রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
আগামী বছরের ১২ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন। সোমবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব ইজতেমার আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভাশেষে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি শুরু হবে এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি বলেন, ইজতেমার সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডিআইজি ঢাকা একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলবেন। এছাড়া অন্যান্য বাহিনীও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলবেন। সব নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সমম্বয় করে নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইজতেমার আগে আরেকটি সমম্বয় মিটিং করা হবে। সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমা শুরু ১২ জানুয়ারি!
আগামী ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমা ও জোড় ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারি মাসে।
সে হিসাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখঃ
: প্রথম পর্ব ১২, ১৩ ও ১৪ এবং
: দ্বিতীয় পর্ব ১৯, ২০ ও ২১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি পর্ব ইজতেমার শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমার মাঠে গত (১৯ জানুয়ারি) বৃহস্থপতিবার সকাল ১০টায় দেশ-বিদেশের শতাধিক মুরব্বি মাশওয়ারায় (পরামর্শে) এ তারিখ চূড়ান্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন তাবলিগি সাথী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুরব্বিদের ওই পরামর্শে ইজতেমার আগে অনুষ্ঠেয় জোড় ইজতেমার তারিখও নির্ধারণ করা হয়।
আগামী নভেম্বরে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ দিনব্যাপী বিশ্ব জোড়ঃ
: নভেম্বর মাসের শুরু হবে এবং ৫দিন পর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমা সাধারণত বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে হয়ে থাকে। জোড় ইজতেমায় শুধুমাত্র তিন চিল্লার সাথীরা অংশ নেন। এরপর কিছু সাথী ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতের কাজে যোগ দেন, বাকিরা ইজতেমাকে সফল করতে দাওয়াতের কাজে জামাত নিয়ে লোকালয়ে চলে যান। চলতি ইজতেমায় দেশের যে ৩২টি জেলা বাদ পড়েছে আগামী বছর (২০১৮ সালে) অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে সেই ৩২ জেলার তাবলিগ জামাতের সাথীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবেনবিশ্ব ইজতেমায় প্রতি বছর ২৫ লাখের বেশি মুসল্লির সমাগম হয়। আখেরি মোনাজাতের দিন এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। যা টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ২৬০ একরের ইজতেমা ময়দানের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্থান সংকট এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে। ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা এখানে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন ও দাওয়াতে তাবলিগের কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাত নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
আল্লাহ তা’আলা সবাইকে কবুল ফরমান । আমিন