বুধবার, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
যারা ইজতেমায় শরীক হবেন, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসিহত…!
১, তিনটা দিন আল্লাহ তায়ালার রেজামন্দির জন্য, ইজতেমায় এসেছি, ইজতেমা হতে কিছু নিয়ে যেতে, তাই সময়গুলো অনর্থক, বেকার, ঘুরাফেরা,কেনাকেটা, অনলাইন, ফেইসবুক, সেলফি & ছবি তুলে না কাটাই।
২, এখানের প্রতিটা সময় অনেক দামী তাই প্রতিটা ওয়াক্তের কদর করি।
বয়ানের আগে অজু, ইস্তেনঞ্জা হতে ফারেগ হয়ে মিম্বরের কাছে/মজমায়/মাইকের নিচে মুতাওজ্জু হয়ে বয়ান শুনি।
৩, আল্লাহ তায়ালা ও আল্লাহর রাসূলের কথা বলা হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা যত বড়, উনার কথা তত বড় ও দামী,
তাই প্রতিটা কথা ধ্যানের সাথে শোনা, যে যত আজমতের সাথে কথাগুলোকে শুনবে আল্লাহ পাক “ইলমের নূর” তার ক্বলবে দান করবেন।
৪, নিজেকে মুখাপেক্ষি মনে করে শুনা,
হেদায়েতের তলব নিয়ে শুনা,
আমল করার নিয়তে শোনা,
অন্যকে পৌছানোর নিয়তে শোনা।
৪, বয়ানের পর বড়দের কথাগুলো খুব মোজাকারা করা, যেন কথাগুলো অন্তরে গেথে যায়।
৫, রাতের বেলা কিছু সময় আল্লাহ তায়ালার জন্য রাখা, সেখানে তাহাজ্জুদ, তসবিহত, ও দুআর মাধ্যমে রব্বে কারীমের নিকট নিজের অপারগতা প্রকাশ করত, মদদ চাওয়া। এবং পুরা উম্মতের জন্য দুআ করা, বাকি নিজের জরুরত তো পুরা হয়েই যাবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ইজতেমার ফায়েদা হাসিল করার তৌফিক দান করুন।