বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
গত সোমবার দিবাগত রাতে হাটহাজরি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম‘র শায়খে সানি আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বছরের সর্বশেষ দরস দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষ নসিহত পেশ করেন।
প্রায় তিনঘণ্টাব্যাপী এ নসিহতে তিনি বলেন, আপনাদের খোশনসিব , আপনারা উম্মুল মাদারিসের ফারিগ হতে যাচ্ছেন। আজকের এ দিনে আমার হৃদয়ের ভাবনা অনেক। আমি আমার বক্তব্য কীভাবে পেশ করবো, কোথা থেকে শুরু করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।
প্রখ্যাত উর্দু কবি ‘আমীর মীনাঈ’ এর একটি কবিতা মনে পড়ছে, امیر جمع ہیں احباب درد دل کہ لے، / پہر التفات دل دوستاں رہے رہے نہ رہے ‘আজ বন্ধুরা সমবেত, বিদগ্ধ মনের যত ব্যথা খুলে বলো / কে জানে, এ সুযোগ ফের কবে আসে?’
দীর্ঘএকবছর ইলমে হাদিসের দরস লাভ করেছেন আপনারা।আপনাদের খানাপিনা, লেবাস-পোশাক যদিওবা খুবই সাধারণ, কিন্তু আপনাদের বুকে আছে উলুমে নুবাওয়াত। উলুমে নুবাওয়াত যেখানে নেই, সেখানে শুধুই হাহাকার। আল্লাহ পাক আপনাদেরকে উলুমে নুবাওয়াত অর্জন করার সৌভাগ্য দিয়েছেন।
হাটহাজারি মাদরাসার শায়খে সানি বলেন, আপনারা কারা? আপনাদের কর্তব্য আর যিম্মাদারি কী? এটা আপনাদেরকে বুঝতে হবে।আপনাদের পরিচয় কী? আপনাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কী? এটা সর্বপ্রথম আপনাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে।আপনাদের সম্পর্ক গেঁথে আছে অনেক ওপরে।
দারুল উলুম হাটহাজারি, দারুল উলুম দেওবন্দের সম্পর্ক মিশে আছে মসজিদে নববীর দারুস সুফফার সঙ্গে। সুতরাং আপনার মূল শিকড় গেঁথে আছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ।
খ্যাতিমান এ হাদিস বিশারদ বলেন, আপনাদের পূর্বসূরিতে সাহাবায়ে কেরামের পবিত্র জামাত পাওয়া যায়। তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়িন, আইয়েম্মায়ে মুজতাহেদিন, ছলফে সালেহিন, মুহাদ্দিসিন ও আকাবিরে দেওবন্দ ও আকাবিরে হাটহাজারির মকবুল জামাত পাওয়া যায়।
এসব সম্পর্ক আপনাদের শিকড়ে থাকায় আপনাদের ওপর এক মহান যিম্মাদারি এসে পড়েছে। আপনারা এখন কাজের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। জাতি চাতক পাখির ন্যায় আপনাদের জন্য অপেক্ষমাণ। পিপাসিত ও তৃষ্ণার্ত এজাতির নেতৃত্ব আপনাদেরকেই দিতে হবে। দিশেহারা এজাতির দুনিয়া ও আখেরাত আপনাদেরকেই সুনিপুণ গড়তে হবে।
এক্ষেত্রে আমি আপনাদেরকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিচ্ছি, যেগুলো আপনাদের জীবনের পাথেয় এবং মাইলফলক হবে। এগুলো মানতে পারলে আপনাদের কামিয়াবি সুনিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ!
