শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ১,৪১৫ views | অক্টোবর ৩০, ২০১৭ | শিয়া,ভ্রান্ত ধর্ম | No | ৭:২৫ অপরাহ্ণ |
হিজরী ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রসিদ্ধ শীয়া আলেম আবু মনসুর আত- তাবরেসী লেখেন:
ولو شرحت لك كلما أسقط وحرف وبدل مما يجري هذا المجري لطال وظهر ما تحظر التقية إظهاره من مناقب الأولياء ومثالب الأعداء.
তরজমা:
আর যদি আমি তোমাদের সামনে একথা প্রকাশ করে দিই যে, কুরআন থেকে কী বের করে দেয়া হয়েছে আর কী পরিবর্তন ও বিকৃতি সাধন করা হয়েছে, তাহলে কথা খুব দীর্ঘ হয়ে যাবে এবং সেসব বিষয় প্রকাশ হয়ে যাবে যা তাকিয়া প্রকাশ করতে বারণ করে৷ অর্থাত্ আউলিয়ার চরিত্র ও শত্রুদের দোষত্রুটি৷
সূত্রঃ আল- ইহতিজাজ তাবরেসী কৃত, ১/২৫৪
একাদশ শতাব্দীর এক শীয়া বিশ্লেষক মোল্লা মোহসিন কাশানী আল্লামা তাবরেসীর উপর্যুক্ত বক্তব্য উল্লেখ করে লেখেন:
المستفاد من جميع هذه الأخبار وغيرها من الروايات من طريق أهل البيت عليهم السلام أن القرآن الذي بين أظهرنا ليس بتمامه كما أنزل علي محمد صلي الله عليه وسلم وآله، بل منه ما هو خلاف ما أنزل الله ومنه ما هو مغير ومحرف وأنه قد حذف عنه أشياء كثيرة منها إسم علي عليه السلام في كثير من المواضع ومنها لفظة آل محمد صلي الله عليه وسلم غير مرة ومنها أسماء المنافقين في مواضعها، ومنها غير ذالك وأنه ليس أيضا علي الترتيب المرضي عند الله ورسوله صلي الله عليه وسلم وآله وبه قال علي بن إبراهيم.
তরজমা:
উল্লেখিত হাদীস ও আহলে বাইতের অপরাপর বর্ণনাবলী দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান যে কুরআন আমাদের সামনে রয়েছে, তা রাসূল সাঃ এর যেভাবে নাযিল হয়েছিলো সেভাবে পরিপূর্ণ নেই৷ বরং এতে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত কালামের খেলাফ৷ এমন বিষয়ও রয়েছে যার পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে এবং বিকৃত করা হয়েছে৷ আর বর্তমান কুরআন থেকে অনেককিছু বের করে দেয়া হয়েছে৷ তন্মধ্যে হযরত আলী রাঃ এর নামও ছিলো৷ যা (কুরআনের) বহু জায়গায় ছিলো৷ এরকম “আলে মুহাম্মদের” বিভিন্ন শব্দ বের করে দেয়া হয়েছে যা বেশ কয়েক জায়গায় ছিলো৷ এরকম অনেক মুনাফিকের নামও বের করে দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া আরও অনেক বিষয়৷ আরেকটি বিষয় হলো, বর্তমান কুরআনের বিন্যাস সেরকম নয় যেরকম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পছন্দনীয় হয়৷ একই কথা (শীয়াদের প্রসিদ্ধ মুফাসসির) আলী ইবনে ইবরাহীমও বলেছেন৷
সূত্রঃ তাফসীরে ছাফী, ১/৩২, ইরানে প্রকাশিত৷ উপর্যুক্ত উভয় বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে “নাম ও নসব” কিতাবের ৪৬৭, ৪৬৮ পৃঃ থেকে৷
ক্রমশঃ ইনশাআল্লাহ