শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
এসএসসিতে জিপিএ ২.৭৫ পাওয়া অদম্য কলেজ ছাত্র মজুমদার ৩৬তম বিসিএসে ক্যাডার হলেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন,
‘আলহামদুলিল্লাহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা (ভূগোলে) সুপারিশ প্রাপ্ত হলাম।পজিশন ৩য়।
এসএসসি জিপিএ ২.৭৫ পেয়ে কোটা ছাড়া ক্যাডার হলাম।
ঢাকা কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছি।’
৩৬তম বিসিএস নিয়ে BCS: Our Goal নামক ফেসবুক গ্রুপে নানারকম অনুভূতি
তাজ- উল-ইসলাম ঋতু
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছি (মেধাতালিকায় ২য়)। কেন জানিনা, আজ লিখতে গিয়ে কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। শুধু বলব, স্রষ্টা মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন হয়ত সব থেকে বড় আনন্দ আজ আমাকে উপহার দিয়েছেন।
Sirajum Munira লিখেছেন,
Keu 1jon gotokal status diyechilo je se SSC ba honours e 2.75 gpa niye education cadre peyeche.obossoi inspiring onnoder jonno.kintu mathai question aslo tar academic result valo na,se kototuku jane tai to bujha jacche na,se tar colleger student der ki shikhabe? Keu offensively niben na plz.emon question asata normal.
Masud Rana
আপুর উদ্দেশ্যে বলছি আপনি যার কথা বলছেন উনাকে আমি চিনি। ২০০২ এ এস এস সি দিয়েছিলেন। উনি ছিলেন ক্লাশের ফার্স্ট বয়। দুর্ভাগ্য জনক ভাবে উনার রেজাল্ট খারাপ হয়। তবে এইচ এস সি তে উনি কলেজ সেরা রেজাল্ট করেছেন। তার হাতের লেখা জাস্ট মাইন্ড ব্লোয়িং। উনি আমাদের এলাকায় উদাহরণ তৈরি করেছেন। তাকে নিয়ে গর্ব করা যায়।
Siddiqua Alam
karo je kono karone result kharap hotei pare , tar situation ta to apni janen na , tahole apni tar capability shomporke bolsen ke kore ?
Sinthea Binte Shajahan
Amr poricito onek golden A+ ace jara onnoder samanno akta math o bujate pare na. Result dea manush bechar korben na
Emtiaz Dipu যে লোক ক্যাডার হয়েছেন তার মেধা যে অসাধারণ এই বেপারে কি আপনার সন্দেহ আছে? যদি সন্দেহ না থাকে তাহলে বুঝতে হবে তিনি SSC তে ভালো পড়েননি তাই রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।
যে লোক ক্যাডার হলেন, আপনার কি মনে হয়না, পড়ানোর জন্য যতটুকু জানা লাগে, পড়াতে যাওয়ার আগে তিনি নিজেই পড়াশুনা করে ততটুকু কভার দিতে পারবে?
