বুধবার, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
দুটি কথাই বলতে চাই। আমরা যে সকল মুসলমান ভাইবোন পৈত্রিকসূত্রে ইসলাম লাভ করেছিÑ তাদের মধ্যে এই পেয়ারা দ্বীনের মূল্য নেই। আফসোস হয় দ্বীনকে তারা বোঝা মনে করে। বিশেষত নামায পর্দা ইত্যাদিকে। আপনারা এই নেয়ামতের মূল্যায়ন করুন। আপন রব ও রাসূলের প্রতি ইয়াকীন রাখুন। ঈমান গ্রহণ করে এর প্রতিফল প্রত্যক্ষ করুন। এরা যখন ঈমানের গুরুত্বই অনুধাবন করে না তখন স্বভাবতই কেউ ঈমান নিয়ে মরুক আর ঈমানবিহিন দোযখে চলে যাক এতে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের গোটা মানবজাতিকে দোযখ থেকে বাঁচানোর ফিকির করা দরকার।
আহমদ আওয়াহ: আসসালামু আলাইকুম।
খাইরুন নিসা: ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আহমদ আওয়াহ: আপনার নাম?
খাইরুন নিসা: খাইরুন নিসা।
আহমদ আওয়াহ: আপনি কোথাকার অধিবাসী। কিছুটা পরিচয় দিন।
খাইরুন নিসা: আমি থানা ভবনের নিকটস্থ এক গ্রামে থাকি। আমার পুরনো নাম শালিনী দেবী। পিতার নাম চৌধুরী বলী সিং। পানিপথ জেলার হরিয়ানার এক গ্রামে করপলিসিংহের সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। প্রথম স্বাীর সঙ্গে আমি ১৪ বছর সংসার করেছি। আট বছর পূর্বে আমার আল্লাহ আমাকে ইসলাম দানে ধন্য করেছেন। আল্লাহর রহমতে আমার পাঁচটি সন্তান। এরা সবাই মুসলমান হয়ে আমার সঙ্গে আছে।
আহমদ আওয়াহ: আপনার ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে বলুন।
খাইরুন নিসা: ছোটবেলা থেকেই নিজ হাতে গড়া মূর্তির পূজাপাট আমার ভালো লাগতো না। তরুলতা, ফুল-ফসল আর চাঁদ-তারা দেখে ভাবতাম, এমন সুন্দর মনোরম সৃষ্টির স্রষ্টা না জানি কত সুন্দর মনোহর। আমর শ্বশুর বাড়ির গ্রামে ইউপির অনেক মুসলমান কাপড় ইত্যাদির ব্যবসার উদ্দেশ্যে আগমন করতো। তারা আমাকে এক মালিকের পূঁজা এবং আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা বলতো। তারা চলে যাওয়ার পর আমার ছোট ছোট সন্তানেরা আমাকে বলতো মা! আমরা সবাই মুসলমান হয়ে গেলে কতই না ভালো হতো। কিছুদিন পর আমি মুসলমান হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। গঙ্গুহ এলাকার দুজন মুসলমানের সঙ্গে ওখানে গিয়ে সন্তানসমেত মুসলমান হয়ে যাই।
আহমদ আওয়াহ: ইসলাম গ্রহণের পর আপনার শ্বশুরালয়ে ও বাপের বাড়ির লোকজনের পক্ষ থেকে বিরোধিতা হয়নি?
খাইরুন নিসা: ইসলামের নাম শুনেই তারা কিয়ামত কান্ড ঘটিয়ে ফেলে। আমার ছোটো ছোটো বাচ্চাদের সীমাহীন নির্যাতন করে। আমাদের সবাইকে প্রাণে মারার জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টাই তারা করে। কিন্তু জীবন-মৃত্যুর মালিক আমাদের হেফাজত করতে থাকেন। আল্লাহর তাআলার ওপর আমার ভরসা ছিল। প্রতি পদে আমি জায়নামাযে গিয়ে তার কাছে ফরিয়াদ জানাতাম। আল্লাহ তাআলাও আমাকে পদে পদে সাহায্য করেছেন।
আহমদ আওয়াহ: ওদের বিরোধিতা আর আল্লাহ তাআলার সাহায্যের কিছু কথা শোনান?
