শুক্রবার, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
রোমান ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে তার সঙ্গে বৈঠককারী উলামাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন হেফাজত মহাসচিব শাইখুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী৷ তিনি বলেন ঐ সমস্ত দরবারী মৌলবীরা মুনাফিক৷
আজ (৫ ই ডিসেম্বর) হাটহাজারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে হাটহাজারী ইসলাম প্রচার সংস্থার আয়োজনে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পোপ খ্রিস্টান ধর্মের দাওয়াতি মিশন নিয়ে বাংলাদেশে সফর করেছে। খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার প্রসার’ই তার মূল টার্গেট ছিলো। তাহলে তাকে আলেম সমাজ কিভাবে অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানাতে পারে!
তিনি খুব ব্যথিত কন্ঠে বলেন, যে সম্প্রদায়ের উপর স্বয়ং আল্লাহ পাকের লা’আনত, যারা ইসলাম বা মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু বা দুশমন, তাহলে আমরা মুসলমান হয়ে কিভাবে কাফের তথা অমুসলিমদের প্রশাংসা করতে পারি বা তাদের স্বাগত জানাতে পারি! এটা বড়ই দুঃখজনক বিষয়।
তিনি বলেন, পোপের সঙ্গে দুনিয়ালোভী মৌলবীদের বৈঠকের দ্বারা বাংলাদেশে খ্রীষ্টান মিশনারীগুলোর জোর বহুগুণে বেড়ে যাবে৷
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, পোপের সঙ্গে বৈঠকের কারণে খ্রীষ্টান মিশনারীগুলো ধর্মপ্রাণ সরলমনা সাধারণ মুসলমানদেরকে এই বলে ধোকা দিবে যে, খ্রীষ্টধর্ম ভ্রান্তধর্ম নয়৷খ্রীষ্টধর্ম যদি ভ্রান্তধর্ম হতো তাহলে বাংলাদেশের ওলামারা পোপের সঙ্গে বৈঠক কেন করেছে, পোপের বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত কেন জানিয়েছে ?
আল্লামা বাবুনগরী কঠোর ভাষায় বলেন, আমি আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি, ঐ সমস্ত মৌলভীরাই হাদীসের ভাষ্যমতে ‘সবচেয়ে খারাপ মানুষ’, ওরা শুধু নিজের ক্ষতি করছেনা বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি করছে৷
আল্লামা বাবুনগরী তাঁর প্রত্যেকটা কথার স্বপক্ষে কুরআন ও হাদীসের দলিল বর্ণনা করেছেন৷
তিনি আরো বলেন, পোপের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে এক শর্তে, তা হলো প্রথমে পোপকে বলতে হবে ইসলাম একমাত্র শান্তিরধর্ম ইসলাম গ্রহণ করুন তাহলে শান্তি পাবেন৷ এটাই রাসুল সা.আদর্শ, রাসুল সা.কাফের নেতাদের সাথে ক্ষেত্রবিশেষ বৈঠক করতেন এবং প্রথমে তাদেরকে ইসলাম ধর্মগ্রহণের দাওয়াত দিতেন৷
কিন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য দুনিয়ালোভী দরবারী মৌলবীরা পোপের সঙ্গে বৈঠক করেছে কিন্তু ইসলামের দাওয়াত দেয়নি৷
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, আমরা জানি খ্রীষ্টান মিশনারীদের সাথে ঐ সমস্ত মৌলবীদের গোপন আতাঁত আছে৷ ঐ সব দুনিয়ালোভী স্বার্থান্বেষী মৌলবীরা দুনিয়া আর স্বার্থেরলোভে শাহবাগী হতেও দেরি লাগে না আবার পোপের সঙ্গে বৈঠক করতেও দেরী লাগে না৷
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, প্রত্যেক ওলামায়ে কেরামের উচিত কমপক্ষে মাসে একবার হলেও কিতাবুল ইলম অধ্যায়ে বর্ণিত রাসুল সা.এর হাদীসগুলো পাঠ করা এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করা৷