সোমবার, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ফিরদাউস হাসান
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
গত 25 ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুর 12 টা 40 মিনিটে হঠাৎ একটি ফোনকল আসে। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলাধীন নেওয়াশি ইউনিয়নের চাকের কুটি গ্রামের শ্রী রতিকান্তর ছেলে শ্রী সাবলু চন্দ্র একটি মুসলমান মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে আসে। সংবাদ পেয়ে ছুটে যাই সেখানে। দীর্ঘক্ষন কথা হয় রতিকান্ত এবং তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের সঙ্গে।
মেয়েটার নাম মল্লিকা।
পিতা মৃত আব্দুল মালেক।
মাতা নূরজাহান বেগম।
গ্রাম: ছোট খাটা জয়মনির হাট ভুরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম।
মেয়েটির যে তথ্য দিল, রীতিমতো চমকে উঠার মত। তাদের বিয়ে হয়নি, কিন্তু ছয় বৎসর যাবৎ ঘর সংসার করছে। মেয়েটি এখনো সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেনি। ছেলেটি এখনো পর্যন্ত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি। উভয় পুজামন্ডবে কি বিয়ে বিবাহ করেছে। তাদের কাছে কোন ডকুমেন্ট নাই। নেই কোন মেরিট সার্টিফিকেট , এফিডেবিটের কাগজও নেই। অবশ্য থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি।
মেয়েটিকে সতর্ক করা হলো, মেরিট সার্টিফিকেট , এফিডেবিটের কাগজ না থাকলে আপনার স্বামী আপনাকে ধোঁকা দিতে বেশি সময় লাগবে না। মেয়েটি নিজের ভুল বুঝতে পেরে সে গভীরভাবে ঘাবড়ে গেল। এলাকার লোকজন একত্রিত হওয়ায় পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য মেয়েটিকে আহ্বান করে সেখান থেকে বিদায় নেই। পরে বিকেলে এসে থানায় রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। ওসি সাহেব ধন্যবাদ জানিয়ে আমাকে বিদায় দেয় এবং বলে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।