বৃহস্পতিবার, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
👉চার কাজ করিলে তাবলিগের কাজ করিতে পারিবে –
১) কথা বলিবে নিজের জন্য,
২) কথা শুনিবে নিজের জন্য,
৩) শোকর করিবে নেক আমলের জন্য,
৪) কুদরতের চিন্তা করিবে শোয়ার সময়ে।
👉সবার জন্য ৪ কাজ –
১) আল্লাহর দ্বীন শিখা ও অন্যকে শিখানো,
২) দ্বীনের মেহনত শিখা ও অন্যকে শিখানো,
৩) দ্বীনের মেহনত করা ও অন্যকে করানো,
৪) আল্লাহ দ্বীনের উপর চলা ও অন্যকে চালানো।
সবকিছুই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য নেই।
👉সাথীদের ৪ কাজ – ১) জিম্মাদারকে মহব্বত করা, ২) জিম্মাদারের মন যুগিয়ে চলা, ৩) জিম্মাদারের মন বুঝে চলা, ৪) ইজতেমায়ী আমলে জুড়িয়ে থাকা
👉সাথী ভাইদের ৫ টি সিফত –
১) সবাইকে মাফ করা
২) সর্বদা সবর করা।
৩)কারো সমালোচনা না করা।
৪)এবং কারো সমালোচনা না শুনা।
৫)কেউ সমালোচনা বা তিরষ্কার করলে ধৈর্য ধরা এবং তার হেদায়াত এর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
👉আখলাক ও এখলাস পয়দা করতে হলে অপরের দোষের মধ্য হতে গুন খুজে বের করতে হবে এবং এখলাস হল নিজের গুনের মধ্য থেকে দোষ খুজে বের করতে হবে।
প্রতি সাথীর চারটি অঙ্গীকার হওয়া উচিত –
১) আল্লাহর হুকুম ভাঙ্গিব না,
২) রাসূল (সাঃ) এর তরিকা ছাড়ব না,
৩) মনমত চলিব না,
৪) আল্লাহর নাফরমানি করব না।
👉জিম্মাদারের ৪ কাজ – ১) সাথীদের মহব্বত করা, ২) সাথীদের জন্য দোয়া করা ৩) সাথীদের বে-উসুল না ধরা, ৪) সাথীদের দ্বায়ী বানানোর জন্য মেহনত করা।
👉যে যে কারনে সাথীদের মধ্যে তোড় পয়দা হয় –
ক) সাথীদের এসলাহের পিছনে না পড়া ।
খ) সাথীদের উসুলে আনার জন্য ফিকির না করা
গ) সাথীদের প্রতি খেদমত না করা
ঘ) সাথীদের প্রতি একরাম না করা ঙ) নিজের উসুলের উপর লেগে থাকা ।
👉সাথী জোরানো বা জোড় মিল মহব্বত এর জন্য ৫টি ফিকির –
১) সাথীদের সালাম দেয়া
২ ) সাথীদের একরাম করা
৩ ) সাথীদের হাদিয়া দেয়া
৪) সাথীদের নাম নিয়ে নিয়ে দোয়া করা
৫ ) সাথীদের অগোচরে তারিফ করা।
👉 দাওয়াত ও তাবলিগ এর দাঈ-এর কয়েকটি সিফত অর্জন করা-
১) ছোট হইয়া চলা,
২) নত হইয়া চলা,
৩) আকাশের মত উদার,
৪) পাহাড়ের মত অটল,
৫) মাটির মত নরম,
৬) সূর্য্যরে মত দাতা,
৭) উটের মত ধৈর্য্য,
৮) ব্যবসায়ীদের মত হেকমত,
৯) কৃষকের মত হিম্মত,
১০) এখলাছের মত দাওয়াত,
১১) এস্তেকামাতের সাথে জমিয়া থাকা।
১) সালাম দেওয়া,
২) খানা খাওয়ানো,
৩) ভাল ভাল কথা বলা,
৪) সাথীদের সাথে রাগ না করা,
৫) নিজ কর্মের জন্য তওবা ইস্তেগফার করা,
৬) বেশী বেশী দান খয়রাত করা,
৭) নিজেকে সর্বাবস্থায় নিজকে ছোট জানা ও অপরকে বড় জানা,
৮) নিজের ধন দৌলত, পদমর্যাদার উপর কখনও অহংকার করা,
৯) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেয়া।
👉তাবলীগী ভাইদের নিয়মিত ১২ কাজ :
১) মার্কাজের সাথে যোগাযোগ রাখা ।
২) মুরব্বীদের সোহবতে থাকা
৩) মুরব্বীদের তাকাজা অনুযায়ী চলা ।
৪) সাথীদের সাথে জোড়মিল রাখা ।
৫) মোয়ামেলা, মোয়াশেরাত, আখলাক যথাযথভাবে পালন করা ।
৬) কানায়াতের সাথে (উপবাস) চলা ।
৭) ঈমানের মূল কাজ দাওয়াতের সাথে চলা ।
৮) দৈনিক মাশোয়ারা করা (মসজিদে ও ঘরে)
৯) তালিম করা (মসজিদে ও ঘরে) ।
১০) দৈনিক আড়াই ঘন্টা মেহেনত করা ।
১১) সপ্তাহে দুই গাস্ত (নিজ মহল্লায় ও অপর মহল্লায় )
১২) মাসে তিন দিন সময় লাগানো ।
আলেমদের প্রতি তাজিম করা । কেননা আলেমরা হচ্ছে-
ক) চোখের মনি
খ) মাথার তাজ
গ) কলিজার টুকরা ।
আলেমদের নিকট যাওয়া
ক) জিয়রতের উদ্দেশ্যে
খ) সওয়াবের আশায়
গ) দোয়ার উদ্দেশ্যে
ঘ) এলেম শেখার উদ্দেশ্যে ।
রিয়া থেকে বাঁচার ৩ টি আমল –
১) দিলকে দুনিয়ার খেয়াল থেকে খালি করা,
২) শরীরকে মাখলুক থেকে খালি করা,
৩) সব কাজ নিজের হোক বা অপরের হোক, ভাল হোক, মন্দ হোক, দুনিয়ার হোক বা আখেরাতের হোক, সব কিছ আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে হয় এ কথার একীন দ্বীলে পয়দা করা।
আল্লাহ সবাইকে মৃত্যু পর্যন্ত নবীওয়ালা মেহনত করার তৌফিক দান করুন।আমিন।