এক. আকিদা ও আমল উভয় ক্ষেত্রেই আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসরণ করতে হবে। এ দলই হচ্ছে একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল। বাকি অন্যান্য দল হচ্ছে জাহান্নামি। কোনোরকম লোভ-লালসা এবং ভয়ভীতি যেন এ পথ থেকে আপনাদের ফেরাতে না পারে।
এ জামাতে থাকলে দারুল উলুম হাটহাজারির সনদ আপনাদের জন্য হবে, এ জামাত থেকে বের হয়ে গেলে আমার বা আমাদের পক্ষ থেকে ইলমে হাদিস প্রচার করতে আপনাদের জন্য কোনো ইযাযত নেই। সম্পূর্ণ সনদ এবং ইযাযত বাতিল হয়ে যাবে।
এজন্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ এবং সাহাবায়ে কেরামদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে।
দুই. ইহসান তাযকিয়া তথা আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। এর অপরনাম হচ্ছে তরিকত। বাহ্যিক ইলমের সঙ্গে আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করতে হবে। ওলামায়ে দেওবন্দ ও ওলামায়ে হাটহাজারির একহাতে আছে শরিয়তের পাত্র আরেক হাতে আছে তরিকতের ঝান্ডা।
তারা উভয় হাতে এসবের ব্যবহার করতে পারে। একহাতে শরীয়তের পাত্র আঁকড়ে ধরে আছে, অপর হাতে তরীকতের ঝাণ্ডা উড়াচ্ছে। অন্য যারা দেওয়ানবাগী,কুতুববাগী, আটরশী, ভাণ্ডারী ও ফুলতলী, তারা তরিকতের ঝান্ডার আঘাতে শরিয়তের পাত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। শরিয়ত ছাড়া যেহেতু তরিকত হয় না,তাই তাদের কাছে শরিয়ত তো নেই-ই, তরিকতও নেই। ওরা গোমরাহ।
আল্লামা বাবুনগরী বিদায়ী ছাত্রদের তরিকতের লাইনে মেহনত করার জোর আহবান জানান। কোনো একজন খাঁটি সুন্নাতি পীরে কামেলের হাতে বায়াত হয়ে অন্তরের শুদ্ধতা অর্জনের প্রতি গুরত্বারোপ করেন।
তিন. জীবনের প্রতিটি কাজ একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে করতে হবে। দুনিয়াবি যশ-খ্যাতি পায়ের নিচে রাখতে হবে। পদ এবং অর্থের লোভ হৃদয় থেকে বের করতে হবে।
যেকোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান দুটো কারণে ধ্বংস হয়, এক হচ্ছে পদের লোভ, আরেকটা হচ্ছে অর্থের লোভ। এজন্য এই দু‘প্রকার লোভ নিজেদের দিল থেকে পরিত্যাগ করতে হবে।
ইস্তেকামত ফিদ্দীন, ইনাবত ইলাল্লাহ, এবং তাকওয়ার মজবুত প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে। এজন্য তাযকিয়ায়ে নফস তথা আত্মশুদ্ধির বিকল্প নেই।
চার. জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন এবং আন্তর্জাতিক জীবনে নবীজির সুন্নতকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিদাত থেকে দূরে থাকতে হবে। আকিদাগত বিদাত এবং আমলগত বিদাত, সর্বপ্রকার বিদাত বর্জন করতে হবে।
পাঁচ. ফিরাকে বাতিলা তথা ভ্রান্ত জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বক্তৃতা, লিখনিসহ সম্ভাব্য সব পদ্ধতিতে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।কিছু বাতিল আছে ইসলামের নামে, আর কিছু আছে ইসলামের নামও সহ্য করতে পারে না।
বর্তমানে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং ঘৃণিত ভ্রান্তদল হচ্ছে নাস্তিক্যবাদী সম্প্রদায়। তাদের প্রতিরোধে দুর্বার সংগ্রাম করতে হবে। তাদের প্রতিরোধ করার জন্য তাদের কিতাবও মুতালাআ করতে হবে।
কাদিয়ানী, শিয়া, কবরপূজারী, দরগা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অজেয় দুর্গ গড়তে হবে। এজন্য যুগের চাহিদা বুঝতে হবে। মানুষের মন বুঝতে হবে, সমাজকে নিজেদের গুণ দিয়ে জয় করতে হবে। তাহলে কাজটা মজবুত এবং প্রভাবশালী হবে।
তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, ইসলামকে যুগের সঙ্গে মেলানো যাবে না। অনেকেই বলে ইসলামকে যুগোপযোগী করতে হবে। না, না, না, ইসলামকে যুগোপযোগী করা যাবে না। বরং যুগকেই ইসলাম উপযোগী করতে হবে।
কারণ, ইসলাম হচ্ছে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, মহান আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত জীবনবিধান। সুতরাং কোনোক্রমেই ইসলামে পরিবর্তন আনা যাবে না। ইসলাম হচ্ছে মুকাম্মাল ধর্ম। ইসলামকে যুগের সঙ্গে মেলানো মানে ইসলাম অসম্পূর্ণ ধর্ম, সুতরাং এটা করা যাবে না। বরং যুগকেই ইসলামের সাথে মেলাতে হবে। এজন্য আপনাদেরকে যুগের চাহিদা বুঝতে হবে।
ছয়. আপনারা মাদরাসার লাইনে খেদমত করবেন। এটা হলো মূলকাজ। কারণ, বর্তমানে দরস ও তাদরিসের লাইনে যোগ্য আলেমের অভাব। আপনাদেরকে এবিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
নিজেদের এলাকায় কওমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করবেন।কওমি মাদরাসার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে একেকটি কওমি মাদরাসা ইসলামের একেকটি মজবুত কেল্লা।
যেকোনোভাবে দীনি খেদমতে লেগে থাকবেন। ছোট্ট একটা নূরানি মক্তব অথবা হেফজখানায় হলেও দীনি খেদমতে লেগে থাকবেন।
কোনো মাদরাসায় খেদমতে গেলে নিজ থেকে কোনো কিতাব চেয়ে নিবেন না, কারণ এতে বরকত থাকে না। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যে কিতাব আপনাদের ভাগে দিবে, সেগুলোই সবক দিবেন, এতে বরকত পাবেন, ছাত্ররা আপনাদের সবকও বুঝতে পারবে। খবরদার, কোনো কিতাব সরাসরিভাবে অথবা ইশারা ইঙ্গিতে চেয়ে নিবেন না।
প্রতিটি সবক মুতালা’আ করে পড়াবেন। মুতালা’আ ছাড়া পড়াবেন না। অনেক শরাহ শরুহাত আছে, ওগুলো মুতালাআ করবেন, তারপর সংক্ষিপ্ত এবং সারাংশ নোট করবেন, তারপর সেগুলো তারতিবের সাথে সবকে বলবেন। তারতিবের খেয়াল অবশ্যই রাখবেন। সাজিয়ে-গুছিয়ে সবক দিবেন।
সাত. দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতেও সময় দিবেন। এ কাজে আপনাদেরকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বর্তমানে এই মেহনতে ওলামায়ে কেরামদের কমতি থাকায় সাধারণ মানুষ সহিহ দীনের জ্ঞান কম পাচ্ছে।
আট. লেখালেখি এবং সাহিত্যের জগতে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন। আজ মিডিয়া জগতে নাস্তিক্যবাদী অপশক্তির আগ্রাসন। তাদের এই আস্ফালন রুখতে হবে। এজন্য আপনাদের শক্ত হাতে কলম ধরতে হবে। বর্তমান ইয়াহুদিবাদী মিডিয়ার মোকাবেলায় নিজেদের শক্তিশালী ইসলামি মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নয়. বক্তৃতা এবং বয়ানের লাইনেও খেদমত করবেন, তবে সহিহ বয়ান করবেন। বর্তমানে অশুদ্ধ বয়ানের সয়লাব। অনেকেই বয়ানে জাল হাদিস এবং বানোয়াট কল্পকাহিনী বলে। আপনারা সহিহ বয়ান করবেন ও বয়ানের আগে মুতালাআ করবেন, তারপর বয়ান করবেন।
দশ. ইমামত এবং খেতাবতের লাইনেও খেদমত করবেন। যেকোনো একটা মসজিদের মুখলেস ইমাম হবেন, প্রয়োজনে যেকোনো মসজিদের মুয়াজ্জিন হয়ে হলেও দ্বীনি খেদমত করবেন। কারণ, ইমাম মুয়াজ্জিনের কথা সাধারণ মানুষ বেশি শুনে, এক্ষেত্রে আপনারা সহজে একটা সমাজকে আলোকিত করতে পারবেন। এবং দীনি পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।
আমার প্রাণপ্রিয় উস্তাদ, বিশ্বখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসুফ বান্নুরি রাহ. বলতেন, ‘আমার মন চায় কোনো একটা গ্রামে গিয়ে একনিষ্ঠভাবে মুয়াজ্জিন হয়ে থাকি’।আল্লাহু আকবার! এতবড় মুহাদ্দিস, খতমে নুবাওয়াতের আন্দোলনের সিপাহসালার, , তিরমিযী শরীফের ব্যাখ্যাকার, এত কাজের ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও তিনি এমন আকাঙ্ক্ষা করতেন।আপনারা কেন পারবেন না?
