মঙ্গলবার, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
তুমি একটি জীব। দু’পেয়ে প্রাণী। চেহারাটা মানুষের। চামড়াটা মালিকের দয়ায় পেয়েছো ইনসানের। আখলাকে চরিত্রে তুমি কুরআনের ভাষায় “বালহুম আদ্বাল্ল” তথা নিকৃষ্ট পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।
তোমার চোখে ইসলাম বর্বরতার ধর্ম। তোমার গান্ধা নজরে মুসলিমরা টেররিষ্ট। তোমার দুর্গন্ধময় কলমে প্রসব হয় “নবী মুহাম্মদ জালিম” [নাউজুবিল্লাহ]। রক্ত আর তলোয়ারের জোরে ইসলাম ছড়িয়েছে বিশ্বময়।
তোমার পত্রিকা। তোমার মিডিয়া আমাদের দোষ তিল থেকে তাল বানিয়ে দেখায় পুরো জগতে। আমরা খুনি। মানবতার দুশমন। হিংস্র।
আমি তোমাকেই বলছি। ওহে! তোমাকেই বলছি কথিত মানবিক নাস্তিকটা!
একবার তাকাও বাংলার ভূখণ্ডে। বন্যার আঘাতে লণ্ডভণ্ড এক জনপদ। নিঃস্ব অসহায় মানুষের গগণবিদারী আর্তনাদ। এক মুঠো ভাতের আশায় চাতক পাখির ন্যায় হাত বাড়ানো সহায় সম্বলহীন পীড়িত মানুষ।
ফের তাকাও! চোখে সমস্যা হলে চশমাটা লাগাও। পাওয়ারী চশমা। রঙ্গিন লাগিওনা। সফেদ সাদা চশমা।
দেখো! ভাল করে। ঐ কারা? কারা ছুটছে দুঃখী মানুষের পাশে। কাদের হাতে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাবারের প্যাকেট। তৃষিত আদমের জন্য বিশুদ্ধ পানির বোতল। অসহায়ের দিকে কাদের বাড়ানো দয়ার্দ্র হাত? কারা ছুটছে সেই সুদূরের কুড়িগ্রাম দিনাজপুর, লালমনি আর পঞ্চগড়ে। সাধ্যের সবটুকু দিয়ে কাড়া বিলাচ্ছে ত্রাণ?
ওরা কারা?
হায়!
মুখ ভরা মানবতার বুলি আওড়ানো নাস্তিকটা কোথায়?
বিদেশ থেকে দানের নামে হাতড়ানো কোটি টাকার মালিক এনজিওগুলো কোথায়?
এতো দেখি টুপিওয়ালাদের আধিপত্ব। চারিদিকে মুসল্লিদের ঢল। দাড়িওয়ালাদের আনাগোনা। ধার্মিকদের পদভরে মুখরিত প্লাবিত জনপদ।
কিন্তু তুমি কোথায়?
এবার রক্তাক্ত আরাকান।
বর্বর হালাকু খাঁ এর প্রেতাত্মা যেখানে কবর খুঁড়ে উঠেছে ফের। রক্তখেকো ড্রাকুলা যেখানে হামলে পড়েছে নিরীহ জনতার উপর। পিশাচের উল্লাসে কাঁদছে মানবতা।
মসজিদের মিম্বরগুলো এখন একেকটি দাতা সংস্থা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি যেখানে সর্বস্ব বিলিয়ে মানবতার নজীর স্থাপনে মরিয়া।
এখানেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ যেন কথিত মানবিক নাস্তিকদের গালে একেকটি চপেটাঘাত।
ইসলাম মানবতার। ইসলাম মানবিকতার। ইসলাম শান্তির। বিদ্বেষীর শত প্রোপাগান্ডার পরও এ সত্য দীপ্যমান। এ সত্য মুছা যাবে না। আরো দীপ্তীময় হবে। প্রস্ফুটিত আলোর বিচ্ছুরণে। ইনশাআল্লাহ। ছুম্মা ইনশাআল্লাহ।