Mohammad Nooruddin
সব ছাত্র ছাত্রী সব সময় একরকম থাকেন না। আর শুধুমাত্র জি.পি.এ মেধার মানদন্ড না। ওনি লিখিত পরীক্ষায় ঠিকেই ভাইভা ফেইস করেছেন। এবং কৃতিত্বের সাথে ক্যাডার পেয়েছেন। এখানে ওনার যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের কিছু দেখিনা।
Hero
আপু, কিছু মনে করবেন না। আমি ছোট বেলা থেকেই ম্যাথ পারতাম না। ম্যাথ বলতেই ভয় লাগত। ম্যাথ এ কোনদিনই এ+ পাইনি। কিন্তু মজার কথা কী জানেন? আমি ম্যাথ এ অনার্স এবং এপ্লাইড ম্যাথ এ মাস্টার্স। দুটোতেই ফার্স্টক্লাস। ভালোই সিজিপি এ। আমি চট্টগ্রাম শহরে একটা কলেজে ম্যাথ এর হেড ছিলাম। সফলতার সাথেই ব্যাচ পড়িয়েছি। ৩৪ তম বিসিএস এ নন ক্যডারে থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জব করি।
আপু এস এস সি এর জিপিএ কম পেয়েও ভালো টিচার হওয়া যায়। শিক্ষকতা জন্য জিপিএ না, প্রজ্ঞা দরকার।
Sujon Hasan
ভাই একটা ব্যাপার কি সব প্রতিষ্টানে ভালো খারাপ আছে। ।।। আর বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপট এমন না যে কোন ভাসিটি এই সেই রকম সুযোগ সুবিধা দেই। ।।তাহলে বলা যাইতো এইটা খারাপ আর ওইটা ভালো। ।।আচ্ছা আমি ধরে নিলাম বাংলাদেশ এর বেস্ট ৪০০০+ ছাত্র ঢাকা ভাসিটিতে পড়ে ।।। সেইখানে বিসিএস এইবার ক্যাডার নিয়েছে ২৩০০+ সেই হিসেবে মিনিমাম ২০০০ ঢাকা ভাসিটির হওয়া উচিৎ ছিল কি না। ।।। কিন্তু দেখা যাবে যে অজো পাড়ায় নতুন একটা পাবলিক হইছে সেইখান থেকেও ৪-৫ জন বিসিএস হইছে। ।।। তাহলে তারা কেন হইছে অবশ্যই নিজের যোগ্যতায় হইছে। ।।। হুম আপনে গব করতে পারতেন যদি ঢাকা ভাসিটি গবেষণা করে তাক লাগাই দিয়েছে। ।। তাহলে ভাবতাম যে না এইখানে কিছু মাল পড়ে। ।।সুযোগ সুবিধার দিক থেকে আমার মনে হই ঢাকা ভাসিটি সব থেকে বেশি পাই। ।।। কিন্তু দেখেন বাংলাদেশ কৃষিতে কৃষি ভাসিটির কতো অবদান তারা কতো কি জাতের ধান ও ফল এর জাত উদ্ভাবন করছে। ।। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন যেকোন প্রযুক্তিগত কম্পিটিশন কিংবা আন্তজাতিক কম্পিটিশন ঢাকা ভাসিটির থেকে অন্য প্রাইভেট ভাসিটি কিংবা পাবলিক ভাসিটির বেশি সাফল্য দেখা যাই। ।।। বাংলাদেশ এর চাকরির কোন পরিক্ষায় মেধা দেখানোর জায়গা না সবাই মু্খস্থ করে পড়ে যার ভাগ্য একটু সহায়তা করে সেই টিকে। ।।। এমসিকিউ কোন সময় সত্যিকার মেধা যাচাইয়ের পদ্ধতি না। ।।। আমার কাছে মনে হই সরকারি চাকরিতে ব্যক্তিগত যোগ্যতায় প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক না। ।।।কাউকে ছোট করার জন্যে এই পোস্ট না।।।।
Salahuddin Kader
এবারের বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন একজন নারী ডাক্তার। পাশ করেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল থেকে।
বুঝুন এবার, দেশের শিক্ষার গতি কোনদিকে ডাইভার্ট হচ্ছে। এই যে দীর্ঘ ১৮ বছরের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে অর্জিত একাডেমিক শিক্ষাটা কোন কাজে আসছে? পররাষ্ট্র কিংবা প্রশাসনে একজন ডাক্তারের কাজ কি? উনি কিভাবে এই সেক্টরের জটিল বিষয়গুলো দক্ষতার সাথে হ্যান্ডেল করবেন? যদিও উনার তীক্ষ্ণ মেধা রয়েছে,যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
বুয়েট পাশ ইঞ্জিনিয়ার ছেলেটাও বিসিএস প্রশাসন কিংবা পররাষ্ট্র ক্যাডারের জন্য মুখিয়ে থাকে। যিনি ভার্সিটি লাইফে দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে ইলেক্ট্রিক্যাল,কম্পিউটার,সিভিল কিংবা অন্যান্য বিষয়গুলোতে মজে থাকেন,ধীরে ধীরে ওই বিষয়ের স্পেশালিষ্ট হয়ে ওঠেন তিনিই কিনা পাশ করে বের হয়ে যাওয়ার পর বিসিএস ক্যাডার হতে বাংলা,সাঃজ্ঞা,ইংরেজি,গণিত নিয়ে মেতে ওঠেন নতুন করে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা সাবজেক্টের ক্ষেত্রেও (শিক্ষা ক্যাডার ব্যতীত) চিত্রটা মোটামুটি একই। চবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক বড়ভাই প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ ভাবুন উনার কর্মক্ষেত্র থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কত বিস্তর তফাত! যেখানে উনার একজন বায়োটেকনোলজিস্ট হয়ে নতুন নতুন প্রকরণ সৃষ্টি ও রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারে গবেষণা করার কথা ছিলো! তাই না?
সম্ভাবনাময় ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ফার্মাসিস্ট,বায়োকেমিস্ট,পদার্থবিদ,গণিতবিদ,কৃষিবিদ, পরিবেশ বিজ্ঞানী সবারই লক্ষ্য থাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। সবাই তাই প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জনের পরই আঁটঘাট বেঁধে নেমে পড়েন এই বিসিএস নামক সোনার হরিণের পেছনে। এর কারণও নিশ্চয়ই আছে।
বর্তমানে বিসিএস ক্যাডারদের লোভনীয় বেতন, ক্ষমতা,সম্মান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বহুগুণ বেশি। আবার অনেকের কাছে অর্থের চেয়ে ক্ষমতাটাই মূখ্য। এই যে কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের হিড়িক, এতবছর ডাক্তারি,ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিজ্ঞানের জটিল বিষয়ের গবেষণা করে এসে হঠাৎ পেশা বদল, তার পেছনে লোভনীয় আমলাতন্ত্র এবং কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতাই মূখ্য।
একজন মেধাবী ছাত্র যখন দেখতে পায়,তার বিষয়ভিত্তিক কর্মক্ষেত্রে তার চেয়ে জুনিয়র কিংবা অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা তাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে,তখন সে এটা মানতে পারে না। আত্মসম্মানে গিয়ে লাগে। লাগাটাই তো স্বাভাবিক। তাই নয় কি?
তাহলে এই ধারা কি চলতেই থাকবে? অবশ্যই! কেননা বাংলাদেশের শিক্ষা ও চাকুরীব্যবস্থার গোড়াতেই গলদ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোটি কোটি টাকা ভর্তুকী দিয়ে ৪-৫-৬ বছর পর সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে ঠেঙিয়ে বের করে দিচ্ছে। অথচ বিশাল এই চাকুরীপ্রত্যাশী ঢলের উপযোগী বিষয়ভিত্তিক কর্মক্ষেত্র সৃষ্টিতে রাষ্ট্র পুরোপুরি ব্যর্থ। সার্টিফিকেটসর্বস্ব এই জনস্রোত তাই বেকারত্বই বাড়ায়। পরিবারের হাল ধরতে না পেরে হতাশার আগুনে পুড়ে অগণিত মেধাবী। সবাই তো আর বিসিএস ক্যাডার হতে পারে না! ইঞ্জিনিয়ার হয়েও তাই ছুটে ব্যাংক জবের পিছু…
সত্যিই তো! উদ্ভট উঠের পিঠে চলেছে স্বদেশ!
Tareq Shafique
সব প্রতিষ্ঠান ই ভালো। কোন প্রতিষ্ঠান কাউকে ক্যাডার হতে সাহায্য করেনা।আপনি যদি ভাল করেন তাহলে ক্রেডিট অই প্রতিষ্ঠানের অটোমেটিক হয়ে যাবে। তাই আমাদের আর এই সব সংকীর্ণ মনোভাব থাকা উচিৎ নয়। সংকীর্ণ মনোভাব নিয়ে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব না। আমি কোন অভিজ্ঞ কেউ নই তবুও নিজের নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করলাম। এই যে আমরা প্রাইভেট, পাব্লিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছোট বাচ্চাদের মত একে অপর কে পঁচাই, কেউ কাউকে দেখতে পারিনা এটা কী শিক্ষিত মানুষদের পক্ষে এই আচরন শোভা পায়? আমরা যারা এইসব নিয়ে পরে আছি এগুলো আমাদের জন্য ক্ষতি, ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছে। অনেকে এসব সস্তা চিন্তা না করে শুধু পড়া শুনা করে যাচ্ছেন আজ আল্লাহ্র রহমতে ক্যাডার বা ভাল চাকুরী করছেন।নিজে সম্মানিত হতে চান,তাহলে প্রথমে অন্যকে সম্মান দিতে হবে।আর একটি কথা আমিই সেরা এটা বাদ দিন। আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে দুক্ষিত। সবায় আলোকিত মানুষ হই,দেশকে আলোকিত করি এই হোক আমাদের পাথেয়। ধন্যবাদ সবায় ভাল থাকবেন।
বহ্নি প্রতাপ
৩৪!৩৫!৩৬!
পরপর তিনটি ভাইবা! তিনটি ব্যর্থতা!
রজব ভাই ফোন বন্ধ করে কোথায় যেন চলে গেছেন। অনেক খোঁজাখুঁজি হয়েছে। কিন্তু কেউই তার খোঁজ পাচ্ছে না। তিনি আমার এলাকার বড়ভাই। হয়ত দুঃখ ও লজ্জায় নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। রজব ভাই! আপনাকেই বলছি, ” আপনার বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। আপনাকে নিয়ে অনেক চিন্তা করছে। উনারা ক্যাডার চাননা, শুধু চান আপনি তাদের বুকে ফিরে আসুন। জীবন মানেই শুধু বিসিএস নয়। আপনি ফিরে আসুন। প্লিজ ফিরে আসুন। ”
Kaium Rashel
সম্ভবত ৩৬ তমের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত-
প্রথম জন ডাক্তার
দ্বিতীয় জন ইন্জিনিয়ার
এটা সত্যেই সুখকর নিউজ না-
কেন তারা নিজেদের প্রিয় প্রফেশন ছেড়ে এদিকে আসতেছেন সেটা সবার খুঁজে বের করা উচিত…..
দেশের সিস্টেমে কি এমন হলো যে-
একজন ছেলে বা মেয়ে তার ছোট বেলার লালিত স্বপ্ন ডাক্তারী/ইন্জিনিয়ারিং ছেড়ে এসব জায়গায় এসে হানা দিচ্ছে…….
অন্যে কাউকে ছোট করে বা নিজে অহংকার করে কিছুু বলতেছিনা-
আপনি যদি ডাক্তার/ইন্জিনিয়ারের ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজেন তবে ছোট বেলা থেকে স্কুল,কলেজ ও আজ অব্দি চোখে লাগার মতো পারফরমেন্স দেখতে পাবেন,
খোঁজ নিলে দেখবেন সে কোনদিন হয়তো ফাস্ট/সেকেন্ড/থার্ডের বাহির কখনো যায়নি…..
এই ছেলে বা মেয়েটি যখন গভমেন্ট সার্ভিসে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হওয়াটা স্পষ্ট দেখতে পায় তখন তাদের ছোট বেলার লালিত স্বপ্নকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলতে হয়….:-(
যখন দেখে অতীতে একটু হলেও পিছনে থাকা কাউকে বর্তমানে সার্ভিসে গিয়ে প্রসাশনিক/অন্যে কোন ক্ষমতাবলে অযাচিতভাবে/শুধুমাত্র হ্যারেজ করার জন্য এদের উপর পাওয়ারের ছড়ি ঘুরাতে দেখে তখন স্বপ্নকে কনভার্ট করতে হয়…..:-(
পরিবর্তন দরকার দেশের সার্ভিস সেক্টরে-
একজন আরেকজনকে নূন্যতম সম্মানটুকু দেয়া দরকার,
অন্যেথায় সামনের দিকে ঝামেলা আরো বাড়বে….