শুক্রবার, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ৬,৩১৬ views | ডিসেম্বর ১, ২০১৯ | ভ্রান্ত ধর্ম,খবর,Religion | No | ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ |
ডাঃ এড্রিক বেকারের টাঙ্গাইল মধুপুর বনে কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্চা কেন্দ্র নিয়ে মিডিয়া সরগরম। বাংলাদেশী ডাক্তারদের আবারো ভিলেন বানিয়ে সাদা চামড়ার বিদেশীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছে সবাই।
যার আড়ালে এই সত্য অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে যে ডাঃ এড্রিক বেকারের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল ক্রিশ্চিয়ান মিশনারীর মাধ্যমে পরিচালিত হাসপাতাল । যে মিশনারীর মুল লক্ষ্য হল ধর্মান্তরিত করে খৃস্টান বানানো । সেখানে সেবার মাধ্যমে স্থানীয় উপজাতিদের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার লক্ষণীয়।
ডাঃ এড্রিক বেকার যে এলাকায় কাজ করত তা ছিল উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা। আর মিশনারী চার্চগুলো এসব এলাকাতেই বেশি দেখা যায়। যাদের কাজই হল ধর্মান্তকরন করা।
যে হাসপাতাল সে চালাত প্যারামেডিকেল দিয়ে। এমিবিএস ডাক্তারগন স্বেচ্ছায় সেখানে কাজ করতে চেয়েও তার অনুমতি পেতনা।
জানি ,অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেননা। কিন্তু বাস্তবতা কারো অবিশ্বাসের ধার ধারেনা। সত্য, চিরকাল সত্যই।
আপনারা খেয়াল করে দেখবেন খৃস্টান মিশনারীগুলো জনবহুল এলাকায় থাকেনা। থাকে রিমোট এরিয়াতে, শহর থেকে দূরে। বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা কিংবা দারিদ্রপ্রবন এলাকা। কারন বিভিন্নভাবে সাহায্যের নাম দিয়ে তাদের ক্রিস্টান বানানো সহজ।
যার কিছু প্রমান আপনাদের দিচ্ছি-
১.১৫৯৯ খৃস্টাব্দে তাদের প্রথম অনুপ্রবেশ ঘটেছিল এ দেশের মাটিতে। সে সময় জেসুইট সম্প্রদায়ভুক্ত পর্তুগীজ খৃস্টাব্দে মিশনারি দের একটি দল যশোর জেলায় আসে।১৬৭৯ খৃ, এর ৪ নভেম্বর গোয়ার অগাস্টিন সম্প্রদায়ের জনৈক সেন্ট(সন্যাসী) তার একটি পত্রে লিখে যে,”যশোরে ২ জন পর্তুগীজ সেন্টের হাতে ৪০০ জন দেশীয় খ্রিষ্টান হয়েছে!!”
২. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে পাবর্ত্যাঞ্চলে ১২ হাজার উপজাতীয় পরিবার খ্রিস্টান হয়েছে।
পাহাড়ি যেসব জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা কম, তাদের প্রায় শতভাগ খ্রিস্টান হয়ে গেছে অনেক আগেই।
এনজিওর নাম ধারণ করে খ্রিষ্টানরা এই দুর্গম এলাকায় হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, গির্জা ইত্যাদি গড়ে তুলেছে। এদের বাজেটের ৯০ শতাংশ অর্থ খ্রিস্টানদের বা খ্রিস্টান হওয়ার সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদের স্বার্থে ব্যয় হয়।
৩. উত্তরাঞ্চলের ১৫ লাখ উপজাতির মধ্যে ছয় লাখেরও বেশি এরই মধ্যে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
৫. রোমের ভ্যাটিকান থেকে ১৯৯০ সালের ৯ জুন রাজশাহীকে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ‘ষষ্ঠ ধর্মপ্রদেশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এ অঞ্চলে উপজাতিদের ধর্মান্তরের কাজ আরো জোরদার হয়।
এবার আসুন হাসপাতালের আড়ালে তারা কি করে তা জেনে নেই-
১. পার্বতীপুরের ল্যাম্ব হাসপাতালের কথা প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু সবাই জানেনা’ হাসপাতালের সেবার আড়ালে সেখানে ধর্মান্তকরনের নীরবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। রোগীদের কুরআনের আয়াত পড়িয়ে ও বাইবেলের বিভিন্ন কোটেশন পড়িয়ে খ্রিস্টধর্মের দাওয়াত দেয়। এভাবে অনেক মানুষ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন- http://archive.is/fzFA4#selection-1513.0-1513.954 , https://www.alkawsar.com/bn/article/1051/
২. দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাসপাতাল ও মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করে কুষ্ঠ রোগ সহ জটিল ব্যাধির চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার চালিয়ে আসছে একটি মাত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখে, তা হলো এ দেশে খ্রিষ্ট ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার। এই সব হাসপাতাল হলো মূলতঃ মানুষ ধরার ফাঁদ ও ষড়যন্ত্রের নীল কুঠি।
৩. যশোর জেলায় ফাতেমা হাসপাতাল নামে একটি মিশনারি হাসপাতাল আছে। নাম মুসলমানের হলেও হাসপাতাল কিন্তু খৃস্টান মিশনারীর। https://tinyurl.com/vd5lwvh
যে হাসপাতালের ফেজবুক পেজে সুন্দর করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্ধেশ্য লেখা আছে এভাবে “ দিনে দিনে বড় হয়ে এখনও এই হাসপাতাল যশোরের বুকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে খ্রীষ্টের প্রেম মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছে”। http://archive.is/3uAMS#selection-609.182-609.307
৪. চার্চ অব বাংলাদেশ নামে একটি খ্রিষ্টান মৌলবাদী এন,জি, ও সংস্থা ১৯৬৫ সালে কক্সবাজারের মালুমঘাটে খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল স্থাপন করে। স্থানীয় জনসাধারণের দরিদ্রতা, অভাব ও নিরক্ষরতার সুযোগ নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ভিগা বি অলসন বিগত ৩৮ বছর যাবত খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারে তৎপর রয়েছে। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে অত্র এলাকায় যেখানে এক জন খ্রিষ্টানও ছিলনা সেখানে বর্তমানে দশ হাজার বয়স্ক নাগরিক খ্রিষ্টান হয়েছে এবং তাদের পরিবার সহ এই সংখ্যা বর্তমানে ৪০ হাজারে উন্নীত হয়েছে। (দৈনিক সংগ্রাম, ২৪অক্টোবর, ১৯৯২)।
মুলত খ্রিষ্টান মিশনারীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের মধ্যে কোন রূপ দ্বিধা থাকা উচিৎ নয়।
মুসলিম রাষ্ট্র সমুহে মিশনারী প্রেরক সমিতির সভাপতি মি.কিস জুয়াইমর মিশনারীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যে মন্তব্য করে তা অত্যন্ত খোলামেলা এবং রীতিমত উদ্বেগজনক। সে বলে: ‘আমাদের খ্রিষ্টান মিশনারীদের বড় উদ্দেশ্য এই যে, যেসব ছাত্র আমাদের স্কুল- কলেজ হতে শিক্ষা সমাপন করে বের হচ্ছে তারা নিশ্চিত রূপে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে, যদিও বের হওয়াটা আনুষ্ঠানিক নয়। —- তার পক্ষ হতে আমাদের অনিষ্টের কোন প্রকার আশংকা নেই। সে আমাদের ও আমাদের মিশনের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করতে পারে না। এটা আমাদের সে সফলতা দুনিয়ায় যার নজীর নেই’ (মাসিক বাইয়েনাত, করাচী, শা’বান-১৩৮৬ হিজরী)।
অতএব যারা ডাঃ এড্রিক বেকার কথিত মানবসেবা নিয়ে গদগদ হচ্ছেন তারা বোকার দুনিয়ায় বাস করছেন। স্বার্থ ব্যতিত কোন মিশনারী বাংলার যমীনে কাজ করছেনা।
ডাঃ এড্রিক বেকার যা করেছে তা তার ধর্মের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা আর টান থেকেই করেছে। সে তার খৃস্টীয় মতবাদকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে, এই দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার টানে নয়।
এবার বুঝলে বুঝপাতা,না বুঝলে তেজপাতা।শুধু আফসোস এতটুকুই যে ২০০ বছর বৃটিশ গুতা গেয়েও বাংগালীর হুশ হয়নি!!!