মঙ্গলবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার উপায়!


স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ।

তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে। আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনো কখনো ‘সেক্স ড্রিম’ বলে।

কিছু পুরুষ কেবল একটা নির্দিষ্ট বয়সে এ ধরনের স্বপ্ন দেখেন, পক্ষান্তরে অন্য বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই সারাজীবন এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন।

স্বপ্নদোষের স্বাভাবিক একটি মাত্রা রয়েছে। যেমন মাসে ৩ থেকে ৪ দিন। এটি হলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এর বেশি হলে ডাক্তারটা সেটাকে সমস্যা মনে করেন। এরকমটা হলে সে ক্ষেত্রে আপনার অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং ঘুমের পূর্বে কিছু তেলাওয়াত ও আমল করতে হবে।

একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে।

অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করান এমনকি স্বপ্নদোষের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এটা ঠিক নয়।

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার উপায়

১) ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিন। যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয়। তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে শরিরকে সাহায্য করে।

২) ঘুমাতে যাওয়ার আগে এককাপ ঋষি পাতা (sage leaves- Google এ search করে দেকতে পারেন। হয়ত এটি আপনার অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত) এর চা পান করলে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

৩) অশ্বগন্ধা স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যার উপকরণসহ সর্বোপরি যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি হরমুন ব্যালেন্স এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশিশক্তি ফিরে পাওয়া ও ছোট খাটো ইঞ্জুরি সারিয়ে তুলতে পারে।

৪) ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না। যদি সামান্য পরিমাণ প্রস্রাবের লক্ষণও থাকে বিছানায় যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিন।

৫) রাতে খাবার পর পরই ঘুমাতে যাবেন না।কিছুক্ষণ হাঁটা হাঁটি করুন।

৬) প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা অথবা মিছরি খাবার অভ্যাস করুন।

৭) পবিত্র কুরানের ৩০ নাম্বার পারার ‘সুরা তারিক’ পড়ে শয়ন করুন। হালকা জিকির এবং অন্যান্য দোয়া পরে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Archives

March 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031