শুক্রবার, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ইসমাইল শুভঃ জনৈক ভাইকে প্রশ্ন করলাম,কান বেশি দরকার নাকি চোখ বেশি দরকার।ভাই উত্তর দিতে ৩০ সেকেন্ড সময় নিলো।একবার চোখে হাত বুলালেন আরেকবার কানে হাত বুলালেন।অপ্রস্তুত থেকেও বুদ্ধিমানের মতো উত্তর দিলেন দুইটাই সমান জরুরি।
জনৈক ভাই বললেন,মুসলমানরা অমুসলিমদের দাওয়াত কিভাবে দিবে!মুসলমান নিজেরাই তো ঠিক নাই।আগে মুসলমানদের দাওয়াত দিয়ে ঠিক করি,এরপর অমুসলিমদের দাওয়াত দিবো।দুঃখিত ভাই,আপনার সাথে একমত হতে পারছিনা।
কেয়ামত এসে যাবে,দুনিয়া পালটে যাবে,কিন্তু মুসলমানদের অবস্থা দিনকে দিন খারাপের দিকেই যাবে ভালোর দিকে যাবেনা।আর এটা নবীজিরই ভবিষ্যৎবানী।
আপনি দাওয়াত দিবেন না,বাতিল আপনাকে দাওয়াত দিবে।আপনি অমুসলিমদের দাওয়াত দিবেন না,অমুসলিম এসে আপনার ভাইকে দাওয়াত দিয়ে যাবে।ফলাফল,উপমহাদেশে গুটি কয়েক গির্জা থেকে আজ সবখানেই গীর্জা।
সেবার আড়ালে,শিক্ষার আড়ালে,কিতাবের মাঝে ধোঁকাবাজি করে,সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে মুসলমান আজ না বুঝে ঈমান হারা হচ্ছে।কোথায় আমাদের আজ দাওয়াত দেয়ার কথা ছিলো!
আমার ভাই,এই কাজ তো আমাদেরই ছিলো।এই কাজ কাফেরদের ছিলোনা।আজ তারা এই কাজকে জোরদার করেছে।হিম্মত করে আপনার ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে এরকম কিছু বিভ্রান্তিকর বই।আপনি কি ভাবছেন এই বইগুলো মুসলমানদের কিতাব!!
বইগুলোর মলাট,প্রচ্ছদ,শিরোনাম দেখে কি মনে হচ্ছে এগুলো ইসলামিক বই!
ইংরেজিতে একটা কথা আছে,”Never Judge a Book By Its Cover”
ও আমার ভাই এই বইগুলো মুসলমানদের ঘরে পাঠাচ্ছে খৃষ্টান এনজিওগুলো,মিশনারি কুচক্রিমহল।বইগুলোতে ইসলামিক পরিভাষা ব্যবহার করে মুসলমানদের মধ্যে নতুন ধর্মের দাওয়াত দিচ্ছে,অপপ্রচার করে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম নিয়ে অপপ্রচারের লীলাখেলায় মত্ত হয়েছে।আর আমরা ঘরে বসে আছি!!
ও আমার প্রিয় দা’ঈ ভাই,মুসলমানকে ঈমান বৃদ্ধির দাওয়াত আর অমুসলমান ভাইকে আগুন থেকে রক্ষা করার জন্য কালেমার দাওয়াত দেয়া তো আমার জিম্মাদারি ছিলো!আজ আমি সেই জিম্মাদারি পুরা করছিনা।ফলাফল হাতেনাতে আমাদের ঘরে আজ কুরআনের বদলে তাদের রচিত কিতাবের স্থান হয়েছে।ও আমার মুহাব্বতের ভাই,সাইকেলের এক চাকা থাকলে কি সামনে আগাতে পারবেন!?
আমাদের কাছে খবর এসেছে,বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি চরে গরীব এলাকায় এনজিওদের কার্যক্রম এতটাই প্রবল যে সেখানের সহজ সরল বোকা মানুষদের কিতাবুল মুকাদ্দাস তথা মানুষ রচিত বাইবেল রেডিওতে তালিম করা হয়।
ভাই আসুন, বেশি থেকে বেশি দাওয়াতের ফিকির করি।মুসলিম অমুসলমান সবার মাঝেই দাওয়াত দেই।নিজের আখলাক,তাকওয়া, আমল,মুয়ামেলাত,মুয়াশেরাত,কথাবার্তার মাধ্যমে।আল্লাহর হুকুম নবিজীর তরিকার মধ্যে সুখ শান্তি আর কামিয়াবি এই কথা ছড়িয়ে দেই বিশ্বের প্রতিটি কাচা পাকা ঘরে।ছড়িয়ে পড়ুক কালেমার দাওয়াত।আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত।