শুক্রবার, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি, জামিয়া কাসেমীয়া আশরাফুল উলুম ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, খতীবে বাঙ্গাল আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব গত কাল নিজের প্রতিষ্ঠিত জামিয়া কাসিমিয়া আশরাফুল উলূম মাদরাসার শিক্ষকদের বার্ষিক মাহফিল বাস্তবায়নের লক্ষে মত বিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জন্যে দুই ঈদ। ১/ ঈদুল ফিতর, ২/ ঈদুল আজহা।
তিন নাম্বার কোন ঈদ এ উম্মতের জন্যে পালন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা সকল ঈদের সেরা ঈদ, “ঈদ এ মিলাদুন নবী” পালন করে তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্তরভুক্ত নয়।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মিলাদ, সীরাত ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা বর্ননা করে বলেন, (বার্থডে) জন্ম দিবস পালন করা খৃষ্টানদের কাজ, মুসলমানদের কাজ নয়। এ উম্মত মিলাদী উম্মত নয়, এ উম্মত ইনকেলাবী উম্মত।
তিনি বলেন, আমাদের আকাবের, আসলাফ বুযুর্গানে দ্বীন “হযরত ফখরে বাঙ্গাল রহ., হযরত বড় হুজুর রহ. মুফতী সাহেব হুজুর রহ. ও মুফতী আমিনী রহ. আমাদের কে যে পথের উপর রেখে গেছেন আমরা সেই পথ থেকে একচুল পরিমান নড়াচড়া করতে রাজি নয়।
তিনি বলেন, উল্লেখিত বুযর্গানে দ্বীন তারা আজ বেচে নাই কিন্ত্ত, তাদের উৎর্সুরি হাজারো লাখ মুজাহিদ রয়েছে। তারা১২ রবিউল আউয়াল পালন, জুশনে জলুসের নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বেদয়াত কায়েম করতে কাউকে দেবে না ইনশাআল্লাহ।
খতীবে বাঙ্গাল আরো বলেন, ছহীহ দ্বীন ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা প্রচার প্রসার, বাস্তবায়ন এবং সকল বাতিলের মোকাবেলায় যেভাবে আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমাদের ও সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে।
আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব শেরে বাঙ্গাল, মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ. এর আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস উল্লেখ করে আরো বলেন, “উনাকে ২১ মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে কিন্ত্ত গৃহবন্দি অবস্হা থেকে তিনি ইন্তেকাল করলে তার জানাজায় ১০ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছে”। আল্লাহ ইজ্জত দিলে এভাবেই দেন এবং এটাই তার মাকবুলীয়াতের লক্ষন।