রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
Admin | ১,৪৩১ views | অক্টোবর ৫, ২০১৭ | ভ্রান্ত ধর্ম,শিয়া | No | ৭:৩১ অপরাহ্ণ |
লিসানুল হকঃ শীয়াদের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও প্রামাণ্য কিতাব “উসূলে কাফী” (যে কিতাব সম্পর্কে খোমেনী সাহেবও তার “কাশফুল আসরার” কিতাবের 227 পৃষ্ঠায় “সবচেয়ে সম্মানিত কিতাব” বলে অভিহিত করেছেন) যা লেখা আছে তা নিম্নরূপঃ
فإذا قام القائم عليه السلام قرأ كتاب الله عز وجل علي حده وأخرج المصحف الذي كتبه عليّ عليه السلام وقال: أخرجه علي عليه السلام إلي الناس حين فرغ منه وكتبه فقال لهم: هذا كتاب الله عز وجل كما أنزله [الله] علي محمد صلي الله عليه وسلم وقد جمعته من اللوحين فقالوا: هو ذا عندنا مصحف جامع فيه القرآن لا حاجة لنا فيه، فقال: أما والله ماترونه بعد يومكم هذا أبدا. إنما كان علي أن أخبركم حين جمعته لتقرؤوه.
اصول کافی. ص ۴۴۴. جلد ۴
তরজমা:
“যখন কায়েম (অর্থাত্ ইমাম মাহদী) আবির্ভূত হবেন তখন তিনি কুরআনকে বাস্তবিক ও বিশুদ্ধভাবে পড়বেন এবং কুরআনের সেই কপি বের করবেন যেটা আলী আলাইহিস সালাম লিখেছিলেন ৷ আর ইমাম জাফর সাদেক একথাও বলেছেন যে, যখন আলী আলাইহিস সালাম তা লিখে ফেললেন এবং সমাপ্ত করলেন তো লোকজনকে (অর্থাত্ আবু বকর উমর প্রমুখ) বললেনঃ এটা আল্লাহর বিশুদ্ধ কিতাব যেভাবে আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ করেছেন ঠিক সেভাবেই আমি এটাকে দুই লওহ থেকে সংকলন করেছি ৷ তখন তাঁরা (আবু বকর, উমর, উসমান রাঃ প্রমুখ) বললেনঃ আমাদের কাছে এই পূর্ণ মাসহাফ মওজুদ আছে ৷ এতে পূর্ণ কুরআন একত্রিত করা হয়েছে ৷ তোমার সংকলিত কুরআন আমাদের দরকার নেই ৷ তখন আলী আলাইহিস সালাম বললেনঃ আল্লাহর কসম, আজকের পর থেকে তোমরা কখনোই এটা দেখতে পারবে না ৷ তবে তোমাদের যতটুকু জানানো দরকার ছিলো আমি সেই দায়িত্ব আদায় করেছি ৷” উসূলে কাফী, 444/4
শীয়াদের মতে কুরআনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ গায়েব:
উসূলে কাফীর মূল বক্তব্য দ্রষ্টব্যঃ
إن القرآن الذي جاء به جبرائيل عليه السلام إلي محمد صلي الله عليه وسلم سبعة عشر ألف آية.
জিবরীল আলাইহিস সালাম যে কুরআন এনে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন তাতে সতেরো হাজার আয়াত ছিলো ৷ উসূলে কাফী, 446/4
সম্মানিত পাঠক,
বর্তমান যে কুরআন সারাবিশ্বে পঠিত হয় তার আয়াত সংখ্যা সাত হাজারেরও কম ৷ নাউযুবিল্লাহ শীয়াদের মতে তাহলে দুই তৃতীয়াংশ কুরআন গায়েব!!
ক্রমশঃ ইনশাআল্লাহ