সোমবার, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
কুতুপালং ক্যাম্প ছাড়াও উখিয়া – টেকনাফ রোডে আরো বহু ক্যাম্প রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, প্রতিটি ক্যাম্পে মারকায হিসেবে একটি করে মসজিদ নির্মাণ করবো। যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের অন্যান্য মক্তব-মাদরাসাগুলো তদারকি করা যায়। বিষয়টি মাথায় নিয়ে গতকাল ও আজ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা খুব আগ্রহ দেখালেও একজন সেনা কর্মকর্তা বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানালেন, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্প থেকে ইনানি পর্যন্ত কয়েক শতাধিক পাহাড় শরণার্থীদের জন্য সরকার বরাদ্ধ করেছে। অতিশীঘ্রই আশেপাশের ছোট ছোট সব ক্যাম্পকে এখানে স্থানান্তরিত করা হবে। তারপর নোয়াপাড়া ও লেদা ক্যাম্পের মত চতুর্পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সিলগালা করে দিবে। মূল গেইটে থাকবে কড়া প্রহরা। যেন ভিতরের কেউ বাহিরে আসতে না পারে এবং বাহিরের কেউ ভিতরে যেতে না পারে। পাহাড়ী অঞ্চলের মানচিত্র ও পাহাড়ের নম্বরও নাকি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অপেক্ষা শুধু নির্দেশের।
তাই যারা কুতুপালং ছাড়া অন্য কোন ক্যাম্পে কোন স্থাপনা তৈরি করতে চান, যেমন মসজিদ, টয়লেট, গোসলখানা কিংবা ঘর তারা অবশ্যই ‘স্থানান্তরযোগ্য’ নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করুন। যেন আপনার এই খেদমত দু’দিনের ব্যবধানে বেকার নষ্ট না হয়।
উল্লেখ্য, এই পোষ্টটি পড়ে কেউ নিরুৎসাহিত হবেন না। কেননা একদিনের জন্য হলেও প্রতিটি মুসলমানের জন্য উপরোল্লেখিত স্থাপনাগুলো প্রয়োজন।