রবিবার, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কেন আপনি দ্বীনদার ছেলেকে বিয়ে করবেন ?
.
•• সে তার দৃষ্টি নত রাখবে। রাস্তাঘাটে বা এখানে সেখানে মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবে না।
.
•• অফিসে বা বাহিরে থাকা অবস্থায় কি করছে তা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় থাকবে হবে না। অফিসের কলিগ বা অন্য মেয়েদের সাথে ফ্ল্যার্ট করছে কিনা সেই ভয়ে থাকতে হবে না আপনাকে।
.
•• আপনার সাথে অশালীন আচরণ করবে না। কখনো অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করবে না। আজেবাজে ভাষার ব্যবহার বা গালাগালি করবে না।
.
•• কখনো আপনার বা সন্তানের গায়ে হাত তুলবে না।
.
•• বিয়েতে মোটা অংকের যৌতুক বা উপহার দাবি করবে না। ইন্ডিরেক্টলি সেটার জন্যে ফোর্স করবে না।
.
•• ড্রাগস বা খারাপ সঙ্গের ভয় থাকবে না আপনার। নেশাজাতীয় কোন কিছুর সাথে সম্পৃক্ততা থাকবে না। যাদের সাথে মিশতেছে ওরা কেমন। কবে না ঘরে মাতাল হয়ে ফিরে এই ভয় থাকবে না আপনার।
.
•• আপনাকে এবং আপনার পরিবারের লোকজনকে সে সম্মান করবে। ভালো ব্যবহার করবে।
.
•• দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে সহযোগী হবে। আশা করা যায় ঘরের কাজে সহযোগীতা পাবেন। চাকরাণী নয় রাণীর মতো ট্রিট করবে আপনাকে।
.
•• দ্বীন পালনের জন্যে পরিপূর্ণ পর্দা করার জন্যে আপনি একটি সুন্দর পরিবেশ পাবেন। দ্বীন পালনে বা পর্দা করতে কোন বাধার মুখোমুখী হতে হবে না।
.
•• একসাথে দ্বীন পালনের মাধ্যমে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে সহজ হবে। আপনি একজন মাধ্যম পাবেন যার সহযোগিতায় আলেমদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল জানতে পারবেন। ভালো একজন গাইড পাবেন যে দ্বীন পালনে আপনাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবে। নিজে না পারলেও আলেমদের কাছ থেকে জেনে জানাতে পারবে।
লেখাটা পড়ার পর অনেকেরই মনে হবে ইশশশ আমার স্বামী (ছেলেদের বেলায় স্ত্রী) যদি এমন হতো। অথচ আমাদের চিন্তা করা উচিৎ ছিল আমি যদি এমন স্বামী/স্ত্রী হতে পারতাম। নিজের দায়িত্বটা আগে ঠিক মতো পালন করি তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করি এবং তেমন কারো জন্যে দোয়া করতে থাকি। আল্লাহর কাছে নিজের পছন্দ মতো চাওয়ার পাশাপাশি যেন এটাও চাই, আমি যেন তার যোগ্য হতে পারি।
—
দ্বীনদারদের মাঝে এর অনেক কিছুরই অভাব আছে। তবে নরমালদের সাথে কম্পেয়ার করলে % percentage টা তুলনামূলক ভাবে কম।
______
______