শনিবার, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
আলী আজমঃ ছবি দেখেই মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা। অনেকে হয়তো মনে করবেন তিনি ফটো সেশনের জন্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাহাড়-নদী মাড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নিশর্মা বার্মা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা অসহায় এই বয়োবৃদ্ধা মা’কে সমাদর করে কোলে নিয়েছেন। আসলে বাস্তবে এমনটা নয়। বাংলাদেশ বিজিবি এর এই কর্মকর্তা সম্পূর্ণ মানবিক তাগিদে ক্ষুধার্ত, বিপর্যস্ত, দুর্বল, নিস্তেজ এই অসহায় মা’কে কোলে নিয়ে সাধ্যমত মানবিক সহায়তার হাত প্রসারিত করেছেন মাত্র।
.
বিজিবির মানবিক কার্যক্রমের এমন দৃশ্য আজ মাজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যত্রতত্র চোখে পড়ে। তারা রাত্রিদিন অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম মা-বোন, ভাই, শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সেবায় নিজেদের সর্বাত্মক বিলিয়ে দিচ্ছেন। তারা যদি নিষ্ঠার সাথে সেখানে মানবিক কার্যক্রম আঞ্জাম না দিতো তাহলে আজ অসংখ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পতিত হতো। আলহামদুলিল্লাহ্, সেনাবাহিনী শরণার্থী শিরিবে নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকে সেখানে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। সবার হাতে ত্রাণ পৌঁছে যাচ্ছে।
.
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যে রোহিঙ্গারা মগসেনার অমানবিক নির্যাতন, নিপীড়ন, নিষ্পেষণ থেকে রেহাই পেতে আপন মাতৃভূমি, ভিটামাটি, ঘর-বাড়ি ত্যাগ করে এপারে আসছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক এই কার্যক্রম দেখে তারা সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হচ্ছে।আসলে বার্মিজ সেনাবাহিনী আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যকার এই আশ্চর্যজনক তফাৎ দেখে বিস্ময়াভিভূত না হয়ে উপায় নেই। মানবতার কল্যাণ আর বিশ্ব শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ শ্রদ্ধা-ভালবাসার উচ্চ আসনে সমাসীন হয়েছেন নিশ্চয়।
.
প্রিয় বাহিনী! তোমাদের প্রতি রইল হাজার সালাম