শনিবার, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব ইজতেমা ২০১৯ খিত্তার জিম্মাদারদের নাম ঘোষণা

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের খিত্তার জিম্মাদার সাথীদের নাম ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইল থেকে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের আহমদ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এবারের বিশ্ব ইজতেমার খিত্তার জিম্মদার সাথীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

Default Ad Content Here

এদিকে টঙ্গীর অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ প্রায় শেষ পর্যায় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার বিকেল থেকে ১০ শর্ত সামনে নিয়ে কাজ করছে তাবলিগের সাথীরা।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। এতে দুই পক্ষ দুই দিন করে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা যায়।

খিত্তার জিম্মাদারগণের নাম

ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি নিয়ে গত বুধবার বিকেলে ত্রিপক্ষীয় এক জরুরি বৈঠকে ইজতেমা শুরুর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে দুই ঘণ্টাব্যাপী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের নেতৃত্বে তাবলিগ মুরুব্বীদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় গাজীপুর সিটি মেয়র মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া তাবলিগের মুরুব্বীদের মধ্যে আহলে শুরা কাকরাইলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মাহফুজুর রহমান, মুফতী নেছার উদ্দিন, মুফতি নূরুল ইসলাম। আর সা’দপন্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইঞ্জিনিয়ার মুহিবুল্লাহ, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হারুন অর রশিদ, শহীদ উল্লা, মনির হোসেন।

ইজতেমা মাঠে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সবার সামনে তুলে ধরেন। সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আহলে শুরা কাকরাইলের পক্ষে হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদের নেতৃত্বে ইজতেমা শুরু করে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ করে চলে যাবেন।

২। মাওলানা সা’দ অনুসারীগণ ১৭ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করবেন এবং ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবেন।

৩। মাওলানা জোবায়ের আহমদ ও উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বুধবার থেকে ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতি কাজ শুরু হবে।

৪। ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে তাদের ইজতেমা।

৫। প্রথম পক্ষ প্রশাসনের উপস্থিতিতে সা’দপন্থীদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন।

৬। দুই পক্ষের ইজতেমা শেষে ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি কাজে লাগানো সরঞ্জামাদীর বিষয়ে দুই পক্ষের মুরুব্বীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

৭। ইজতেমা শেষে ময়দানে মুসল্লিদের ব্যক্তিগত মাল ছামানা ছাড়া বাকি সকল মালামাল স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে।

৮। মাওলানা জোবায়ের আহমদের নেতৃত্বে বিদেশি মেহমানরা দুইদিন ইজতেমা শেষে উত্তরা হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন।

৯। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা সা’দ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন না।

১০। ইজতেমা চলাকালীন উভয় পক্ষের তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গীর আশপাশ এলাকার মসজিদে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন।

Archives

December 2024
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031