শনিবার, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী সবচে’ বেশি। কথা সত্য। কিন্তু শরণার্থী শুধু এখানেই আছেন একথা ঠিক নয়।
বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় প্রচুর পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন।
কুতুপালং, পালংখালী, বালুখালী, লেদাক্যাম্প ও উনছিপ্রাং ইত্যাদি আশ্রয় শিবিরে আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম চলছে উল্লেখযোগ্য হারে। আলহামদুলিল্লাহ। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবু চলছে।
দেশ বিদেশের সাহায্যসহ আমাদের দেশীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের ব্যাপক অনুদান যাচ্ছে সেখানে।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, চোখের আড়ালে রয়ে গেল নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রয় নেয়া অসহায় রোহিঙ্গারা। আমি এখন পর্যন্ত আমাদের কোন ত্রাণের দলকে নাইক্ষ্যংছড়িতে সহযোগিতার জন্য গিয়েছেন মর্মে সংবাদ পাইনি।
তাহলে কিভাবে দিন কাটছে সেখানকার শরণার্থীদের?
স্থল মাইনের আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের হাজারো আশ্রয়প্রার্থীরা।
খাবার শংকট, পানি নেই। সীমান্তে গুলির আওয়াজ, অসুস্থ্য, গুলিবিদ্ধ হাজারো মানুষের আর্ত চিৎকারে এক বিভৎস জনপদে পরিনত হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত।
তাই সকল ত্রাণ বিতরণকারীদের অনুরোধ। করজোড় অনুরোধ। এদিকেও নজর দিন। এখানেও প্রতিনিধি পাঠান। সহযোগিতা কিছুটা হলেও পৌছে দিন নিঃস্ব আশ্রয়প্রার্থীদের কাছে।