বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
“শুভ্রতার জয় হোক”
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
একই সাথে হাফেজে কোরআন, মাওলানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স করে এখন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন।
এসএসসির পর থেকেই তিনি ইংরেজি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন, আরবী ভাষায় বিশেষ পারদর্শী আর বাংলা ইসলামী সাহিত্যের শক্তিশালী লেখক।
মিহরাবের মনমুগ্ধকর আলোচক, কিতাবের দরসে প্রাজ্ঞ শিক্ষক।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে ছাত্র রাজনীতির সুচনা। ক্রমে ক্রমে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর ইউনিয়ন হয়ে মোংলা থানা সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন শেষে সর্বশেষ নগর সভাপতি এরপরে কেন্দ্রে সদস্য, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি তিলে তিলে গড়ে ওঠা মা-মাটি-মানুষের একজন রাজনীতিবিদ। তুখোড় একজন সংগঠক, সফল একজন প্রশাসক কিন্তু অমায়িক মানুষ। সংগঠনের কর্মীদের ওপরে এবং তার অধনস্ত কর্মীদের ওপরে তার পুর্ন নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান কিন্তু কাউকে তিনি ধমক দেন না। ব্যক্তিত্ব ও মাধুর্যতা দিয়ে তিনি কাজ আদায় করেন।
শরীয়তের পরিসীমায় বড়দের সিদ্ধান্তে তার প্রশ্নাতীত আনুগত্য থাকে আবার শরীয়তের প্রশ্নে প্রয়োজন হলে বড়দের সাথেও কঠোর অবস্থানে যেতে পারেন।
সৃষ্টিশীল চিন্তায় অনন্য কিন্তু সেই সৃষ্টিশীলতা শেকড় বিচ্ছিন্নতা জন্ম দেয় না।
সততার প্রশ্নে বাড়াবাড়ি রকম কঠোর। নৈতিকতার প্রশ্নে গোঁড়া।
অত্যন্ত মিশুক কিন্তু তরল স্বভাবের নন।
খোদাভীরুতায় কম্পিত এই মানুষই আবার বাতিলের বিরোধীতায় অগ্নিশর্মা। নির্ভিক।
এই হলো, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনিত প্রার্থীর জীবন আলেখ্য।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের সামনে নিজের ভাগ্য গড়ে নেয়ার এক অপুর্ব সুযোগ উপস্থিত। একদিকে দেশের সবচেয়ে নিষ্কলুষ প্রতীকে অনন্য চরিত্রের অধিকারী, বহুমুখি জ্ঞানে সমৃদ্ধ ও মাঠ রাজনীতিতে পরিক্ষিত এক জননেতা অন্য দিকে স্বাধীনতার ৪৬ বছরের লুটপাটের প্রতিকসমুহ নিয়ে দুর্নীতিবাজ ও হাইব্রিড নেতারা।
শুভ্র ও শান্তির পক্ষে অবলম্বল করলেই ঢাকা উত্তর হতে পারে শান্তিময় নগরী আর কৃষ্ণ কলুষতার পক্ষ নিলে নগরী আবারো হয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে অবাসযোগ্য নগরীতে।
“নিজের ভাগ্য নিজেই গড়বো
শুভ্র-শান্তির পক্ষে থাকবো”
“শুভ্রতার জয় হোক”