শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চুক্তি করে ওয়াজ মাহফিল করার হুকুম কি ?

বরাবর,
মাননীয় প্রধান মুফতি সাহেব দা.বা.
শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার
কুড়াতলী,খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯
বিষয়: চুক্তি করে ওয়াজ করার হুকুম সম্পর্কে
জনাব, বর্তমানে অনেক বক্তাকে দেখা যায় যে, তারা কোথাও ওয়াজ করার জন্য চুক্তি করে যে, আমাকে এত হাজার টাকা দিতে হবে। আমার জানা মতে ওয়াজ নসীহত তো জরুরতে দ্বীন নয়, তারপরও এখাবে চুক্তি করা বৈধ হবে কিনা? আবার অনেকে এক দুই মাস পূর্বেই নিয়ে নেয় বা একাউন্টে পাঠিয়ে দিতে বলে, এটার হুকুম কি? কুরআন-হাদীস এর আলোকে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
মাও. আবুল কাশেম
যশোর
الجواب باسم ملهم الصدق والصواب
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাতিল যেভাবে ওয়াজ-মাহফিল, পেপার-পত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন পন্থায় সাধারণ জনসমাজে ভ্রষ্টতা ও তাদের মতাদর্শ প্রচার করছে। এহেন মুহুর্তে হক্কানী উলামায়ে কেরামের জন্য বাতিলের মুখোশ উন্মোচন ও মূর্খ সমাজের আলো দেয়ার লক্ষ্যে ওয়াজ-নসীহত এর মাধ্যমে মানুষকে দ্বীনের দিকে ধাবিত করা এবং মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা দেয়া দ্বীনের জরুরী অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। আর হানাফী মাযহাবের সর্বশেষ গ্রহনযোগ্য মতানুযায়ী যে কাজ দ্বীনের জরুরী অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত তার বিনিময় গ্রহন করা বৈধ।
তাই ওয়াজ নসীহত করে টাকা গ্রহন করা জায়েয এবং ওয়াজ করার পূর্বে বা পরে যেকোন মাধ্যমে টাকা দেয়া-নেয়া উভয়টি শরীয়ত স্বীকৃত হলেও বাধ্যবাধকতার সাথে বা চুক্তি করে অর্থ গ্রহন অনুচিত বা মাকরূহ।
তবে ওয়াজ-নসীহতকে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম বানানো উলামায়ে কেরামের জন্য সমীচীন নয়।
[আদ্দুররুল মুখতার:৯/৭৬ যাকারিয়া, রদ্দুল মুখতার:৯/৭৬, হেদায়া:৩/২৯৪, কেফায়াতুল মুফতি:৭/৩১৯]

Default Ad Content Here

Archives

November 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30