বৃহস্পতিবার, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
_মুহাম্মদ নূর আলম
নভেম্বর থেকে ৩৪টি জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়। সাপ্তাহে হয়ত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ইজতেমা হয়ে থাকে। যে সমস্ত জেলায় ইজতেমা হয়নি প্রস্তুতি কাজ চলছে। আবার যে জেলার ইজতেমা নিকটে সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পন্ন কাজ চলছে। আপনা আপনা জেলা ইজতেমা আপনি আসছেন তো জামাতবন্দি হয়ে? আমিও তৈয়ার হচ্ছি।
❐ হয়ত আপনার জেলা পূন্যভুমিতে আরেকটি ইতিহাস ঘটতে যাচ্ছে। শুরু তারিখ হতে শেষ তারিখ জেলা ইজতেমা। এই ইজতেমা নিয়ে পুরো জেলার জনপদে কতোটা ব্যাপকসাড়া সকলের মাঝে এটা জেলা শহর ও বিভিন্ন থানার সাথীরাই ভাল বলতে পারবেন। ভিবিন্ন পেজে কমেন্টে আমাদের জেলার কারগুজারী শুনাতে পারেন। ভিবিন্ন জেলা ইজতেমা কেন্দ্র করে শিক্ষা ও ব্যাবসা প্রতিষ্টান ববন্ধের হিরিক পড়েছে ইজতেমাকে ঘিরে।
❐ মনে রাখবেন ইজতেমা কেবল কোন সমাবেশ নয়। ইজতেমা একটি মেহনতের নাম। একদল রোক মেহনত করতে করতে একত্র হবে। আরেকদল এখান থেকে জামাত বন্দি হয়ে দ্বীনের মেহনতের জন্য সাড়া দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়বে। ইজতেমর মূল টার্গেট আল্লাহর রাস্তায় খুরুজ বাড়ানো। যেন অন্তত প্রত্যেক মসজিদ থেকে একটি চিল্লার জামাত হয়। আপনি যেতে না পারলেও আপনার, প্রিয়ভাজন, আত্মিয়, প্রতিবেশি, বন্ধু বান্ধব একজনকে তৈরি করে দিন, এর সওয়াব আপনিও পাবেন।
❐ হাজারো জামাত প্রস্তুত হচ্ছে ইজতেমা থেকে খুরুজের জন্য। হাজার হাজার মসজিদ থেকে কাফেলা ইতোমধ্যে ময়দানে আসার জন্য। জমাতবন্দি হচ্ছেন দলে দলে যুব তারুণ্য। সব মসলক একাকার যেন জেলা। গ্রামে গ্রামে পড়েছে প্রাণের সাড়া। ইজতেমা শুরু হবার আনুষ্টানিক কাজ এখন থেকে বিভিন্ন নজমের জামাত শুরু করবে।
এছাড়াও আমি অধমে এখন থেকেই দাওয়াতের মেহনতের ময়দানে থাকব।
❐ ইজতেমায় করণীয়ঃ
ইজতেমার তিনদিন সকল প্রকার মোবাইল ফেসবুক থেকে দুরে থাকব। এই মকবুল ময়দানে একটু মনযোগ দিয়ে হেদায়তের কথা শুনা দরকার। যে ময়দান হাজারো আলেম ত্বোলাবা মুখলেছ দা’য়ীদের নিরলস মেহনতের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে।
❐ পরামর্শঃ
❐ ইজতেমাতে আসতে অবশ্যই জামাত বন্দি হয়ে আসবেন।
❐ কখনো ছোট বাচ্চা সাথে আনবেন না।
❐ যারা তিনদিনের জন্য আসবেন তারা মনোযোগ সহকারে বয়ান শুনার জন্য মোবাইল বন্ধ রাখবেন।
❐ থানা থেকে যারা আসবেন ফিরতি গাড়ি ভাড়া করে আনবেন না যাবার টিকেট ক্রয় করবেন না। কারন বয়ানশুনে আপনার দ্বীল তৈরি হলে আপনি চিল্লার সফরে চলে যাবেন।
❐ ইজতেমার ময়দানের ভিতরে কোনরূপ ভিডিও করার চেষ্টা করবেন না।
❐ শুধু লোক দেখতে, ঘুরতে বা কেবল জুমআ নামাজ বা দোয়ার জন্য আসবেন না। আসলে কমপক্ষে ভোর থেকে এশা পর্যন্ত আসবেন। মনযোগ দিয়ে বয়ান শুনবেন।
❐ ময়দানে কিছু হারিয়ে গেলে বা পেলে হারানো কামরায় যোগাযোগ করবেন।
❐ কোন সমস্যা তৈরি হলে দ্রুত সেচ্ছা সেবক বা আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানাবেন।
❐ অসুস্থ হলে দ্রুত পত্যেক খিত্তার মেডিকেল অফিসার বা চিকিৎসা টিমের সরনাপ্ন হবেন।
❐ শুকনো খাবার ও পানি সাথে রাখবেন।
❐ স্কুল কলেজ, মাদরাসা, ব্যাবসায়ী, চাকুরিজীবি, শিক্ষক, আলেম, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান হবে ইজতেমার ময়দানে, কখন হবে তা জানতে সংস্লীষ্ট খিত্তাতে খোঁজ নিন।
❐ রাতে যারা থাকবেন বিছানা ও শীতের কাপড় সাথে আনবেন, এবং মাঠের ম্যাপ দেখে আপনার এলাকার সাথে থাকবেন।
❐ নিয়ত রাখবেন, ইজতেমার উসিলায় আল্লাহ যেন আমাদের হেদায়ত দান করেন এবং হেদায়তের জড়িয়া বানান। আল্লাহ যেন, কবুল করেন সারা দুনিয়ার মানুষের হেদায়তের জন্য তাহরিকে ঈমান বা ঈমানী আন্দোলনের জন্য মকবুল এই দাওয়াতি মেহনতে আমাকে।
ইতিহাসের সাক্ষি হতে বিছানাপত্র সহ তিনদিনের জন্য আপনি আসছেন তো?