রবিবার, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

কালিজিরার অপ্রচলিত ৮টি ব্যবহার

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ স. বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”। কালিজিরাকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কালিজিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন। আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহার, যেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।

১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে
কালিজিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালিজিরা অথবা ১ চা চামচ কালিজিরার তেল খান।

২. চুল পড়া রোধে
কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৩. ব্যথা কমাতে
যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কালিজিরার জুড়ি নেই। কালিজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন, ব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।

৪. ফোঁড়া সারাতে
ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালিজিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।

৫. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে
দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে কালোজিরা। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

৬. দাঁতের ব্যথায়
দাঁত ব্যথা হলে, মাঢ়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালিজিরা তা উপশম করতে পারে। পানিতে কালিজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির তাপমাত্রা কমে উষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করুন। এতে দাঁত ব্যথা কমে যাবে, মাঢ়ির ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া জিহ্বা, তালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হবে।

৭. মাথা ব্যথায়
ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা দূর করতে কালিজিরা সাহায্য করে। একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করুন। এই পুঁটুলি নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা সেরে যাবে। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, ভেষজে রোগ নিরাময়, ভারতীয় বনৌষধি

৮. মেদ কমাতে
চায়ের সাথে কালিজিরা মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলার ওপরে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাপাতা ও সমপরিমাণ কালিজিরা পানিতে দিন। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করুন। আরএম

Archives

June 2023
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930