মঙ্গলবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

রঙ চা খাবেন, না দুধ চা?

চা! ক্লান্তিদূরকারী সুগন্ধযুক্ত এক উষ্ণ পানীয়’র নাম। যার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া  সিনেনসিস। অনেকের কাছে তা আবার অমৃত নামেও পরিচিত।

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা পান করলেই নিমিশেই শরীর ও মন হয়ে ওঠে চনমনে। কাজে আসে প্রফুল্ল। চা আমাদের নিত্যদিনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশও বলা যায়। সারাদিনের কাজ, মিটিং, আড্ডা অথবা মান-অভিমানে চা জড়িয়ে আছে নিবিড়ভাবে।

ঘাঢ় সবুজ রঙের দু’টি পাতা এবং একটি কুঁড়ি থেকে তৈরি এ চা’য়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনায়েড়। যা মানব দেহের হৃদযন্ত্রকে অনেক বেশি সক্রিয় রাখে।

গবেষকগণ বলেন, যারা দিনে ৪ কাপ চা পান করেন তাদের হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়। যদিও অনেকেই মনে করেন চা খেলে গায়ের রং কালো হয়ে যায় অথবা রাতের ঘুম নষ্ট হয়। তবে এই ধারণা একেবারেই অমূলক।

চা’য়ের অনেক প্রকার থাকলেও সাধারণত রঙ চা ও দুধ চা’ই বেশি প্রচলিত। এখন কথা হলো আপনি কোন চা খাবেন? দুধ চা? না কি রঙ চা? কোন চা’য়ে বেশি উপকারিতা? বা কোন চা আপনার জন্য ক্ষতিকর?

ঠিক এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জার্মানির ‘বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়’র একটি গবেষণায় কয়েকজন ব্যক্তিকে পর্যায়ক্রমে রং চা, দুধ চা এবং গরম পানি খেতে দেয়া হয়। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, রঙ চা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায়, যা উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আর রক্ত পরিবহনতন্ত্রের জন্য চায়ের উপকারিতার বিপরীতে কাজ করে দুধ।

এ ব্যাপারে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর বিজ্ঞান ক্রোড়পত্রের (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২) মন্তব্য হলো, ‘দুধ মেশালে চায়ের স্বাস্থ্যকর কিছু গুণ কমে যেতে পারে’।

US Department of Agriculture এর গবেষকরা ইদুরের কোষের ওপর যে, চায়ের প্রভাবে কোষগুলো থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫গুণ বেশি ইনসুলিন নির্গত হয়, যা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই সুস্থতার জন্য রঙ চা পছন্দ করাই উচিত।

তবে বাহিরে সাধারণ চা খেলে দুধ চা খাওয়াই উত্তম। কেন না আমাদের দেশে দোকানে যে সব চা পাওয়া যায়, সেসব চা’য়ের পাতা দীর্ঘক্ষণ ধরে জ্বাল দেয়া হয়। এতে ক্ষতিকর ট্যানিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দোকানে চা খেতে হলে দুধ চা আর বাসায় খেলে পরিমিতি জ্বালে রং চা খাওয়াই হবে সচেতনতার কাজ।

Archives

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031