বুধবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
‘শিশু, নারী এবং নিরীহ মানুষের কী দোষ? তারা তো দায়ী নয়। সাধারণ জনগণকে আক্রমণের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমর্থন করা উচিত নয়।’ কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে বিবিসিকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (মিয়ানমারের) এটি বন্ধ করা উচিত। পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের উচিত ধৈর্যের সঙ্গে এ অবস্থা মোকাবিলা করা। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংসদে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মিয়ানমারকে তাদের সব নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং তাদের জন্য একটি ভালো পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে।’
মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধির জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন, যাতে তারা তাদের জনগণকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বিনয়ের সঙ্গে তাদের আশ্রয় দেব, যাতে তারা খাদ্য, চিকিৎসা পায়।’
কত দিন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবেন—বিবিসির সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত দিন তাদের ফেরত না নেওয়া হবে। তারা মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থায় আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। আমরা মানুষ।’ [প্রথম আলো-১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং, অনলাইন সংস্করণ]
মাশাআল্লাহ। একজন দরদী নেত্রী হিসেবে তার অবস্থান তুলে ধরায় আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
যে কারণেই হোক তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে জানি। সরকারের খারাপ কাজগুলোকে খারাপ বলার সাথে সাথে ভাল কাজগুলোকে সাপোর্ট করা উচিত।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ মানবিক আচরণকে শ্রদ্ধা জানাই। আশা করি তিনি আরো জোড়ালোভাবে এ সংকট নিরসনে কাজ করবেন। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার বর্বর সরকারের উপর চাপ সৃষ্টিতে দৃঢ় ভূমিকা রাখবে তার এ সফর।
মুক্তি পাক মানবতা। ধ্বসে যাক বর্বর ও বর্বরতা।