মঙ্গলবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কবুল হজ্জ নসীবের আমল ও শর্তাবলী

পবিত্র হজের বিভিন্ন পরিভাষার মধ্যে ‘হজ্জে মাবরুর’ অন্যতম। এটাকে সহজ বাংলায় কবুল হজ বলা যায়। তবে হাদিসে ‘হজ্জে মাবরুর’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় শব্দটির বিভিন্ন অর্থ বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বটে; কিন্তু সব কথার সার একটিই। তা হলো- হজে যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে বেঁচে থেকে পাপমুক্ত হজ সম্পাদিত হওয়াকে ‘হজ্জে মাবরুর’ বলে।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজ্জে মাবরুরের প্রতিদান হচ্ছে- একমাত্র জান্নাত। তাই প্রত্যেকে হজ পালনকারীই প্রত্যাশা করেন, যেন তার হজটি হয়- ‘হজ্জে মাবরুর।’ আর সে কারণেই কিভাবে পালনকৃত হজটি হজ্জে মাবরুর হবে সে ব্যাপারে অনেকিই জানতে চান।হজ্জে মাবরুরের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে- নিয়তকে পরিশুদ্ধ করা। ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার সঙ্গে হজের নিয়ত করা এবং শেষ পর্যন্ত বিশুদ্ধ নিয়ত ও একনিষ্ঠতার ওপর অবিচল থাকা। একমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ পালন করা। সেই সঙ্গে হজের প্রতিটি আমলের ক্ষেত্রে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিপূর্ণ অনুসরণ করা।হজকে হজ্জে মাবরুরে রূপান্তর করার জন্য হজের সব আমল যথাযথ আদায় করতে হবে। নিজেদের মাঝে অযথা কথাবার্তা না বলে পুরো সময়জুড়ে জিকির-আজকার ও ইবাদতে মশগুল থাকতে হবে। গীবত শেকায়েত, পরনিন্দা ও বিভিন্ন উপায়ে অন্য মুসলমান ভাইকে কষ্ট না দেওয়া। সব প্রকার গোনাহ ও পাপকাজ বর্জন করতে হবে। হজ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি স্থানের প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

এ ছাড়াও হজ আদায়কালীন সময়ে সৎ সঙ্গী গ্রহণ করা। সার্বিক ইবাদতের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করা এবং হজ পরবর্তী জীবনকে হজ পূর্ববর্তি জীবনের থেকে উত্তমভাবে পরিচালিত করার প্রচেষ্টা করা। দ্বীন ইসলামের ওপর অটল ও অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞা করা। হজ আদায়রত অবস্থায় এর জন্য দোয়া করা।

উপরোক্ত দিকগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে হজ আদায় করলে একজন হাজি সাহেব হজ্জে মাবরুরের প্রত্যাশা করতে পারেন। আল্লাহতায়ালা হজ পালনে ইচ্ছুক সবার হজকে সহজ করুন। হজের প্রতিটি আমল যথাযথভাবে পরিপূর্ণ হক আদায় করে পালন করার তওফিক দান

Archives

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031