মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কেয়ামতের দিন আরশের ছায়া পাবে যারা

হযরত আবু হুরাইরা রাযিঃ বর্ননা করেন,নবীয়ে করিম সাঃ বলেছেনঃকাল কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তায়ালা সাত প্রকার লোককে আরশের ছায়া দিবেন।তার ছায়া ব্যাতিত অন্য কোন ছায়া থাকবেনা।
তারা হলেনঃ-

১।ন্যায় পরায়ণ শাসক।
২।ঐ যুবক,আল্লাহর এবাদতে যার সময় কেটেছে।
৩।ঐ ব্যাক্তি,যার অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
৪।ঐ দুই ব্যাক্তি,যারা একে অপরকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসে।উভয়ে মিলিত হয় তার জন্য।এবং পৃথকও হয় তার জন্য।
৫।ঐ ব্যাক্তি,যাকে সম্ভ্রান্ত বংশের পরমা সুন্দরী ডাকে এবং বলে হে যুবক,এস তোমার খাহেশাতকে পুরা কর।আর ঐ যুবক উত্তরে বলে আমি আল্লাহর ভয়ে ভিত আছি।
৬।ঐ ব্যাক্তি,যে গোপনে দান সদকা করে।এমনকি তার বাম হাত জানেনা তার ডান হাত কি দান করল।
৭।ঐ ব্যাক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরন করে এবং আল্লাহর ভয়ে তার দুই চোখ থেকে অশ্রু ঝরে।
বুখারী শরীফ ১ম খন্ড/৯১

Default Ad Content Here


উল্লেখিত হাদিস শরীফে নবী করীম সাঃ এমন সাত প্রকার সৌভাগ্যবান লোকের আলোচনা করেছেন যাদেরকে আল্লাহ্ পাক কঠিন হাসরের ময়দানে আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দান করবেন।কেয়ামতের পর হাসরের মাঠ কায়েম হবে।সে দিন প্রত্যেক জ্বীন এবং মানুষকে তাদের কৃত কর্মের হিসেব দিতে হবে।সেদিন কোন ব্যাক্তিই আল্লাহর পাকরাও থেকে বাঁচতে পারবেনা।এই হাদিস শরীফের ব্যাখ্যা করার পূর্বে হাসরের দিনের ভয়াবহতা ও বিভীষিকাময়তার বর্ণনা করা আবশ্যক মনে হয়েছে।যাতে করে সেদিনের পেরেশানী,অস্থিরতা,সুর্যের রশ্মি থেকে বাঁচার চেষ্টা করে এবং আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত।এবং পর্বত সমূহ হবে রঙ্গিন পশমেে মত।বন্ধু বান্ধব খবর নিবেনা।যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে।সেদিন গুনাহগার ব্যাক্তি পণ সরুপ দিতে চাইবে তার সন্তান সন্তুতিকে,তার স্ত্রীকে,তার ভাইকে,তার গোষ্ঠীকে,যারা তাকে আশ্রয় দিত এবং পৃথিবীর সব কিছুকে।অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।কিন্তু কখনই সম্ভব হবেনা।
(সুরা মা’য়ারিজ আয়াত -৮–১৫)


এ আয়াতে কারীমায় হাশরের দিনের ভয়াবহ বিভীষিকাময় আলোচনা করা হয়েছে।এবং সেদিনের ভয়ানক পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য মুজরেম দুনিয়ার সব আত্নীয়তা ভূলে যাবে।এমনকি তার সকল নিকট আত্নীয়,বন্ধু-বান্ধব,জাতি-গোষ্ঠী এবং দুনিয়ার সব সম্পদের বিনিময়ে সেদিনের ভয়াবহতা থেকে নিজের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবে।কিন্তু এমনটি থেকে রেহায় পাওয়া কখনই সম্ভব হবেনা।বরং আসমান এবং আজাব তাকে ঘিরে নিবে।
আল্লাহ্ তায়ালা তাদের এমন অবস্থায় সমবেত করবেন তারা সেদিনের কথা স্মরন করে মনে করবে তারা দুনিয়াতে বা কবরে মুহুর্তকাল অবস্থান করেছিল।আর সেদিন এত দীর্ঘ আর ভয়াবহ হবে,তারা দুনিয়া এবং কবর জগতের কথা এবং কবরের কঠিন শাস্তির কথাও ভূলে যাবে।তারা মনে করবে দুনিয়া এবং কবরের সময় খুবই দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।তারা একে অপরকে চিন্তেও পারবে কিন্তু একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারবেনা।এতে তাদের দুঃখ কষ্ট আরো বেড়ে যাবে।প্রকৃত পক্ষেই সে সব লোক কঠিন সময়ে মহা বিপদে পরবে।যারা আল্লাহ পাকের সাক্ষাৎকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুনিয়াতেও তারা হেদায়েত প্রাপ্ত ছিলনা

Archives

May 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31