শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাকরাইলে জুবায়ের সাহেব হুজুরের অসিয়ত

Image may contain: one or more people, people standing and outdoor

গতকাল কাকরাইলে সারা দেশের জিম্মাদার সাথী ও জেলা মার্কাজে আহলে শুরাদের নিয়ে ৪৮ঘন্টার তৈমাসিক জোড় শেষ হল। জোড়ের শুরুতেই মুসলিম উম্মাহর বর্তমান বিপর্যস্ত পরিস্তিতে উম্মাহর কী করণীয় কাজ সে সম্পর্কে ভাই হযরতজি হাজি আব্দুল ওয়াহাব ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম এর পক্ষ থেকে মুবাল্লীগদের উদ্দেশ্যে লেখা দীর্ঘ পত্র পাঠ করে শুনানো হয়।

Default Ad Content Here

জোড়ে কাকরাইলের হাফেজ মাওলানা জুবাইর ছাহেব দা.বা, মাওলানা উমর ফারুক দা.বা, মাওলানা রবিউল হক দা.বা, মাওলানা আহমদ হুসেন দা.বা, মাওলানা আব্দুল মতিন দা.বা সহ আহলে শূরা ও কাকরাইলের সকল উলামায়ে কারাম সবাক্ষনিক উপস্থিত ছিলেন।

বিসমিল্লাহ হিররাহমানির রাহিম
দাওয়াত ও তাবলীগ
দুনিয়াজুড়ে ৬৪জেলার সংক্ষিপ্ত হালত ও কারগুজারী শুনার পর বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কারগুজারি ও হালত শুনেন বড়রা। জোবাইর সাহেব দা.বা রোহিঙ্গা মুসলমানদের কথা শুনে কেঁদে দেন। সাথে সকল মোবাল্লাগগন। হযরত আরকান সফরের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মুহাজিরদের মর্যাদা ও আনসারদের ফজিলত বর্ণনা করেন। পাশাপাশি মুহাজিরদের আল্লাহর জন্য এখলাসের সাথে নুসরতের বরকত, মর্যাদার কথা বলেন।

ঢাকার ব্যবসায়ীদের সকল জামাত, ও ঢাকার বাহিরের নুছরতের জামাতকে কাকারাইল থেকে জামাতবন্দি হয়ে, হেদায়তের কথা শুনে টেকনাফে যাবার কথা বলেন। চট্টগ্রামের সাথীরা, বা পাশ্ববর্তি জেলার জামাত লাভ লেইন মসজিদ থেকে যাবার সিদ্ধান্ত দেন। এছাড়া দেশের সকল জামাত কাকরাইল থেকে লাভলেইন ও কক্সবাজার মার্কাজে উঠে যাবার পরামর্শ দেন। লাভলিন ও কক্সবাজার মার্কাজে রাহবারদের বিশেষ জামাত থাকবে।

এছাড়া জান-মালের নুছরতের পাশাপাশি মুহাজিরদের মদীনার মেহনতের নমুনায় ইসলামের প্রথম যুগের মতো ঈমান আমলের মেহনত করা। তালিম তরবিয়ত ও বাচ্ছাদের দ্বীন শেখানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বদেন। এক্ষেত্রে শরনার্থীদের নুছরতের জামাতে আলেমদের সাথে রাখার বা জিম্মাদার করার বিশেষ পরামর্শ দেয়া হয়। সালে চলনেওয়ালা উলামাদের সেখানে মেহনতের জন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সাথীদের মাস্তুরাত সহ রোহিঙ্গা নারীদের নুছরতের পরামর্শ দেন।

তবে সবকিছু যেন স্থানীয় নিজ জেলার মার্কাজের পরামর্শ ও কাকরাইলের হেদায়তের আলোকে এখলাসের সাথে হয়। ছবি তুলে বা লোক দেখানোর নিয়তে যেন এত উচা আমল নষ্ট করা না হয় সে পরামর্শ দেয়া হয়। প্রসাশন, এনজিও ও মিডিয়াকে এড়িয়ে লিল্লাহিয়তের সাথে যেন কাজ করা হয় সে বিষয়ে বড়রা গুরুত্বারোপ করেন।

হে আল্লাহ, আনসার ও মুহাজিরদেরকে তুমি ক্ষমা করে দাও। এখলাছের সাথে কাজ করার তাওফিক দান কর। তোমার গায়বি নুছরত দিয়ে মালামাল কর। পুরো উম্মতকে এক ও নেক হবার তাওফিক দান কর আমিন। ও হেফাজত করে ঈমান ও আমলে পূর্ণতা দান কর। আমিন।

Archives

November 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30