শুক্রবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৫ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
গতরাতের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় হয়ত অনেকে আতঙ্কিত। নানা আশংকা দানা বাঁধছে। সারারাত অস্থীর ছিলাম আমিও। অবশেষে স্বস্তির নিঃশাস ছাড়লাম, যখন জানলাম রাত তিনটার দিকে সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে।
কিন্তু সেনাবাহিনী খুঁজে খুঁজে এভাবে ওলামায়ে কেরামকে কেন আটক করলো?!
প্রাথমিকভাবে তিনটি সম্ভাবনা সামনে এসেছে।
১. সেনাবাহিনীর ঘোষণায় সবচেয়ে শক্তিশালী কারণ যা মনে হচ্ছে তা হলো, রাতেও ক্যাম্পের ভেতরে বা রাস্তায় অবস্থান করা। কারণ তারা ফরমান জারি করেছে বিকেল পাঁচটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত সবাই ক্যাম্প এলাকার বাহিরে থাকবে।
এটা তো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। কারণ ভেতরে কতধরণের মানুষ আছে, যদি আপনি আক্রান্ত হন এর দায় কে নেবে?
২. এই জুম’আয় একজন বক্তা এখানকার কোন এক মসজিদে জুমআর খুতবায় জিহাদের ঘোষণা দিয়েছেন!
স্থানীয় প্রত্যেকটা মসজিদে গোয়েন্দা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
সতর্কতা হিসেবে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা কঠোর হবে এতে আশ্চর্যের কি আছে!?
৩. বিশাল বিশাল দলে আমাদের আগমন। ক্যাম্পগুলো একেকটা পর্যটন স্পট!
শাহপরীর দ্বিপে মাঝেমধ্যেই মোহাজিররা আসেন, কিন্তু কোন তথ্য ছাড়াই সবসময় সেখানে ভিড় জমাই!
অনেক গ্রুপের সাথে কথা বলেই জেনেছি, এক-দুই লাখ টাকা নিয়ে এসেছেন, কিন্তু সদস্য দশজন!
শৃংখলা টিকিয়ে রাখতে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার বিকল্প কি!?
কিছু হলেই তো আমাদের মাথায় আশংকা ঘুরপাক খায়, সব দোষ নন্দঘোষ! আমরা স্বাধু!
আবেগের ফ্যাক্টরি থেকে অনিয়ন্ত্রিত আবেগ যে হারে প্রসব হয় তাতে আমাদের কপালে এরচেয়ে খারাপ কিছু আসলেও অবাক হবো না!
মাঝখানে যারা সত্যিকার অর্থে কিছু খিদমত করছেন তাদের পথকে করে দিলেন কঠিন!
আমরা জিহাদ করবো?
বিশৃঙ্খল বাহিনী বিজয় লাভ করেছে এমন কোন নজির কি পৃথিবীতে আছে?
খোদ ওহুদের যুদ্ধই আমাদের সামনে প্রমাণ!
প্লিজ, আসুন নিয়ন্ত্রিত হই!
প্রচার করুন, সজাগ করুন।