খাইরুন নিসা: কোন মুখে আমি আমার মালিকের শোকর আদায় করবো? আমার পরিবার এবং আমার শ্বশুরালয় (যারা বড় মাপের জমিদার ও প্রভাবশালী ছিল) আমাকে খতম করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। প্রথমে দু-চার দিন তারা বোঝাতে থাকে। যখন তাদেরকে ফয়সালা শুনিয়ে দেই যে, আমি মরে যেতে পারি কিন্তু ইসলাম ছাড়তে পারবো নাÑ তারা আমার ওপর রুঢ় আচরণ শুরু করে। আমার পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। কিন্তু তাদের লাঠি না জানি কোথায় গিয়ে পড়তো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। বলা যায় বেহুঁশ হয়ে গেলাম। হুঁশ ফিরে এলে দেখি পাশে পুলিশ দাঁড়ানো। আশে পাশে অন্য কেউ নেই। পরে জেনেছি সেই মারধোরের সময় আমার চাচা আর জ্যাঠা নিজেদের লাঠির আঘাতেই হাত ভেঙ্গে পঙ্গু হয়েছে।
তারা আমার সন্তানদের আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। আমার বড় ছেলে উসমানকে তারা বাড়ি নিয়ে গিয়ে নির্দয়ের মতো পেটায়। দু’দিন পর পালিয়ে গিয়ে সে প্রাণ বাঁচায়। থানাভবনে আমাদের এক মুসলমান বান্ধবীর বাড়ি থেকে তাকে আবারও পাঁকড়াও করা হয়। তাকে মারার জন্য আমার পরিবার গুন্ডাদের নিয়ে আসে। তেরো বছরের বাচ্চাকে আট দশজন ছুরি চাকু নিয়ে মারতে থাকে। ছেলেটি ওদের ছুরি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে, জান বাঁচানোর প্রচেষ্টা চালায়। কিভাবে যেন তাদের একজনের পেটে ছুরি ঢুকে যায় এবং তৎক্ষণাৎ মারা যায়। ইতোমধ্যে একটি বাস এসে পড়ে। বাস থামিয়ে যাত্রীরা নেমে পড়লে খুনীরা দ্রুত সটকে পড়ে। দুটি মানুষ সেখানে পড়ে ছিল। একজনের সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত, আর আপরজন মৃত। পুলিশ এসে আহত ছেলেকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। জেলখানায় তাকে অমানুষিকভাবে পেটানো হয়। সে পরিষ্কার বলে দেয়, ছুরি ছিনিয়ে নেয়ার সময় আমার হাত থেকে তার পেটে ঢুকে গেছে। তাকে আগ্রা জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাতের বেলা আমি জায়নামাযে পড়ে থাকতাম। আমি নিজের নিরাপত্তার খাতিরে তালেব নামক এক ব্যক্তিকে বিবাহ করি। মহিলারা আমাকে ভয় দেখাতো। মুসলমান মহিলারাও আমাকে শুনিয়ে দিতো, বিবাহ করেছো না! তোমার ছেলে আর এখন তোমার সঙ্গে থাকবে না। তোমার ছেলেদের আর কেউ জামিন করে আনবে না।
আমার ছেলে উসমান আগ্রা জেলে নামায পড়তো, দুআ করতো। একদিন সে স্বপ্নে দেখে, আসমান থেকে একটি পর্দা নামল। লোকেরা বলছিল, বিবি ফাতেমা আসমান থেকে উসমানের জামিন করাতে আসছেন। এক সপ্তাহ পর আগ্রার এক বিত্তবান মহিলা উসমানকে জামিন করিয়ে দেয়। জামিন পাওয়ার পর দ্বীন শেখার জন্য আমি তাকে জামাআতে পাঠিয়ে দেই। আমি বাকী বাচ্চা চারটির ভবিষ্যত-চিন্তা করে খুব কাঁদতাম।
বড় মেয়েটি লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তো। তাকে নামায পড়তে দেখে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার ওপর কেরোসিন তেল ঢেলে আগুনে জ্বালাতে চেয়েছিল কিন্তু আমার আল্লাহ রক্ষা করেছেন। চারবার দেয়াশলাই জ্বালানো হয়েছিল কিন্তু তার একটি পশমও পুড়েনি। আমার দেবররা পরামর্শ করে ক্ষীরের মধ্যে বিষ মিশিয়ে আমার বড় দুই মেয়েকে খাইয়েছিল কিন্তু তাদের কিছুই হয়নি। আমার জ্যাঠাইমা মনে করেছিলেন বিষ মিশানোই হয়নি। তিনি ক্ষীর খেয়ে সাথে সাথেই মারা যান।
উসমান জামাআত থেকে ফিরে আসে। সে আর আমি পানিপথের এক এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলাম। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের দেখে ঘিরে ধরে। তারা গুলি চালায়! গুলিগুলো শাঁ শাঁ করে এদিক সেদিক চলে যায়। তারা তেইশটি গুলি করে। তেইশ নম্বর গুলিটি তাদের একজনের শরীরে লেগে তৎক্ষণাৎ মারা যায়।
