বৃহস্পতিবার, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
খুৎবাঃ হিউমের সাথে দেখা হলো ভাবলোকে। নাস্তিক দার্শনিকদের মহাগুরু। পৃথিবীর কোনো লয় নেই, এটি তার দার্শনিক দাবি। পৃথিবীর লয় নেই,মানে কিয়ামত মিথ্যা। অথচ আমি এর সত্যতায় নিঃসংশয়। লম্বা আলাপচারিতা হলো হিউমের সাথে। পৃথিবীর লয়হীনতা নিয়ে কথা উঠলো। শুরুতেই শর্ত ছিলো সংলাপ হবে বৈজ্ঞানিক সত্যের ভিত্তিতে। সে সংলাপে কিছু চুম্বক প্রশ্ন- উত্তর। প্রশ্নে আমি,উত্তরে হিউমে।
: মহাবিশ্বে ইলেক্ট্রনের সংখ্যা কতো?
: কোটি কোটি কোটি কোটি কোটি
: ইলেকট্রনগুলোর নিজস্ব প্রপার্টি আছে?
: আছে
: সংখ্যায় তা কেমন?
: সবগুলোই মূলত এক।
: ইলেক্ট্রনগুলোর ভরে বেশকম নেই?
: না
: আধানে বেশকম নেই?
:না
: স্পিনে বেশকম নেই?
: না
: মহবিশ্বের ঘটনাচক্রে এগুলোর শক্তিতে পরিবর্তন আসে?
: না
: মহাবিশ্বের ঘটনাচক্রে মহাবিশ্বের মোট শক্তিতে পরিবর্তন আসে?
: না
: ইলেক্ট্রনগুলোতে তবে কি নিত্যতা নেই?
: আছে
: পরিমান কেমন?
: বিপুল। এতোই বিপুল যে, জড়জগত শুরুতে যা ছিলো, শেষেও তা হয়ে যাবে।
: শুরুটা তার কীসে?
: বিগব্যাং বা মহা এক বিস্ফোরণে
: এর আগে সে কেমন ছিলো?
: এর আগে ছিলো মৃত
: তাহলে আদিতে জড়জগত ছিলো মৃত?
: হু
: তার শুরুতে আছে মহাবিস্ফোরণ?
:হু
: সর্বশেষে তেমন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে,যেমন ঘটেছিলো প্রথমে?
: হু
: সর্বশেষে সে তাই হতে পারে,যা ছিলো শুরুতে
: হু
: তাহলে সর্বশেষে জড়জগত মহা এক দুর্ঘটনায় মৃত হয়ে যাবে?
হিউমে এ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। উত্তর না দিলে আমিও তাকে বিদায় দিতে চাচ্ছি না
লেখকঃ কবি মুসা আল হাফিজ