মঙ্গলবার, ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

তারাবি শেষ হয়নি, সৌভাগ্যের রজনীগুলো এখনো বর্তমান


গতকাল অধিকাংশ মসজিদে কোরআন খতম হয়েছে। আল্লাহ তৌফিক দিয়েছিলেন বলেই আমরা খতম করতে পেরেছি। তাঁর দয়া না হলে আমরা পারতাম না। কোনো সন্দেহ নেই, বান্দার ওপর রব্বে কারিমের সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ হলো, তাঁর কালাম পড়তে পারা, শুনতে পারা।

বান্দা যখন কোরআন পড়ে, তখন তার জিহ্বাটাই শুধু নড়ে। মূল কারি, মূল পাঠক তো হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়লা। আহা! আমি আমার গান্দা জবান নাড়াচ্ছি, আর আমার আল্লাহর কালাম সেখানে জারি হয়ে যাচ্ছে। আমার কানে কোরআনের অমীয় বাণী পৌঁছে যাচ্ছে। এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কী হতে পারে? আর সে সৌভাগ্যটাও যদি পাওয়া যায় সালাতে, আল্লাহর সঙ্গে কানাকানি করার মুহূর্তে, রমজানের পবিত্র রজনিগুলোয়! তাহলে তো ‘নূর আলা নূর’। সোনায় সোহাগা।

গত ২৭ রাত আমরা তারাবিতে সেই নেয়ামত পেয়েছি। তারাবির নেয়ামত আরও দুই-তিন দিন পাওয়া যাবে। সৌভাগ্যের রাতগুলো এখনও ফোরায়নি। এখনও তা বর্তমান।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি পড়ে) নফল সালাত আদায় করে তার পূর্ববর্তী গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বোখারি : ৩৭, মুসলিম : ৭৫৯)। (আল্লাহ তায়ালা আমলের সৌভাগ্য দান করুন)।

লেখক:মাওলানা রাশেদুর রহমান ।। পেশ ইমাম ও খতীব, কেন্দ্রীয় মসজিদ, বুয়েট

Archives

July 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031