শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী – আল্লামা ড. মুশতাক আহমদ

This entry is part 7 of 23 in the series মনীষীদের জীবনী


হযরত শায়খ ড. মুশতাক আহমদ

  • পীরে কামেল অবিসংবাদিত বুযুর্গ আলহাজ্জ্ব হযরত শায়েখ ডঃ মুশতাক আহমদ দামাত বারাকাতুম বাংলাদেশের বর্তমান শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মধ্যে অন্যতম মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন চিন্তাশীল আলেম হিসেবে সর্বত্র সুপরিচিত। তিনি একই সঙ্গে শাইখুল হাদিস, লেখক, গবেষক, মুফাসসির, সুবক্তা, তাত্ত্বিক আলোচক, আসলাফ ও আকাবিরে দেওবন্দের নন্দিত উত্তরসূরী এবং ছাহিবে নিসবত বুযুর্গ আলিম । পীরানে পীর দস্তগীর শায়খুল মাশায়েখ হযরতুল আল্লাম মুহাদ্দিস ‘শাহ জমিরুদ্দিন নানুপুরী’ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , তাবলিগ জামাআতের মুরব্বি হযরত শায়েখ যাকারিয়্যাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বিশিষ্ট খলিফা শাইখুল আরব ওয়াল আজম ‘ মালিক আবদুল হাফিয আল মাক্কী’ দামাত বারাকাতুম ও হযরত হাফেজ্জী হুজুরের খাস খলিফা ‘হযরত মাওলানা সুলাইমান নুমানী’ দামাত বারাকাতুমের সাথে তার আধ্যাতিক সম্পর্ক । তাদের প্রত্যেকেই আমাদের হযরত শায়েখকে তরীকত ও ইসলাহে নাফসের কাজ করার জন্য ইজাজত ও খিলাফত প্রদান করে ধন্য করেছেন ।
  • হযরত শায়েখ ইলমে তাসাউফে অন্যতম প্রাজ্ঞ ও শাস্ত্রীয় ব্যক্তিত্ব; যিনি আমাদের আকাবির তথা সায়্যিদুত তায়িফা হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ ফারূকী মুহাজিরে মক্কী, ফকীহুন নাফস হযরত রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত কাসিম নানুতবী, হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী, শাইখুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী, মুবালীগে ইসলাম হযরত মাওলানা ইলিয়াস দেহলবী ও মাহবুবুল আকাবির হযরত শায়খ যাকারিয়্যা কান্ধলবী মুহাজিরে মাদানী রাহিমাহুমুল্লাহ এর রূহানিয়্যত চর্চা, তাদের উলুম ও মাআরিফ এবং উসুলে ইসলাহে নাফস ও আনওয়ারাতে কালবীর অন্যতম ভাবশিষ্যও বটে।বর্তমান আলিম ওলামাসহ দেশের বহু সত্যসন্ধানী সালিক ও মুরিদ তার কাছে ‘আকাবিরে দেওবন্দ’ ও ‘সালাসিলে আরবাআর’ বরকতময় তরীকায় রূহানী দীক্ষা ও তরবিয়্যাত লাভ করে যাচ্ছে ।
  • হযরত শায়খ বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া প্রথম আলিম যিনি ‘ফিকরে দারুল উলূম দেওবন্দ’ এর উপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক সেমিনার করেন এবং ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন । বহু মুল্যবান গ্রন্থ তিনি রচনা করেন । তার রচিত প্রথম গ্রন্থ (১) ‘তাহরীকে দেওবন্দ’ দারুল উলূম দেওবন্দের চিন্তাধারা দর্শন ইতিহাস ঐতিহ্য ও অবদান বিষয়ে বাংলাভাষায় রচিত বস্তুনিষ্ট প্রথম গ্রন্থ যা বহু বছর পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসার নেসাবে পড়ানো হচ্ছে । দ্বিতীয় গ্রন্থ
  • (২) ‘শাইখুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী’ লন্ডনসহ বিদেশে অবস্থিত বাঙ্গালী পাঠকদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে । এই গ্রন্থ হযরত মাদানীর শিরোনামে হলেও তাতে আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তা চেতনা, তাঁদের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সকল দৃষ্টিভঙ্গি, আকাবিরে দেওবন্দের ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জিহাদ, হযরত শাহ আবদুর আজীজ র. এর দারুল হরব ফতওয়া, সায়্যিদ আহমদ শহীদ র. এর মুজাহিদ আন্দোলন, 1857 এর মহাবিদ্রোহ, রেশমী রুমাল আন্দোলন, হযরত শায়খুল হিন্দের মাল্টার কারাবাস ও হযরত মাদানীর অভিবক্ত ভারতের দাবী ইত্যাদির উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলা ভাষায় এই গ্রন্থ শায়খুল ইসলাম হযরত মাদানীর চিন্তাধারা জীবন কর্ম ও আকাবিরে দেওবন্দের ইতিহাসের উপর সর্বাপেক্ষা প্রামান্য ও বস্তুনিষ্ঠ গ্রন্থ ।
