বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
জোরেশোরে চলছে চট্টগ্রাম জেলা ইজতিমার প্রস্তুতি
আলী আজম
—————–
রাতদিন তফাৎ নেই কাজে। কেউ বসে নেই। যেন এসব নিজেরই কাজ। কী ধনী কী গরীব! সর্বস্তরের শ্রেণী পেশার মানুষ সর্বদা নিয়োজিত আখিরাতের জন্য কিছু জোগাড় করতে। ইজতিমার ময়দান তৈরির কাজে অংশগ্রহণ করা কারোর মধ্যে কোনোপ্রকার পেরেশানি নেই। ভিন্নমতের মানুষরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে অংশগ্রহণ করছে। তারা একাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। একাজকে তারা পুণ্যের কাজ মনে করছে। দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসছে হাজার হাজার তাওহীদি জনতা। বসে নেই স্থানীয়রাও।
ইজতিমার মাঠ তৈরির কাজে খুব বেশি ভূমিকা রাখছে অত্র অঞ্চলের কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা। লেখাপড়ার ফাঁকেফাঁকে তারা প্রতি বৃহস্পতিবার শুক্রবার ছাড়াও পালাক্রমে দৈনন্দিন ছুটে আসছে চারিয়া ময়দানে। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মত ব্যাপার হলো গোটা চট্টলার প্রসিদ্ধ সব আলেম উলামারা নিয়মিত চারিয়া ময়দানে আসাযাওয়া করছেন। কাজের দেখাশোনা খবরাখবর নিচ্ছেন। অনেকে আবার সরাসরি কাজে অংশ নিচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি মাদ্রাসার জিম্মাদারগণও বসে নেই। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন তারা সকলেই।
.
সবার মধ্যে কী এক উৎসাহ উদ্দীপনা! কী এক দরদ। কওমের হেদায়াতের ফিকির তাদেরকে সদাসর্বদা ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে। সফল ইজতিমা উপহার দিতে সবাই মরিয়া। প্রায় বিশ লক্ষ বর্গফুট বিস্তৃত একালা জুড়ে তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা ইজতিমার প্যান্ডেল। বিদেশী এবং উলামা হযরতদের জন্য আলাদা কক্ষও তৈরি হচ্ছে। এরমধ্যে কিছু জায়গা সমতল আবাদী। আবার কিছু জায়গা জলাশয় অনাবাদী। সব জায়গাকে ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ কৃষিজমিকে নতুন করে ইজতিমার জন্য উপযোগী করা হচ্ছে।
বুঝতেই পারছেন কোনো কৃষিজমিকে লাখোলাখো মানুষের ইজতিমার জন্য উপযোগী করে তোলা কতটা কষ্টসাধ্য। অনেকটা অসাধ্যসাধনের মত করে কাজ করছে তাবলীগের সাথী ভাইয়েরা। ময়দানের অভ্যন্তরে থাকা প্রায় পাঁচ ছয়টির মত পরিত্যক্ত পুকুরকে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ময়দানের চতুর্পার্শ্বে মুসল্লিদের জন্য বিশুদ্ধ পানির হাউজ, টয়লেট সহ যাতায়াতের সুব্যবস্থা করা হচ্ছে। সময় রয়েছে সপ্তাহ খানেক, কাজ বাকী রয়েছে অসংখ্য। সকলের আন্তরিক দোয়া চাই।
পুনশ্চ:- আগামী ২৬.২৭.২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা ইজতিমা অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।