শুক্রবার, ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
গত ১৩/০৯/১৭ তারিখে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও পূর্ব সমাবেশে,
নায়েবে আমীর, সৈয়দ মুফতি মোঃ ফয়জুল করীম দাঃ বাঃ এর বক্তৃতার পুরো অংশ লিখিত আকারে…………………।
মিয়ানমার দূতাবাসকে ঘেরাও উপলক্ষে,
ঘেরাও পূর্ব সমাবেশের সম্মানিত সভাপতি, শ্রদ্ধাভাজন সেরেতাজ আমীর, সর্বস্তরের জনগণ ভাইয়েরা আমার,
আসলে আমার প্রোগ্রাম চিটাগং ছিল, আজকেও চিটাগং প্রোগ্রাম, আমার আসার কথা ছিল না। কিন্তু , আমার বিবেক আমাকে আসতে বাধ্য করেছে, যেহেতু আমি ১১ তারিখ সেই টেকনাফে গিয়েছিলাম । সেখানকার মানুষের করুন অবস্থা বর্ণনা করার মতো নয়। এমন কোন ভাষা বা সাহিত্যিক নাই, যে সাহিত্য বা ভাষার মাধ্যমে , বাস্তব অবস্থা তুলে ধরা সম্ভব। একমাত্র এই চক্ষুই বলতে পারে, সেখানকার অবস্থা কি! হাজারো মানুষের চেহারার মধ্যে ক্ষুদার ছাপ, ভীতির ছাপ, জামা কাপড়ের বেবস্থা নাই, গায়ের মধ্যে কাঁদা, মুখের মধ্যে বমি, কেউ বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে আছে, কেউ চক্ষু উপড়ে গেছে, কেউর হাত নাই, কারোর বাবার শোকে ক্রন্দন করতেছে, কারো বাচ্ছার শোকে ধুঁকে ধুঁকে মরতেছে, বাংলাদেশের মানুষ, দেখার মতো নয়, বৃষ্টি পড়ছে, গায়ের উপর বৃষ্টি, আবার ঐ গায়ের মধ্যেই শুকাচ্ছে, দ্বিতীয় কোন বস্রের বেবস্থা তাদের মধ্যে নেই। শুধু তাই নয়, সেখানকার করুণ অবস্থা যদি কোন মানুষ দেখে, মানুষের বিবেক সাড়া না দিয়ে নাড়া না দিয়ে পারে না।
আমি অং সং সূচি কে বলতে চাই,
রক্ত শুধু রক্তই চায়,
লাশ আরেকটা লাশ কে দেখতে চায়,
জুলুম জুলুম চায়,
বাংলাদেশের মানুষ, গোটা দুনিয়ার মানুষ আরাকান কে জয় করবে, ঐ দেশ কে স্বাধীন করবে, ইনশাহআল্লাহ।
প্রস্তুত থাকতে হবে।
রক্ত রক্ত চায়,
লাশ লাশ চায়,
জুলুম জুলুম চায়।
যাদের কে দেশ থেকে হটানো হয়েছে, তারা ঐ দেশ কে দখল করবে ইনশাহআল্লাহ।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার,
যখন গোটা দুনিয়ার বিবেক নাড়া দিচ্ছে, তখন আমাদের ঘৃণিত খাদ্য মন্ত্রী কামরুল, সেখানে খাদ্য কিনতে গিয়ে, কাঁটা গায়ের মধ্যে নুনের ছিটা দিয়েছে।
মুসলমানের গালের মধ্যে থুক মেরেছে, অপমান করেছে, গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের কে। থুক তোমার চেহারার মধ্যে, তুমি ৯২% মুসলমানের দেশের খাদ্য মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখো না। তুমি মিয়ানমারের অং সং সূচির খাদ্য মন্ত্রী হতে পারো, বাংলাদেশের নয়। এদেশের খাদ্য মন্ত্রী তুমি হতে পারো না।
আমি গোটা দুনিয়ার মানুষদের কে বলতে চাই, অতিসত্বর জাতি সংঘের কফি আনান, যে প্রস্তাব দিয়েছে, সে প্রস্তাব কে বাস্তবায়ন করা হোক।
জাতি সংঘের শান্তি বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গঠন করা হোক।
গোটা দুনিয়ার মুসলমান গোটা দুনিয়ার শক্তি একত্রিত হয়ে, ঐ অং সং সূচি কে বিশ্ব আদালতে বিচার করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হোক। এবং আরাকান কে স্বাধীন করে, এই মানুষ গুলাকে সেখানে নিয়ে তাদের নাগরিত্ব ফিরিয়ে দেয়া হোক।
সেই দিনের আশায় আসি, যেই দিন সমস্ত রোহিঙ্গারা তাদের দেশে গিয়ে , বুক উচা করে চলতে পারবে। তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।
আল্লাহ পাক আমাকেও কবুল করে নেন। আমাদের সবাইকে কবুল করে নেন।