রবিবার, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আল্লামা শফী বললে সর্বনাশ, পোপ বললে সাব্বাস!
– Ali Azam
কিছুদিন পূর্বে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে হেফাজতের শানে রেসালাত সম্মেলনে সম্মানিত হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে অভিভাবকসুলভ যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দিয়ে নানান মহলে রীতিমত হৈ-চৈ বয়ে গিয়েছিল। হেফাজত বিদ্বেষী সেক্যুলাররা হেফাজতকে পচানোর নতুন এক টপিক পেয়ে যারপরনাই খুশি হয়ে আদাজল খেয়ে হেফাজত আমীরের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করেছিল। ইসলাম নামধারী কিছু সংগঠনের কর্মীরাও এই সুযোগে হেফাজত আমীরকে উদ্দেশ্য করে অকাট্য ভাষায় কিছু-কিছু নীতিবাক্য প্রসব করতে কিন্তু ভুলেনি!
.
হেফাজত আমীর সেদিন দেশের সমস্ত অভিভাবকদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন,’আপনারা ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল তুলে দিবেন না। এতে করে ছেলে-মেয়েদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ায় দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে। মোবাইলের কারণে যৌনতা, অপকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংসারে অশান্তি বাড়ছে ইত্যাদি’.. আচ্ছা! এখানে হেফাজত আমীর ভুলটা কি করেছেন? সব কথাই তো বাস্তব।নাকি? এখন হেফাজত আমীরের অনুকরণে প্রায় সেম বক্তব্য আপনাদের পরম শ্রদ্ধার পাত্র ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মহোদয় দিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের এব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
গতকাল নটরডেম কলেজের হাজার-হাজার ছাত্র-ছাত্রীর সমাবেশে পোপ ফ্রান্সিস এই বক্তব্য দিয়েছেন।
এখন আপনাদের অনুভূতিটা জানতে পারছিনা কেনো হ্যাঁ শান্তিপ্রিয় সেক্যুলার সমাজ? আপনাদের আঁতুড়ঘর খ্যাত বাম মিডিয়া পাড়াতেও এই ইস্যুতে মাতামাতি নেই কেনো সাধু? মোবাইল নিয়ে এসব অভিযোগ কি মিথ্যে? এখন আপনারা চুপ কেনো? নাকি পোপের বিরোধিতা করলে চুতিয়াগীরি বন্ধ হয়ে যাবে? সুবিধাবাদী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীরা এখন নীরব কেন? পোপের সমালোচনা করা বুঝি মহা পাপ? হেফাজত আমীরের ব্যাপারে তো চাপাবাজি করতে দ্বিধাবোধ করেননি!