আমি আমার আল্লাহর কাছে আমার সন্তানদের ফিরে পেতে দু’আ করতাম। একদিন মাওলানা গাওস আলী শাহ মসজিদে আসলেন। তিনি হযরত মূসা আলাইহিস সালামের মায়ের ঘটনা শোনালেন, আল্লাহ তাআলা ফেরআউনের ঘর থেকে তাঁকে কীভাবে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমি বাড়ি গিয়ে সিজদায় পড়ে গেলামÑ আয় আল্লাহ! যখন তুমি মূসা আলাইহিস সালামকে তাঁর মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছিলে তাহলে আমার সন্তানদের কেন ফিরিয়ে দিচ্ছ না। আমি তোমার প্রতি ঈমান এনেছি, আস্থা পোষণ করেছি। আর কার কাছে আমি ফরিয়াদ নিয়ে যাবো। তুমি ছাড়া আর কাউকেই আমি ফরিয়াদ জানাবো না। সারা রাত সিজদায় পড়ে রইলাম। চোখ লেগে এসেছিল। শুনি কে যেন বলছে আল্লাহর বান্দী খুশি হয়ে যাও। তোমার সন্তান তোমার সঙ্গেই থাকবে।
সকালে ছেলে উসমান পানিপথ থেকে কর্নাল যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে যায়। সে দেখে, তার তিন বোন ছোট ভাইটিকে নিয়ে বাস থেকে নামছে। চার ভাইবোনকে সঙ্গে নিয়ে সে খুশী খুশী বাড়ি আসে। পরের রাতেও আমি রাতভর সিজদায় পড়ে থাকি। মালিক আমার! তুমি কত ভালো! কত প্রিয়! দুঃখিনী বান্দীর আবদার শোনামাত্রই তার আদরের সন্তানদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে পাঁচ-ছয়বারই এমন হয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে আর আমার বাচ্চাদের খোঁজ করতো এমনকি আমরা তাদের দেখতাম কিন্তু মনে হতো তারা যেন অন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিটি বাঁকেই আমার মাওলা আমাকে ভরসা দিয়েছেন। এমন মালিকের আমি কেমন মুখে গুণ গাইবো।
আহমদ আওয়াহ: আপনি বাচ্চাদের তরবিয়তের কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?
খাইরুন নিসা: বড় ছেলে উসমান কুরআন পড়ে নিয়েছে। প্রতি বছর জামাতে যায়। বর্তমানে কাজ করছে। আমি দম করে কাজে পাঠিয়ে দেই এবং মালিকের হেফাজতের ভরসায় নিশ্চিন্ত থাকি।
বড় দুই মেয়ের বিবাহ আল্লাহ তাআলা করিয়ে দিয়েছেন। জামাই দুটি খুবই দীনদার ও সৎ। আমার মেয়ে খুব পাক্কা মুসলমান। তাদের বিয়ের সময় আমার ছেলে আগ্রা জেলে ছিল। আল্লাহ তাআলা জামিনের ব্যবস্থা করেছেন। সে তার বোনদের হাসিমুখে তুলে দিতে পেরেছে। ছোট মেয়ে আর ছোট ছেলেটি মাদরাসায় পড়ছে।
আহমদ আওয়াহ: আপনি তো মাশাআল্লাহ পর্দায় থাকেন। নামাযের খুব পাবন্দী করেন। এতে আপনার কেমন লাগে?
খাইরুন নিসা: ঈমান গ্রহণের পর আমি পদে পদে আমার আল্লাহর সাহায্য প্রত্যক্ষ করেছি। নামাযে আমি খুবই স্বাদ অনুভব করি। ছয় বছর ধরে আমার তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত আউয়াবিন বাদ পড়েনি। আমার এখানে কী কৃতিত্ব, আমার মালিকই আমাকে পড়ার সুযোগ দিয়েছেন। কোনো প্রয়োজন হলেই আমি জায়নামাযে চলে যেতাম। মালিকের কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে নিশ্চিত হয়ে যেতাম যে, এখন আমার প্রয়োজন সমাধা হবেই হবে।
পর্দাকে আমি আমার মালিকের নির্দেশ মনে করি। পর্দাবস্থায় আমার মনে হয় কোনো দূর্গে অবস্থান করছি। আর আমার মালিক আমাকে এই দূর্গে দেখে খুশী হচ্ছেন। আমার তো আশ্চর্য লাগে যে, কৃতিত্ব, গোটা পানিপথে স্বল্পসংখ্যক মহিলাই বোরখা পরে। অনেকটা না পরারই মতো। জানিনা আমরা কেমন মুসলমান। না আল্লাহর ওপর ভরসা আছে, আর না আস্থা। আমার বিশ্বাস, মুসলমান যদি আল্লাহ তাআলার ওপর ঈমান-একীন দৃঢ় করে নেয় তাহলে চাঁদ-তারাও তাদের অনুগত হয়ে যাবে।
আহমদ আওয়াহ: আপনার মেয়েরাও পর্দা করে?
