শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
নাজনিন আক্তার হ্যাপী
এটা আমি? উহু! এটা আমার আপন ছোট বোন আলহামদুলিল্লাহ! বিশ্বাস হচ্ছে না? এটা শুধু বিশ্বাস করুন যে, আল্লাহ পাক চাইলে সব সম্ভব। আমার বোন তওবা করে দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ! আমরা তাকে জোর করিনি কখনো, শুধু হেকমতের সাথে দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করেছি।আর মায়ের দোয়া তো আছেই।
সে তার ফেসবুক থেকে সব বেপর্দা ছবি মুছে দিয়েছে, পরিপূর্ণ পর্দা,নামাজ,হারাম-হালাল বেছে চলা, সব শুরু করেছে মাশাআল্লাহ! এবং আমি দেখেছি তার অঝরে কান্না। কেন কেঁদেছে? নিজ গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে, সুবাহানআল্লাহ! বার বার মুখে আসছে “আল্লাহু আকবার”।
ওর নাম পরিবর্তন করে “হাফসা” রাখা হয়েছে, আগের ডাক নাম ছিল পপি। নামটার ভাল অর্থ না থাকায় পরিবর্তন করা হয়েছে।এবং সেও খুব খুশি মাশাআল্লাহ!আমরা সবাই খুশি আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের ঘরটাকে এক টুকরা জান্নাত মনে হচ্ছে।
একটা সময় আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে, আল্লাহ পাক হেদায়েতের মত দামী জিনিস আমাদের দিবেন আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ পাক কোথা থেকে কোথায় এনেছে চিন্তা করলেই শরীর অবশ হয়ে আসে।আল্লাহু আকবর। আল্লাহ পাক চাইলে যে সব সম্ভব।
আমার বোন এবার H.S.C পরিক্ষা দিবে। তারপর ইনশাআল্লাহ একজন ভাল দ্বীনদার ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিবো।
আম্মু যখন দ্বীনের বুঝ পায় তখন খুশিতে পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ! এখন ঘরের সবাই যখন দ্বীনের পথে এখন আমার দিলের অবস্থা কেমন তা কেবল আমার রব জানেন। শুকরিয়ার আদায় করে শেষ করতে পারবো না।
আমার ছোট ভাই পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে মাশাআল্লাহ! সুন্নতী লেবাসে থাকে সবসময়। হারাম হালাল বুঝে চলে মাত্র ৮ বছর বয়সেই।পর্দার বিষয়ে তো খুব কড়া!
সবকিছুর জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারব না। আল্লাহ পাক যা করেন সবকিছুর পিছনে অনেক বড় হেকমত থাকে, যা আমরা সাধারণ মানুষ বুঝি না।সবার কাছে দোয়া চাই ।