বুধবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
বগুড়ায় অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে গোয়েন্দা পুলিশ দুটি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে। রোববার রাতে শহরের জামিল নগর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে, সদর থানার পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে সাত খুনসহ ১৩ মামলার আসামী জালাল হোসেন ঝন্টুকে (৪০) গ্রেফতার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক ও তার প্রেমিকা শামিমা আক্তার সুমি মিলে অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে গেলে গোয়েন্দা পুলিশ শহরের জামিল নগরে অভিযান চালায়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলি। গ্রেফতারকৃত সুমির স্বামী গাবতলী উপজেলার রামেশ্বপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আবু শাহীন সৌদি প্রবাসী। সুমি শহরের জামিল নগরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন এবং একটি কোচিং সেন্টারে চাকরি করেন। সেই সুবাদে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকের সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোস্তাক গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স হওয়ায় দুজন পরামর্শ করে প্রতিবেশী একজনকে অস্ত্র দিয়ে ডিবি পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে। তবে, ডিবি পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি।
অপর দিকে বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে শহরের কলোনী এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ১ রাউন্ড গুলিসহ ১৩ মামলার আসামি জালাল হোসেন ঝন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঝন্টু শহরের চকফরিদ কলোনী এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৭টি হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।