সোমবার, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ওযূর নিয়মসমূহ

  • প্রথমে বিস্‌মিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহীম পাঠ করা।
  • দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে। প্রথমে ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার এবং এরপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।
  • ডান হাতে পানি নিয়ে তা মুখে দিয়ে ভাল্ মত কুলি করতে হবে। এভাবে তিনবার, যেন কোন প্রকার খাদ্যকণা মুখের ভিতর না থাকে। [রোজা থাকা অবস্থায়ও এটাই করতে হবে, তবে অনেক হুঁশিয়ার থাকতে হবে যেন পানি পেটে না যায়]
  • ডান হাতে পানি নিয়ে নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলি,আর কনিষ্ঠাংগুলি দ্বারা নাকের ভিতর পরিষ্কার করতে হবে। এমনভাবে পানি প্রবেশ করাতে হবে যেন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। নাকের ভিতর কিছু থাকলে নাক ঝাড়তে হবে। এভাবে তিনবার। প্রতিবারই পরিষ্কার পানি দিতে হবে নাকে।
  • এবারে মুখমন্ডল অর্থাৎ কপালের উপরে যেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে মাথার চুল গজায় সেখান থেকে নিচের থুতনির নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান, পানি দিয়ে তিনবার ধৌত করতে হবে। দাঁড়ি থাকলে তা খিলাল করতে হবে। যেন দাঁড়ি পরিষ্কার হয় এবং সম্ভব হলে দাঁড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছায় (পাতলা দাঁড়ির ক্ষেত্রে). গোঁফের খেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এভাবে তিনবার করতে হবে।
  • এবারে বাম হাত দিয়ে পানি দ্বারা ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ভালভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর একি ভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাতও পরিষ্কার করতে হবে। কারো হাতে আংটি থাকলে দেখতে হবে আংটির নিচেও যেন পানি প্রবেশ করে। নখেও যেন কোন ময়লা না থাকে।
  • মাথা মাসেহ করাটা একটু খেয়াল করে করতে হবে। উপরের ছবির মত করে বৃদ্ধাংগুলি আর শাহাদাত আংগুলি আলাদা রেখে দুই হাত দিয়ে কপালে চুল শুরু হবার জায়গা থেকে পিছনে মাথার এক-চতুর্থাংশ মাসেহ করতে হবে। তারপর একই ভাবে হাত উল্টিয়ে মাথার তিন-চতুর্থাংশ পিছন থেকে সামনে মাসেহ করতে হবে। এবারে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা কানের ভিতরের অংশ আর বৃদ্ধাংগুলি দ্বারা কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাতের পিছনের অংশ দিয়ে ঘাড় মাসেহ করতে হবে।
  • এরপর ডান হাত দিয়ে পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে ডান পা টাখনু বা গোঁড়ালি পর্যন্ত ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এমনভাবে যেন আংগুলের ভিতরও কোন ময়লা না থাকে। প্রথমে ডান পায়ের কনিষ্ঠ আংগুল থেকে খিলাল করতে হবে, বাম পা এর ক্ষেত্রে বৃদ্ধাংগুলি থেকে শুরু করতে হবে। এভাবে তিনবার। মোজা মসাহ্‌: যিনি মুসাফির (সফররত) নন তিনি সকালে ওযূ করে মোজা পরে থাকলে পরবর্তী সকাল পর্যন্ত পা না ধুয়ে শুধু মোজার উপর ভিজা হাত বুলিয়ে দিবেন। আর যিনি মুসাফির তিনি ওযু করে মোজা পায়ে রেখে থাকলে তিনদিন পর্যন্ত ওযূ করে মোজায় মসাহ্‌ করতে পারেন (মেশ্‌কাত)।
  • হাত ও পা ধোয়ার সময় আঙ্গুল খেলাল করা।

নোট : প্রসঙ্গত- উল্লেখ্য যে, নিয়মিত দাঁত মাজা রসূল করীম (সাঃ)-এর একটি বিশেষ সুন্নত। এ ব্যাপারে তিনি তাঁর উম্মতকে বিশেষভাবে তাগিদ প্রদান করেছেন। হযরত (সাঃ) বলেছেন, উম্মতের কষ্ট না হলে প্রত্যেক নামাযের পূর্বে তিনি মিসওয়াক করার আদেশে দিতেন।

Default Ad Content Here

Archives

January 2025
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031