শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
আবারো কাজী ইব্রাহিম! এবার সাক্ষাতের সম্ভাবনা মাদারীপুরের রাজৈর থানার কবিরাজপুরে!
সফরে সফরে ক্লান্ত বদন। ঠান্ডাও লেগেছে খানিক। কিন্তু লা-মাযহাবী দোস্তরা আমাদের অবসর নিতে দেবে না বলে শপথ করেছে। দ্বীনের প্রচার, শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম রোধ করে তাদের উস্কে দেয়া ইখতিলাফী মাসায়েল নিয়ে ব্যস্ত করতে সদা উৎসাহী তারা।
কাজী ইব্রাহীম সাহেবের সাথে দ্বীনী মুজাকারায় বসার ইচ্ছে অনেক দিনের। গত বছর কুমিল্লার মুরাদনগরের এক মাহফিলের ষ্টেজে দেখাও হয়েছিল। আমাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু অনেকটা জোর করেই মুসাফাহা করি। কানে কানে বলেছিলামঃ আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল। কখন সময় দিবেন?
ফ্যাকাসে চেহারায় বলেছিলেনঃ অন্য সময়। বলেই আর না দাঁড়িয়ে হন্তদন্ত হয়ে ষ্টেজ থেকে নেমে গিয়েছিলেন।
ছোটখাট মানুষটা বেশ চালাক। তা তার আশেপাশের সবাই বলেন। কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাটি আমরা পছন্দ করি না। তাই তার দ্বিতীয় বিয়ে শাদী নিয়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিচ্ছু বলবো না।
কিন্তু তিনি যে, নামাযে আমীন জোরে বলা নিয়ে আপত্তিকারীদের ইহুদী খৃষ্টানের রক্ত ধারণকারী বলে অমার্জনীয় অপবাদ আরোপ করেছেন, এ বিষয়ে অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করবো। তার কাছে এর সঠিক জবাব চাইবো। এটা চাওয়ার অধিকার অবশ্যই আমাদের আছে।
আগামীকাল ২০ই অক্টোবর, ২০১৭ঈসাব্দ, রোজ শুক্রবার, কাঁচাবালী মধ্যপাড়া জামে মসজিদ মাঠে তিনি আসছেন। কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জীবন গড়ার ওয়াজ করবেন বলে।
স্থানীয় আলেমরা অধমের সাথে যোগাযোগ করলেন। আমাকেও থাকতে হবে। স্বীয় দাবী অনুপাতে যিনি নিজেকে ভরা কলস পদবীতে ভূষিত করেছেন সেই শায়েখ কাজী ইব্রাহীম সাহেবের সাথে দ্বীনী কথা বলতে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকে জানানো হয়েছে, আগে উলামাদের সাথে কাজী সাহেবরা বসবেন, তারপর মঞ্চে যাবেন বয়ান করতে।
কোন বিশৃংখলা নয়। নয় কোন ঝগড়া-বিবাদ।
সুন্দর পরিবেশে, শান্ত পরিবেশে আলোচনা হোক। উলামাদের মজলিসে সমাধান হোক।
কুরআন হাদীস পড়তে না জানা আম জনতাকে বিভ্রান্ত না করে, বিভক্ত না করে, আগে আলেমরা বসে বিষয়গুলো সমাধান করুক।
শান্তিপূর্ণ এ আহবান নিয়ে স্থানীয় উলামাগণ সেখানে থাকবেন। অধমও তাদের খাদিম হিসেবে উপস্থিত থাকবো ইনশাআল্লাহ।