  • (৩) ‘ইসলামের আদেশ ও নিষেধ’ যা লন্ডন সহ ইউরোপ ও বাংলাদেশের পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করে । লন্ডনে বিনামূল্যে দুইবার বিতরনও করা হয়েছে । (৪) সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে আলিমদের ভুমিকা, (৫) উলূমুল হাদীস, (৬)আখলাকুস সাহাবা, (৭) সায়্যিদ আহমদ শহীদ জীবন ও সংগ্রাম, (৮) ওহীর মর্ম ও তাৎপয, (৯) ইসলামের দ্রষ্টিতে আইন ও বিচার (১০) আহকামে ইসলাম, (১১)শরীয়তের দ্রষ্টিতে বিদআত, (১২) যাকাত ও দান সাদাকা, (১৩) তারবিয়্যাত নামা, (১৪) ফুয়ূজাতে জমীরী, (১৬) ইসলামী জীবন (17) শবগুযারীর ওযীফা ইত্যাদি শীরোনামে রচিত তাঁর গ্রন্থগুলো বাংলাভাষী পাঠকদের নিকট অন্যতম উপকারী গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত ।
  • তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাঙ্গলাদেশ এর প্রকাশনা কার্যক্রমের আওতায় সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম সহ বহু মৌলিক কিতাবের অনুবাদে অংশগ্রহণ করেন। তাছড়া বহু গবেষনা মুলক প্রবন্ধ রচনা করেন এবং বহু সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনের দায়িত্ব পালন করেন। ইফা এর সাহিত্য পত্রিকা ‘মাসিক অগ্রপথিক’ ও গবেষনা পত্রিকা ‘ত্রৈমাসিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা’-এর তিনি সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত ভদ্র, খোলামন, অমায়িক ও সরল চরিত্রের মানুষ। তিনি দুই পুত্র নাফীস আহমদ নামূছ ও নাবীল আহমদ নুমায়ের এবং এক কন্যা মালীহা মুশতারী তুবা-এর পিতা। তাছড়া অসংখ্য গুণগ্রাহীর কাছে তিনি স্নেহাষ্পদ ছাত্র কিংবা প্রিয়বন্ধু কিংবা সম্মানিত উস্তাদ ও পীর বা আন্তরিক হিতাকাংখী মুরুব্বী।
  • হযরতের পৈত্রিক নিবাস হলো হযরত শায়েখ ডঃ মুশতাক আহমদ পিতা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মূছা পিতা মৌলভী ওয়াজ উদ্দীন পিতা মৌলভী ওলী মাহমুদ মজুমদার পিতা ইন্দুরী মজুমদার। তিনি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন পনশাহি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। সার্টিফিকেট রেকর্ডে তার জন্ম তারিখ ০২-১২-১৯৬৭ ইংরেজী। তার পিতা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মূছা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন সুপ্রসিদ্ধ মুজাহিদ আলিম। যিনি সরকারী মাদ্রসার অধ্যক্ষ হিসেবে আজীবন কাজ করলেও চিন্তা চেতনার দিক থেকে ছিলেন পাক্কা দেওবন্দী ও দিলদাদা আশিকে মাদানী। শিরক ও বিদআতের প্রতিরোধ ও নজরিয়ায়ে দেওবন্দিয়্যাতের প্রতিষ্ঠা ছিলো তার আজীবনের সংগ্রাম। এ প্রসঙ্গে তিনি অনেক বহছ মুনাজারা সহ বহু পুস্তিকাও রচনা করে গিয়েচছন। হযরতের মাতার নাম আলহাজ্জ্ব খন্দকার মোসাম্মত হাশমাতুন নেছা।
  • নিজ বাড়ির সবাহী মকতব থেকে হযরত শায়খের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। অতঃপর রহিমানগর হাই স্কুলে ৭ম শ্রেণী অধ্যয়নের পর তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা আরম্ভ করেন। পিতা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মূছা তার প্রথম শিক্ষক। সম্মানিত পিতার কাছে ৫ মাস অধ্যয়নের পর তিনি ১৯৭৫ সাল থেকে ঢাকা বড় কাটারা মাদ্রসায় হযরত এর মামা হযরত মাওলানা ইসহাক সাহেবের তত্তাবধানে ৩ বছর, তারপর ফরিদাবাদ মাদ্রসায় হযরত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সাহেবের তত্তাবধানে ৩ বছর, তারপর হাটহাজারী মাদ্রসায় আল্লামা শায়খ আহমদ সাহেবের তত্বাবধানে ৩ বছর অধ্যয়ন করে ১৯৮৫ সালে ঢাকা মালিবাগ মাদ্রাসা থেকে কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে কেন্দ্রীয় ‘দাওরা হাদীস’ পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশে মেধা তালিকায় ২য় স্থান লাভ করেন। পরবর্তী বছর চলে যান হিন্দুস্থানের দারুল উলূম দেওবন্দ। সেখানে তিনি ‘তাকমীলে হাদিস’ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২য় স্থান লাভ করেন এবং মুঈনে মুদাররিস পদের প্রস্তাব পান।