এগারো. সঠিক ইসলামি রাজনীতি করবেন। এটাও ইসলামের একটি শাখা। বর্তমানে নোংরা রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। বর্তমানে রাজনীতি ইসলাম থেকে অনেক দূরে, তাই এগুলো রাজনীতি নয়, সন্ত্রাসবাদ হয়ে গেছে।
আপনারা সঠিক ইসলামি রাজনীতিও করবেন।যেন সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ দূরীভূত হয়ে যায়।তবে সাবধান! ছাত্রজীবনে রাজনীতি হারাম, হারাম, হারাম। আপনারা আলেম হয়ে গেছেন, তাই আপনাদেরকে বললাম।
বারো. যদি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর হুকুম প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসলামি জিহাদ করবেন। আহ হা, আজ জিহাদ নেই বলেই পুরো বিশ্ব অশান্ত হয়ে আছে। চারিদিকে জুলুম আর অবিচারের সয়লাব। সন্ত্রাসবাদ এবং ফ্যাসিবাদের রাজত্ব চলছে।
জিহাদ রহিত হয়ে যায় নি। কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদের হুকুম বাকি আছে। সুতরাং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহয় অংশ নিবেন। অনেকে জিহাদকে সন্ত্রাসের আখ্যা দেয়, আসলে জিহাদ সন্ত্রাস নয়, জিহাদ এবং সন্ত্রাসে আকাশ-জমীন পার্থক্য। মূলত ইসলামি জিহাদই শুধুমাত্র সন্ত্রাস দমনের একমাত্র উপায়।
তেরো. আমার সর্বশেষ নসিহত, মহান আল্লাহ এবং রাসুলে কারিম সা., আকাবির ও আসলাফের প্রতি মুহাব্বাত রাখবেন।কারণ, হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি যার সঙ্গে মুহাব্বাত রাখবে, তার সঙ্গে তার হাশর হবে’।
এজন্য আপনারা আল্লাহ পাক, রাসুলে কারিম, সাহাবায়ে কেরাম, সালফে সালেহিন, আকাবিরে দেওবন্দ এবং আকাবিরে হাটহাজারির প্রতি গভীর মুহাব্বাত রাখবেন। তাদের জন্য ইসালে সওয়াব করবেন, দোয়া করবেন। ইনশাল্লাহ কামিয়াব হবেন।
সবশেষে তিনি বলেন, আমি আমার আলোচনার ইতি টানছি ড. ইকবালের একটি কবিতা দিয়ে , اوروں کا پیام اور ہے میرا پیام اور ہے، /عشق کے دردمند کا طرز کلام اور ہے ‘অন্যদের পয়গাম তথা বাণী একরকম, আর আমার পয়গাম অন্যরকম। যারা ইশক-মুহাব্বাতের ব্যথায় ব্যথিত, তাঁদের কথাবার্তার রীতিনীতি ব্যতিক্রম’।
মহান আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন, এবং রাসুল সা. এর শাফায়াত দানে ধন্য করুন। আমীন!!
বয়ান শেষে তিনি বিদায়ী ছাত্রদের হাদিসে নববীর ইযাযত প্রদান করেন।
সুত্রঃ ourislam