বৃহস্পতিবার, ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ১,৯০০ views | সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭ | সিরাতে মুস্তফা (সঃ) | No | ৮:৫০ অপরাহ্ণ |
প্রচলিত জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মা আমিনা বিনতে ওয়াহাব বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গর্ভে আসার পর তাঁর কাছে কোন এক অপরিচিত আগন্তুক আসেন এব্ং তাঁকে বলেন, “তুমি যাকে গর্ভে ধারণ করেছ, তিনি এ যুগের মানব জাতির মহানায়ক। তিনি যখন ভূমিষ্ঠ হবেন তখন তুমি বলবেঃ সকল হিংসুকের অনিষ্ট থেকে এই শিশুকে এক ও অদ্বিতীয় প্রভুর আশ্রয়ে সমর্পণ করছি। অতঃপর তার নাম রাখবে মুহাম্মাদ। [১৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্বে মাত্র তিনজনের এনাম রাখা হযেছে। যথা: (১) কবি ফরাজদাকের দাদার দাদা মুহাম্মাদ ইবনে সুফিয়ান বিন মুজাশি। (২) মুহাম্মাদ ইবনে উহাইহা ইবনে আল জাল্লাহ (৩) মুহাম্মাদ ইবনে হিমরান ইবনে রাবিয়াহ। এ তিনজনের প্রত্যেকের পিতা জানতে পারেন যে, আল্লাহর এক রাসূলের আবির্ভাবের সময় ঘরিয়ে এসেছে এবং তিনি হিজাযে জন্মগ্রহণ করবেন। লোকমুখে একথা শুনে তাদের প্রত্যকে আকাক্সক্ষা জাগে যে, তিনি যেন তারই সন্তান হন। একবার তারা আসমানী কিতাবের জ্ঞান রাখে এমন এক বাদশাহর কাছে গমন করেন। তিনি তাদেরকে যানান যে, মাহাম্মাদ নামে একজন নবঢর আবির্ভাব ঘটতে যাচ্ছে। এই সময় তাঁরা বাড়ীতে নিজ নিজ স্ত্রীকে গর্ভবতী দেখে এসেছিলেন। ফলে প্রত্যেকেই তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন যে, তাঁদের পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হলে তার নাম রাখবেন মুহাম্মাদ। এই সিধান্ত অনুসারেই তাঁরা তাঁদের তিন ছেলের নাম রেখেছিলেন।
তিনি গর্ভে থাকাকালে আমিনা স্বপ্নে দেখেন যে, তাঁর ভেতর থেকে এমন একটা আলোকরশ্মি বেরুলো যা দিয়ে তিনি সিরীয় ভূখ-ের বুসরার প্রাসাদসমূহ দেখতে পেলেন।
এরপর তিনি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই অল্পদিনের মধ্যে তাঁর পিতা আবদুল্লাহ ইনতিকাল করেন।
এক ক্লিকে