রবিবার, ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
লুৎফর ফরায়েজীঃ “যার ভয়ে পালিয়ে বেড়াই” তার সাক্ষাতে আসছি আগামী বুধবার জামালপুরের ইসলামপুরে ইনশাআল্লাহ!
এক বিদআতি জনাব এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী চিল্লিয়েছে অনেকদিনঃ তার ভয়ে শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমাদ শফী দামাত ফয়ুজুহু এবং মুনাজিরে জমান আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী দামাত বারাকাতুহু নাকি পালিয়ে বেড়ান।
ভক্তদের সামনে হম্বিতম্বি করে বেড়ানো মানুষটা যখন খুবই বেড়ে গেল। বড়দের ইজ্জত রক্ষায় হক প্রকাশের অসংকোচ মানসিকতায় তার চ্যালেঞ্জটি আমরা গ্রহণ করেছিলাম।
বাকিটা ইতিহাস। তিনি আব্বাসী থেকে বটগাছিতে পরিণত হলেন। তারই প্রস্তাবিত দু’টি স্থান থেকেই পালিয়েছিলেন পারঙ্গমতার সাথে। ফের খানিক সময় এক বটগাছ তলে দাঁড়াতেই পুলিশের দাবরানী খেয়ে উক্ত মহান বীরের ঐতিহাসিক পলায়ন আর ভন্ডামী পুরো জাতির কাছে আজ পানির মত পরিস্কার।
এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে হুলুস্থুল বাঁধানো আমাদের কাজ নয়। আমরা এসব পছন্দও করি না। কিন্তু যখন হক মাসলাকে নোংরা আঘাত আসে, আত্মমর্যাদাবোধের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় তখন ভাল না লাগলেও, মন না টানলেও হক দ্বীনের সত্যতা দলীলের আলোকে প্রতিভাত করতে একদলকে আগাতে হয়।
জামালপুর জেলার প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা আবুল কাসেম হাফিজাহুল্লাহ আজ জানালেনঃ ইসলামপুর থানার কান্দারচর এলাকার বিদআতিরা এলাকায় বিশাল হাঙ্গামা সৃষ্টি করছে। চ্যালেঞ্জের ফুলঝুরিতে তৌহিদী জনতা অতিষ্ঠ হয়ে গ্রহণ করেন তাদের চ্যালেঞ্জ।
চ্যালেঞ্জকারী বগুরার জনৈক আশরাফ আলী সিদ্দীকী। অখ্যাত থেকে বিখ্যাত হবার পুরানো কৌশল অবলম্বন করলেন ভালভাবেই। তিনি নাকি ডামাঢোল বাজাচ্ছেন “ফরায়েজী সাহেব আমার ভয়ে অনেক স্থান থেকেই পালিয়েছে”।
আস্তাগফিরুল্লাহ। আজ প্রথম যার নাম শুনলাম। তার ভয়ে নাকি আমি অনেক স্থান থেকে পালিয়েছি?
অবশেষে প্রশাসন উপস্থিত থাকার শর্তে মহাবীর আশরাফ আলী সিদ্দীকী সাহেবের সাথে বাহাসে বসার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানঃ জামালপুর জেলার, ইসলামপুর থানার কান্দারচর মাদরাসা।
তারিখঃ ১১ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং, রোজ বুধবার।
বিষয়ঃ নূর ও বাশার, মীলাদুন্নবী উদযাপন, প্রচলিত মিলাদ ও কিয়াম, পীরের নামে মান্নত, পীরের পায়ে সেজদা ইত্যাদি।
আমরা আসছি ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা হক মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করুন। সকল ভ্রান্ত মতবাদকে দূরিভূত করুন। আমাদের মাঝে মোহাব্বত ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করে দিন। আমীন।
বিঃদ্রঃ
কিছু ভাইয়েরা উপদেশের ঢালি নিয়ে আসবেন জানি। যদি আমরা আগ্রাসী হয়ে বাহাসে যেতাম তাহলে আপনাদের উপদেশ যুৎসই হতো। কিন্তু আমাদের যখন বাধ্য করা হল তখনো উপদেশবাণী বিতরণ হাস্যকর কাজ বলেই আমাদের বিশ্বাস।