শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কাদিয়ানীরা কেন কাফের? পর্ব ০৭

عن ابن عمر رض أن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال: ايما رجل قال لأخيه يا كافر فقد باء بها احدهما، رواه البخاري

রাসূল (সা.) বলেছেন: যে কেউ তার ভাইকে বলবে হে কাফের তাহলে দু’জনের একজন কাফের সাব্যস্ত হবেই। অর্থাৎ যাকে কাফের বলা হলো সে যদি কাফের না হয় তবে বক্তা নিজেই কাফের।
মির্যা গোলাম ব্যাপকভাবে উম্মতে মোহাম্মদীকে কাফের বলে, যেখানে হযরাত সাহাবায়ে কেরামও আছেন, যাঁদের ঈমানের স্বীকৃতি খোদ রাব্বুল আলামীন কুরআনের বহু জায়গায় দিয়েছেন।
গোটা মুসলিম জামাত কাফের হতে পারে না, যা হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত। সুতরাং এই জামাতকে যে কাফের বলবে সে নিজেই কাফের।

Default Ad Content Here

নিম্নে কিছু নমুনা পেশ করা হচ্ছে:

১. “খোদা তা’আলা আমার নিকট প্রকাশ করিয়াছেন-যে ব্যক্তির নিকট আমার দাওয়াত পৌঁছলো এবং সে আমাকে গ্রহণ করলো না সে মুসলমান নয়।”
—-তাযকেরা মজমুআয়ে এলহামাত পৃ. ৬০৭ তৃতীয় সংস্করণ।

২. কুফর দু’প্রকার, প্রথমত কেউ ইসলামকেই অস্বীকার করলো, এবং রাসূল সা.কে আল্লাহর রাসূল মানলো না। দ্বিতীয়ত মসীহে মাওঊদ (মির্যা) কে মানলো না। সকল দলিল বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তাকে মিথ্যা মনে করলো, যাকে মানা এবং সত্য বলে বিশ্বাস করা বিষয়ে আল্লাহ ও তার রাসূল তাগিদ প্রদান করেছেন। প্রথম যুগের নবীদের কিতাবেও যার তাগিদ পাওয়া যায়। তাই সে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অমান্য করায় কাফের। যদি চিন্তা করা হয় তবে উভয় বিশ্বাসী একই প্রকারের অন্তর্ভূক্ত হবে।”
——হাকীকাতুল ওহী পৃ. ১৭৯; রূহানী খাযায়েন খ. ২২, পৃ. ১৮৫

সার কথা হচ্ছে, তাকে অমান্যকারী সমস্ত মুসলমানকে সে কাফের স্বীকৃতি দিয়ে হাদীসের স্বীকৃতি অনুযায়ী সে নিজেই কাফের সাব্যস্ত হয়েছে। তার অনুসারী আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বিশ্বাসও যেহেতু এক, সুতরাং তারাও কাফের।
যারা তাদের কাফের মানবে না তারাও কাফের।

Archives

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031