খাইরুন নিসা: আল্লাহর শোকর! আমার মেয়েরাও খাঁটি পর্দা করে। তাদের দেখে তাদের শ্বশুরালয়ের লোকজন খাঁটি পর্দা শুরু করেছে। ধন্যবাদ সেই রাহীম কারীমের যিনি আমাদের শয়তান থেকে হিফাযতের জন্য পর্দার উপঢৌকন প্রদান করেছেন। অথচ এটাকেই কিনা আমরা বন্দিদশা মনে করছি। আমার তো বেপর্দা হিন্দু মহিলাদের দেখেও আফসোস হয়। সত্য বলছি, আমি শুনেছি, মহিলারা নিজের ওপর পতিত দৃষ্টিকে অনুভব করতে পারে। আমার তো মুসলমান হওয়ার এবং পর্দা করার পূর্বে আত্মীয়-অনাত্মীয় প্রত্যেক পুরুষদের দৃষ্টিকেই কাপড় ভেদ করে ইজ্জত লুণ্ঠনকারী মনে হতো। আমার প্রচন্ড রাগ হতো, সাথে লজ্জাও। আমার আল্লাহ আমাকে এমন দ্বীন দিয়েছেন যা আমাকে এই আযাব থেকে রক্ষা করেছে।
আহমদ আওয়াহ: মুসলমান ভাই-বোনদের উদ্দেশ্য কিছু বলবেন?
খাইরুন নিসা: দুটি কথাই বলতে চাই। আমরা যে সকল মুসলমান ভাইবোন পৈত্রিকসূত্রে ইসলাম লাভ করেছিÑ তাদের মধ্যে এই পেয়ারা দ্বীনের মূল্য নেই। আফসোস হয় দ্বীনকে তারা বোঝা মনে করে। বিশেষত নামায পর্দা ইত্যাদিকে। আপনারা এই নেয়ামতের মূল্যায়ন করুন। আপন রব ও রাসূলের প্রতি ইয়াকীন রাখুন। ঈমান গ্রহণ করে এর প্রতিফল প্রত্যক্ষ করুন। এরা যখন ঈমানের গুরুত্বই অনুধাবন করে না তখন স্বভাবতই কেউ ঈমান নিয়ে মরুক আর ঈমানবিহিন দোযখে চলে যাক এতে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের গোটা মানবজাতিকে দোযখ থেকে বাঁচানোর ফিকির করা দরকার।
আহমদ আওয়াহ: আপনার পরবর্তী প্রোগ্রাম কী?
খাইরুন নিসা: কুরআন শরীফ হিফয করার ইচ্ছা আছে, ফুলাত গিয়ে কুরআন মাজীদ হিফয করতে হবে এটা আমার পাক্কা এরাদা। দুই ছেলেকেই দ্বীনের সৈনিক ও দাওয়াতের কর্মী বানাবো। বড়টি তো কাজে লেগে গেছে। ছোটটি যেন খাজা আজমীরি রহ.-এর মতো লক্ষ লক্ষ লোককে মুসলমান বানাতে পারে দৈনিক তাহাজ্জুদে সেই দুআ করি। আল্লাহকে বলি, তুমি তো মূর্তিপূজকের ঘরে ইবরাহীম আ.-কে পয়দা করেছো। তাহলে তোমার জন্য এটা কিসের মুশকিল? ছোট ছেলেটিকে হাফেজ আলেম দ্বীনের দা‘য়ী বানাতে হবে। আমার আল্লাহ অবশ্যই আমার আরজু পুরা করবেন। আজ পর্যন্ত তিনি আমার কোনো আবেদন নামঞ্জুর করেননি।
আহমদ আওয়াহ: অনেক অনেক শোকরিয়া! আপনি আমাদের জন্যও দুআ করবেন।
খাইরুন নিসা: আমার কী যোগ্যতা আছে? আপনিই আমার জন্য দুআ করবেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে আমাদের নবী আহমদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাচ্চা ওয়ারিশ বানিয়ে দিন। আমীন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে
মাও. আহমদ আওয়াহ নদভী
মাসিক আরমুগান, জুন- ২০০৩