  • হযরত শায়েখের মুল পড়াশুনা কওমী মাদ্রাসায় হলেও তিনি স্মমানিত পিতা ও শিক্ষকমন্ডলীর নির্দেশক্রমে পাশাপাশি সরকারী মাদ্রাসায় পরীক্ষা চালিয়ে যান। ১৯৮০ সাল থেকে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহনপূর্বক সকল পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুল মার্ক নিয়ে স্মমানের সাথে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৬ সালে কামিল হাদিস পরীক্ষায় তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলাদেশে ১ম শ্রেণিতে ৫ম স্থানের অধিকারী। তারপর ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ ও ১৯৯০ সালে এম.এ ১ম শ্রেনীতে ১ম স্থান লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে এম.ফিল প্রথম পর্ব পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার করে পি-এইচ.ডি কোর্সে চলে যান।
  • ২০০০ সালে পি-এইচ.ডি গবেষনা সম্পন্ন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে ডক্টরেট প্রদান করা হয় । তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁকে এওয়ার্ড হস্তান্তর করেন ।
  • হযরতে প্রিয় শিক্ষকমণ্ডলী যাঁদের অন্তরঙ্গ স্নেহ নিয়ে তিনি পড়াশুনার অঙ্গনে লালিত হন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন (ঢাকায়)হযরতের ওয়ালিদ মাওলান মোহাম্মদ মূছা, হযরতের মামা মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, হযরতুল আল্লাম নূর হোসাইন কাসেমী, হযরতুল আল্লাম ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, হযরতুল আল্লাম উবায়দুল্লাহ ফারুক, হযরতুল আল্লাম মুহাদ্দিস আবদুল হাফীজ, হযরতুল আল্লাম সুলাইমান নুমানী, হযরতুল আল্লাম মুফতি গোলাম মুস্তফা, হযরতুল আল্লাম কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, হযরতুল আল্লাম মুফতী আবদুল হান্নান,(হাটহাজারীতে)হযরতুল আল্লাম শায়খ আহমদ, হযরতুল আল্লাম মাওলান মোহাম্মদ কাসেম, হযরতুল আল্লাম আহমদুল হক, হযরতুল আল্লাম আহমদ শফী, (দেওবন্দে) হযরতুল আল্লাম সায়্যিদ আরশাদ মাদানী, হযরতুল আল্লাম মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী, হযরতুল আল্লাম আবদুল হক শায়েখে ছানী, হযরতুল আল্লাম নাসীর আহমদ খান প্রমুখ।
  • লেখাপড়ার সেই যুগ থেকেই যে সব বন্ধুদের সাথে তার ঘনিষ্টতা ছিল তাদের অন্যতম ছিলেন হযরত মাওলান ইসহাক ফরীদী, হযরত মাওলানা আবুল ফাতাহ ইয়াহিয়া, হযরত মাওলানা মুফতি আবু সাঈদ, হযরত মাওলান আবু সুফয়ান যাকী, হযরত মাওলানা আসআদ হোসাইনী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন সিরাজী, হযরত মাওলানা হাফেয মাহমুদ আহমদ, হযরত মাওলানা হাফেয অলী উল্লাহ, হযরত মাওলানা ছানাউল্লাহ, হযরত মাওলানা আবদুর রহমান, হযরত মাওলানা ওলিউর রহমান, হযরত মাওলানা শরীফুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আবদুল কাইউম সুবাহানী, হযরত মাওলানা আহমদ মায়মুন, হযরত মাওলানা আবদুল মতিন মাসউদী, হযরত মাওলানা মুফতি আবদুল বাতেন, হযরত মাওলানা আমজাদ হোসাইন, হযরত মাওলানা বযলুর রহমান, হযরত মাওলানা যাকারিয়্যা, হযরত মাওলানা মাহফুযুল হক চৌধুরী, হযরত মাওলানা লতীফুর রহমান, হযরত মাওলানা সৈয়দ আসজাদ আল মাদানী, হযরত মাওলানা সৈয়দ রশীদ আহমদ ফেরদাইস, হযরত মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, হযরত মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, হযরত মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ, হযরত মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান, হযরত মাওলানা মুফতি আবদুর রাজ্জাক, হযরত মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, হযরত মাওলানা কামাল উদ্দিন, হযরত মাওলানা ইমরান মাযহারী, হযরত মাওলানা হিফযুর রহমান, হযরত মাওলানা নুমান আহমদ, হযরত মাওলানা ইব্রাহীম শিলাস্থানী, হযরত মাওলানা মুফতি শফীকুল ইসলাম, হযরত মাওলানা আবদুল হক হক্কানী, হযরত মাওলানা হাফেয মুকাদ্দাস, হযরত মাওলানা আবু বকর সন্দীপী, হযরত মাওলানা নুরুর রহমান, হযরত মাওলানা আবু জাফর, হযরত মাওলানা আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
  • দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে বাংলাদেশে এসে ১৯৮৬ থেকে হযরত শায়েখের শিক্ষকতা শুরু হয়। তিনি ১ বছর কুমিল্লা কাসেমুল উলূম মাদ্রাসায়, তারপর ৩ বছর পীরজঙ্গী মাদরাসায়, তারপর 7 বছর চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসায় ইলমে হাদীসের অধ্যাপনা করেন। অতপর তেজগাঁও জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ১৯৯৭ সাল থেকে ‘শাইখুল হাদিস’ পদে হাদিসের খেদমত করে যাচ্ছেন । বর্তমানে কয়েকটি মাদ্রাসা যেমন তেজগাও মাদ্রাসা, সোনারগাঁও উলুকান্ধী মাদ্রাসায় শায়খুল হাদিস হিসাবে হাদিসের খেদমত করছেন ।
  • হযরত শায়খ বিগত ২০০৭ সাল থেকে ঢাকার উত্তরখান কাঁচকুরায় আপাতত দেড় বিঘা জমির উপর এক সুবিশাল কর্মসুচী হাতে নিয়ে দীনী তালীম ও তারবিয়্যাতের কাজ শুরু করেন। তিনি নিজ দাদা পীর, দাওয়াত ও তাবলীগ জামাআতের সম্মানিত মুরুব্বী হযরত শায়খ যাকারিয়্যা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নাম অনুসারে গোটা প্রজেক্টের নাম দিয়েছেন ‘জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা কমপ্লেক্স’। বর্তমানে এখানে মকতব, হিফযখানা, ইফতা বিভাগ ও উলূমুল হাদীস বিভাগের পড়াশুনা চলছে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্জ ইয়াকুব আলী খন্দকার, আলহাজ্জ মঈন উদ্দীন আহমদ চৌধুরী, আলহাজ্জ আবদুস সাত্তার, আলহাজ্জ ফজলুর রহমান, আলহাজ্জ আলমগীর, আলহাজ্জ আবদুল্লাহ সালেহ মুক্তা, আলহাজ্জ মোহাম্মদ বেলাল, আলহাজ্জ মোহাম্মদ জাকির, আলহাজ্জ মাহবুব আলম, আলহাজ্জ মিজানুর রহমান পাটোওয়ারী প্রমুখ এই কমপ্লেক্সরই বিভিন্ন সম্মানিত পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । মহান আল্লাহ তাদের সকলকে কবুল করুন।
  • হযরত শায়খের ধর্মীয় ও ইসলাহী এই সকল কাজে তাঁকে আন্তরিকভাবে যারা সহযোগিতা করছেন এবং হযরত শায়খ যাদের জন্য হামেশা মনখুলে দুআ করেন যাদের কাছে হযরত নিজেকে পরম কৃতজ্ঞ বলে জ্ঞান করেন তাঁরা হলেন ঢাকা তেজগাঁয়ের আলহাজ্জ সরদার মুসলিহ উদ্দীন মূছা ও আলহাজ্জ লিয়াকত আলী। আল্লাহ তাঁদের উভয়কে উত্তম জাযা দান করুন। দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁদের সম্মান আরো বৃদ্ধি করে দিন। আমীন।
  • হযরত শায়খ শিক্ষতার পাশাপাশি মসজিদের ইমামতও করেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত খিলগাঁও গভঃ স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদে ইমামতি করা কালে সেখানে মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ নেওয়া, সুদর্শন দোতালা ভবন নির্মাণ, মকতব ও ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদে ‘খতীব’ ও জামিয়ার ‘শায়খুল হাদীস’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়া ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর একজন পদস্থ কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি ‘উপ-পরিচালক’ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Default Ad Content Here
Series Navigation<< মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. সম্পর্কে ১২ তথ্যমুফতি সাইদ আহমাদ পালনপুরি রাহ.-এর আলোকিত জীবনচরিত >>

Archives

October 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031