শনিবার, ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
মায়ানমারে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগানের স্ত্রী আমিনা এরদোগান।
নিজের চোখে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে গিয়ে এখন তা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনেতাদের স্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি।
আমিনা এরদোগান শনিবার এই চিঠি বিশ্বনেতাদের স্ত্রীদের কাছে পাঠান। সেই চিঠিতে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুঃখ-দুর্দশার দিকে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
‘আমি আশা করি নেতাদের স্ত্রী হিসেবে মানবিক প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারি। একজন মা হিসেবে, একজন নারী হিসেবে এবং একজন মানুষ হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের এমন একটি বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে সকলে মানবিকভাবে বসবাস করতে পারবে, কোনো ধরনের জাতিগত ও ধর্মীয় ভেদাভেদ ছাড়া।’ চিঠিতে বলেন, আমিনা এরদোগান।
তিনি বলেন, ‘এক মহিলার কথা শুনছিলাম, যার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, স্বামী এবং সন্তানদের তার চোখের সামনে হত্যা করা হয়েছে। তার কথা আমাকে গভীরভাবে পীড়া দিচ্ছে।’
‘ক্যাম্পগুলোতে অসহায় শরণার্থীদের করুণ দৃষ্টির কথা, আকুতির কথা আমি কখনো ভুলতে পারব না।’ চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করেন এরদোগানের স্ত্রী।
আমিনা এরদোগান বিশ্বনেতাদের স্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মায়ানমারে চলা মানবিক ট্যাজেডির দিকে এখনো আন্তর্জাতিকভাবে জনমত তৈরি হয়নি। এজন্যই রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ এবং লাখ লাখ শরণার্থীদের দুরবস্থা লাঘবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি নিয়ে আসার জন্যই মূলত আমি এই চিঠি লিখেছি।’
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের দুর্দশা নিজ চোখে দেখতে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী আমিনা এরদোগান। এরপর তিনি ছুটে যান কক্সবাজার জেলার বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে তাদের দুরবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। এরপর আমিনা এরদগান তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
সুত্রঃ Insaf24