রবিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
আলী আজমঃ চলছে হাটহাজারীর অন্তর্গত চারিয়া ইজতিমা ময়দানে চট্টগ্রাম জেলা ইজতিমা। গত কয়েকদিন যাবত লক্ষ-লক্ষ ধর্মপ্রাণ জনতা বিশ্বব্যাপী চলমান ঈমানী দাওয়াতি মেহনতের নির্ভেজাল প্ল্যাটফর্ম দাওয়াতে তাবলীগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইজতিমায় যোগ দিতে চট্টলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চারিয়া ময়দানে সমবেত হয়েছেন। আজ সকাল থেকে জেলা ইজতিমার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবার কথা থাকলেও গতকালই ময়দানে প্রায় মুসল্লিরা জমায়েত হয়েছিলেন। সকালে আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে আরম্ভ হয়ে সুষ্ঠুভাবেই চলছে ইজতিমার কার্যক্রম।
.
ইতোমধ্যে ইজতিমা ময়দান কানায়-কানায় পূর্ণতা লাভ করেছে। ধর্মপ্রাণ জনতার মিলনমেলায় পরিণত চারিয়া ময়দান। চারিদিকে সফেদ জামা-টুপি পরিহিত তাবলীগ প্রেমীদের অভয়ারণ্যে পরিণত। যতদূর দৃষ্টি যায় মানুষ আর মানুষ। এতো বিশাল এলাকাজুড়ে, লক্ষ-লক্ষ জনতার উপস্থিতি যা একসাথে ক্যামেরা বন্ধী করাও দুঃসাধ্য। খোলা আকাশের নিচে পাতলা শামিয়ানা দিয়ে তৈরি প্যান্ডেলের মধ্যে অনেকটা কাদামাটির উপরে দিনাতিপাত করছে ধনী-গরীব ছোট-বড়, সাদা-কালো সর্বস্তরের তাওহীদি জনতা। তাদের মধ্যে নেই কোনো ভেদাভেদ। সবাই যেন একই পরিবারের সদস্য!
.
বিশেষ করে চট্টলার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ দ্বীনি জমায়েত চারিয়া ইজতিমা ময়দানে আজকের রেকর্ড গড়া পবিত্র জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করতে চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে এসেছে লক্ষ-লক্ষ তাওহীদি জনতা। ফলে ইজতিমা ময়দানের আশ-পাশ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের বুকে দ্বিতীয়বারের মত রচিত হয় নতুন ইতিহাস। এ ইতিহাস তাবলীগের প্রচার ও প্রসারের। এই ইতিহাস ইসলামের। এই ইতিহাস নতুন দিগন্তের। বলা যায় এখন চট্টগ্রামের প্রায় এলাকা পুরুষ শূন্য। সবাই চারিয়া ময়দানে ছুটে এসেছে নিজের ঈমানকে বানাতে।
আল্লাহ এই দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রমকে কবুল করুন।