রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
খুৎবাঃ আগামী ২৬-২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাচ্ছে তাবলিগ জামাতের চট্টগ্রাম জেলা ইজতেমা। ইজতেমা উপলক্ষে সব ধরনে প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।
চট্টগ্রাম জেলা ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি ও উলামায়ে কেরাম।
তবে ওই ইজতেমায় ৭ জন তাবলিগি মুরুব্বি ও শুরা সদস্যকে অংশ না নেয়ার অনুরোধ করেছে হাটহাজারী উলামা পরিষদ।
এ বিষয়ে ২২ জানুয়ারি কাকরাইলের আহলে শুরা বরাবর হাটহাজারী উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, উলামায়ে দেওবন্দের কোন ব্যক্তির সাথে কোনো দুশমনি নেই। কেবল দীন ও দাওয়াতের কাজের হেফাজতের স্বার্থে তারা একটি সম্মিলিত অবস্থান নিয়েছেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উলামায়ে দেওবন্দের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে কিছু মানুষ মাওলানা সাদ সাহেবকে বাংলাদেশে এনেছেন। সংঘঠিত পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী। তারা সাধারণ তাবলিগি সাথীদের উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চাচ্ছে। এমনকি উলামাদের শানে বিভিন্ন বেয়াদবিমূলক কথা বলছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, তাবলিগ সংক্রান্ত বিষয়ে মুহতারাম মাওলানা সাইয়িদ আরশাদ মাদানি ও (দেওবন্দের মুহতামিম) মাওলানা আবুল কাসেম নোমানীকে হুমকি দিয়ে অডিও বার্তা ছাড়া হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রামের উলামায়ে কেরাম ও মুসলমান জনগোষ্ঠী চান না, বিতর্কিত ব্যক্তিগণ চট্টগ্রামের ইজতেমায় শরিক হোক।
চিঠিতে ৭ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তাদের ইজতেমায় অংশ না নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এরা হলেন-
১। জনাব ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলাম ২। জনাব শাহাবুদ্দীন নাসিম ৩। ইঞ্জিনিয়ার ইউনুস শিকদার ৪। মাওলানা শেখ আবদুল্লাহ ৫। মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ ৬। মাওলানা আশরাফ আলী ৭। মাওলানা আনাছ বিন মুজ্জাম্মেল হক।
চিঠিতে চট্টগ্রামের উলামায়ে কেরামের পক্ষে স্বাক্ষর করেন, মাওলানা নোমান ফয়জী (সভাপতি, হাটহাজারী উলামা পরিষদ ও পরিচালক, মেখল হামিউস সুন্নাহ মাদরাসা)।
মাওলানা আহমদ দিদার (সিনিয়র সহ সভাপতি হাটহাজারী উলামা পরিষদ ও মুহাদ্দিস, হাটহাজারী মাদরাসা)
মাওলানা জাফর আহমদ (সাধারণ সম্পাদক, হাটহাজারী উলামা পরিষদ ও সহকারী পরিচালক, বাথুরা মাদরাসা)