বুধবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
হাবিবুর রহমান মিছবাহ আইতাছে। ওরে ঠেকাইতে পারলেই সব দমন। এইডা ওহাবীদের সম্রাট! হেয় আমগো হুজুররে মেডইন জিঞ্জিরা জৈনপুরী কয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে খাড়া! ওরে আইজ ঠেকাইতেই হইবো। ভাই দ্যাখ! হেরে ঠেকাইতে যাইয়া যেনো আবার নিজেরা ঠেইকা না যাই। ওহাবীগোর ডরভয় কম। এইডা তো আরো ডেঞ্জারাস! দেখো না কেমনে প্রতিবাদ করে! ঐহ শালা! তুই কি সুন্নী গ্রুপের নাকি মিছবাহ’র লোকরে? মিছবাহ’র দালালী করোস ক্যান? নারে ভাই! আমার কিন্তু ডর লাগতাছে! বলছিলাম ০৮/০১/১৮ মতলব উত্তর কিনাচক যুব সমাজের উদ্যোগে মাহফিলের কথা। যুব সমাজের পক্ষ থেকে সাইদুল আমার সাথে সবসময় যোগাযোগ রেখেছে। বিনয়ী ও ভদ্র একটা ছেলে। প্রবাসী হাবিব এই মাহফিলে অনেক ভূমিকা রেখেছে। অন্যান্য যুবকদের পরিশ্রম আর ত্যাগও অস্বিকার করার সুযোগ নেই।
মাহফিলেস্থলে যাবার পর উপরোক্ত কথোপকথনের খবরটা জানতে পারি ওখানের কিছু লোক থেকেই। তারা মাহফিলে আসার পথে বিদআতীদের ঐ ষড়যন্ত্রের কথা শুনে ফেলে। জানতে পারি- স্থানীয় বেদআতী ইমামরা চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছে যাতে আমাকে মাহফিলে যেতে দেয়া না হয় অথবা মাহফিলটাই বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নাই। এলাকায় একটা আতংক ছড়িয়ে দেয় মাহফিলে হামলা করবে বলে। তবুও মাহফিলে শ্রোতাদের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে বিদআতীদের দিন শেষ।
শেষ পর্যন্ত ওদের চাপে ওদের পক্ষ হতে একজন বক্তা রাখতে বাধ্য হয় মাহফিল কমিটি। সে বয়ানে উঠে নবীজির নাম নিয়েই বেয়াদবী শুরু করে। সূরে সূরে দরূদ পড়তে গিয়ে বলে ‘আল্লাহুম্মা ছল্লেআলা ছাইয়্যাদেনা মাওলানা মোহাম্’! নাউযুবিল্লাহ! মুহাম্মদ পুরোটা না বলে অর্ধেকে গিয়ে ছেড়ে দেয়। ওরা নাকি আবার রাসূলের আশেক। যতোটুকু সময় দেয়া হয়েছে, তার চেয়ে তিনগুণ সময় নষ্ট করে বলে, আমি বাড়তি সময় নেইনি এবং যা বলেছি সব কুরআন হাদিস অনুযায়ী বলেছি! অথচ পুরো সময় যতোটুকু কথা বলেছে সব ভুল, আরবী উচ্চারণে ভুল এবং বেশীরভাগ সময় কাটিয়েছে ঐ ভুলে ভরা দরূদ দিয়ে! পরে জানতে পারি উনি একজন স্কুলের হুজুর স্যার!
বয়ানে ওঠার আগে আগে দেখা করতে আসেন মতলব শিক্ষা অফিসার আশরাফ ভাই। তাকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে বয়ানে যাই। বয়ান করি প্রকৃত রাসূলের আশেক ও নবীজিকে মুহাব্বত করেন কারা তা নিয়ে। আশা করি যারা গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলিকে ভুল বুঝিয়ে রেখেছিলো, সেই মানুষগুলির ভুল এবার ভেঙ্গেছে ইনশাআল্লাহ। চিনে ফেলেছে ঐ বিদআতী ধান্দাবাজদের। কিনাচক যুব সমাজকে মোবারকবাদ, তারা এমন একটা এলাকায় আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়ায়।
ফেইসবুক ওয়াল থেকে