শুক্রবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে সাধারণত ৫ দিনের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে এ জোড় ইজতেমা হলেও এ বছর অঞ্চল ভিত্তিক পৃথক পৃথক স্থানে আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের ‘জোড় ইজতেমা’ শুরু হতে যাচ্ছে।
গত ২৯ অক্টোবর মাদরাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ কাকরাইল থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যশোর এবং চট্টগ্রাম এই চারটি জেলায় জোড় অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আগামী ২৯, ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নারায়ানগঞ্জে – ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদি, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৯, ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে– ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুর জেলার জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৩,৪ এবং ৫ ডিসেম্বর যশোরে– যশোর, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং গোপালগঞ্জ জেলার জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৬, ৭ এবং ৮ ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে– চট্টগ্রাম কক্সবাজার রাঙ্গামাটি বান্দরবান খাগড়াছড়ি ফেনী নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর চাঁদপুর কুমিল্লা বিবাড়িয়া হবিগঞ্জ সিলেট মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ জেলার জোড় অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমা মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি ও ইজতেমা উপলক্ষে দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূলত এ জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ব ইজতেমার সফলতার জন্য পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।শুধুমাত্র আলেম-ওলামা ও তাবলিগে তিন চিল্লা সম্পন্নকারীরা এ জোড়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
জোড় ইজতেমা প্রসঙ্গে আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের মুরুব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমদের ছেলে মাওলানা হানজালা আওয়ার ইসলামকে জানান, বাংলাদেশে ইজতেমার ইতিহাসের শুরু থেকে এ জোড় হয়ে আসছে। আগে ১০দিনের হতো। পরবর্তী সময়ে ৫ দিনের করা হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে এবারে টঙ্গির ইজতেমা মাঠের পরিবর্তে পৃথক পাঁচ জেলায় যথা সময়ে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
ওলামায়ে কেরাম ও বাংলাদেশের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইলের আলেম মুরব্বিদের ব্যবস্থাপনায় আলমী শুরাপন্থী তাবলিগী সাথীদের জোড় ইজতেমায় দেশের সর্বস্তরে আলেম-ওলামারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, ইজতেমা পূর্ববর্তী জেলা ভিত্তিক চার দিনের এই জোড়ের সফলতার জন্য প্রত্যেক জেলার জিম্মাদারদকে তৎপর হতে মুরুব্বীদের পক্ষ থেকে আহ্বান করা হয়েছে। সাথেসাথে জোড়ের জন্য নির্ধারিত উল্লেখিত তারিখ দেখে স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলের তারিখ নির্ধারণ বা সভা আয়োজন বা সমন্বয়ের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে আয়োজকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টঙ্গীর ময়দানে ২০২০ সালের ইজতেমা শুরু হবে ১০ জানুয়ারী থেকে। ১০, ১১, ১২ জানুয়ারী আলমী শুরার সাথীদের এবং ১৭, ১৮, ১৯ জানুয়ারী দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলবির অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।