শুক্রবার, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
অনন্ত জলিল ঢালিউডের আলোচিত নায়কদের মধ্যে একজন। বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তিনি। বিশেষ করে বাংলা ছবির দর্শকরা তাকে এক নামেই চেনেন। ছবিতে ব্যতিক্রমধর্মী উপস্থাপনের মাধ্যমে ২০১০ সালে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তার সর্বশেষ ছবি ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর ব্যবসা ও পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। চলতি বছরে এসে চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে ফের আলোচনায় আসেন তিনি। ‘স্পাই’ নামে একটি ছবিতে কাজ করার বিষয়ে ঘোষণা দেন তিনি। এ ছবির ঘোষণা দিলেও কিছুদিন আগে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যান অনন্ত জলিল। আর সেখান থেকে ফেরার পর নতুন কোনো ছবির শুটিংয়ে দেখা যায়নি তাকে। গত শনিবার অনন্ত তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেনÑ বন্ধুগণ, আমি আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আসছি ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। আপনাদের/ তোমাদের সাথে কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপারে আলোচনা করব। সবার উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য। আমার সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকবে। দেখা হবে সবার সাথে। এ ঘোষণা দেয়ার পর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে লোকজন ভিড় করা শুরু করে। সন্ধ্যা হতে না হতেই হাজারো মানুষ ভিড় করে রবীন্দ্র সরোবরে। সেখানে অনন্ত জলিলের পরনে ছিল জুব্বা আর মাথায় পাগড়ি। জানা যায়, গত শনিবার ধানমন্ডির একটি মসজিদে ইসলামের বাণী ছড়াতে তাবলিগ জামাতে যোগ দেন অনন্ত। সেখান থেকে দাওয়াতি এক টিম নিয়ে হাজির হন রবীন্দ্র সরোবরে।
সেখানে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষকে অনন্ত জলিল বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের প্রতিটি নিয়ম কানুনই মানুষের শান্তির জন্য। তাই আসুন আমরা ইসলামের পথে চলি। ইসলামের বিধিবিধানগুলো মেনে চলি। রবীন্দ্র সরোবরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নেননি অনন্ত। এজন্য বেশিক্ষণ তিনি সেখানে থাকতে পারেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার সম্মুখীন হন। পরে ফেসবুকে অনন্ত জলিল জানান, তিনি অনুমতি নেয়ার বিষয়টি জানতেন না। অনুমতি নিয়ে শিগগিরই তিনি সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। উল্লেখ্য, সবশেষ অনন্ত ও বর্ষাকে ম্যাক্স কোলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতে দেখা যায়। এর আগে গ্রামীণফোন ও যমুনা গ্রুপের পেগাসাস মোটরবাইকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন অনন্ত জলিল।