করে দেওয়া’ এবং এটি আমাদেরকে ঈশ্বরের সাথে সরাসরি সম্পর্ক বজায় রাখতে শেখায়। এটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কেবলমাত্র ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা করা উচিত নয়। এটি এমন একটি শিক্ষা দেয় যে ঈশ্বর মানুষের মতো নয় অথবা এমন কিছু যা আমরা কল্পনা করতে পারি।
আল্লাহর ধারণাটি কুরআনে যেমন সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে: বলুন, তিনিই আল্লাহ, এক। আল্লাহ, পরম নির্ভরস্থল।তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কিছুই নেই। {সূরা ইখলাস: ১-৪}
আর স্মরন করো! মরিয়ম্পুত্র ঈসা বলেছিলেন,-হে ইসরাঈলের বংশধরগণ! আমি নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল,আমার সম্পর্কে তাওরাতে যা রয়েছে আমি তার সমর্থনকারী,আর সুসংবাদ দাতা এমন এক রাসূল সম্পর্কে যিনি আমার পরে আসবেন ,তার নাম আহমদ।তারপর যখন তিনি তাদের কাছে এলেন স্পষ্ট প্রমানাবলীসহ,তারা বললো- এ তো স্পষ্ট জাদু!
আর তার চাইতে কে বেশি অন্যায়কারী যে আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রচনা করে,অথচ তাকে আহ্বান করা হচ্ছে ইসলামের দিকে?আর আল্লাহ অন্যাকারী জাতিকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।{সূরা আস সাফঃ ৬-৭}
হে আমার ভাই!হে আমার রবের সুন্দর সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত!আপনাকে সুশীতল ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি।সত্যকে গ্রহন করুন।আসুন না ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে চলি এক আল্লাহর রাস্তায় সত্য ও সুন্দরের পথে ……………
আমরাও আপনারই ন্যায় যীশু খ্রিস্টকে ভালোবাসি। আমরা তাঁর প্রকৃত ভক্ত। আমরা তাকে শুধু পোশাকি ভাবেই নয় তার প্রকৃত বাণীর প্রচারক। আমরা চাই তাঁর নিয়ে আসা বার্তা-সুখবর সারা বিশ্বের প্রতিটি ঘরে-ঘরে, অলিতে-গলিতে, আনাচে-কানাচে এবং প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে। অনেকে-ই তাঁকে চিনে না, জানে না, জানার চেষ্টাও করে না।আমরা অনেকে যীশু খ্রিস্টের বাইবেলে বর্ণিত জীবনীই জানি। অথচ বাকি আছে আরও অনেক কিছু অজানা। তাই আমরা আজ এই বড়দিনে উপহার হিসেবে, জানাতে চাই যীশু খ্রিস্টের অজানা জীবন। যা আমরা পেয়েছি আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআনে।আপনাদের বড়দিন উপলক্ষ্যে আপনাকে দিচ্ছি একটি ছোট হাদিয়া- “বড় দিনের উপহার”
এই পুস্তিকাটিতে দেয়া আছে যীশুর জন্ম, যীশুর মাতা মেরীর সম্পর্কে কুরআন কী বলেছে এবং তাঁর জীবন বৃত্তান্ত। আরও আছে বড়দিনের রহস্য ও তার প্রকৃত ইতিহাস।
লেখকঃ মুফতি যুবায়ের আহমাদ
পরিচালকঃ ইসলামী দাওয়াহ ইন্সটিটিউট, ঢাকা ।
এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে পড়ার অনুরোধ রইলো আপনারই শুভাকাঙ্ক্ষী এক নগন্য ভাইয়ের পক্ষ থেকে।
হে আমার ভাই!হে আমার রবের সুন্দর সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত!আপনাকে সুশীতল ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি।সত্যকে গ্রহন করুন।আসুন না ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে চলি এক আল্লাহর রাস্তায় সত্য ও সুন্দরের পথে ……………